সঙ্গীতা চৌধুরী ও অর্পিতা বনিক: দেশের সময়:পুজোর আর মাত্র ১ মাস বাকি থাকলেও গড়িয়াহাট, নিউমার্কেট,শ্যামবাজার-হাতিবাগান সহ শহরতলির বনগাঁর বাজারেও নেই মাছি ভনভনে ভিড়। এমনকী আধুনিক বাঙালির জাতীয় খাবার বিরিয়ানি-চিনেপাড়ার খাবারেও অরুচির ছোঁয়া লেগেছে। একটি মেয়েকে নৃশংসভাবে ধর্ষণ-খুনের ঘটনা গোটা বঙ্গসমাজের হৃদয় একেবার মুচড়ে দিয়েছে।
দুর্গাপুজো বাঙালির নয়, দেশের জাতীয় উৎসব। যার উদ্বোধন হয় গণেশ চতুর্থী থেকে। এবার গণেশ পুজোরও তেমন কোনও চাকচিক্য এখন থেকে দেখা যাচ্ছে না। তবে সবথেকে বেশি ছাপ পড়েছে পুজোর বাজারে। বিক্রেতাদের কথায়, শাড়ি, পোশাকের বিক্রি একেবারে তলানিতে ঠেকেছে। ঠিক যেমনটি হয়েছিল কোভিডকালে। পুজোর বাজার ঘুরে দেখল দেশের সময়: দেখুন ভিডিও
পুজোর আগে মাস দুয়েকের বিক্রিবাটায় বহু মানুষের সম্বৎসরের আয়ের লক্ষ্মী ঘরে ওঠেন। কিন্তু, এবার যেন শ্মশানের শূন্যতা সর্বত্র। ক্রেতার আকাল দোকান ও মলগুলিতে। তার থেকেও খারাপ অবস্থা রেস্তরাঁগুলির। ফ্যা ফ্যা করছে বিরিয়ানির ফেরিওয়ালারা। আগে যেসব স্ট্রিটফুড বিরিয়ানির দোকানে বিকেল থেকে ঠংঠং আওয়াজ ভেসে আসত সেখানে এখন টিমটিম করে লাল শালুতে মোড়া হাঁড়ির নীচে প্রদীপের মতো গ্যাস জ্বলে যাচ্ছে। কারণ খোলা রাস্তা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে উই ওয়ান্ট জাস্টিসের প্রতিবাদীরা।
তিলোত্তমার জন্য প্রতিবাদ সব কিছুর মধ্যে, সর্বএ ছড়িয়ে পড়েছে। কলকাতা ও বনগাঁর পুজোর মতো প্রাণের উৎসবেও যেন সেই স্পন্দন ফিরে পাচ্ছে না বাঙালি। যে উৎসবে কোটি কোটি টাকার লেনদেন হয়, এবার সেই পুজোতেও জাস্টিসের দাবিতে ‘লক্ষ্মীছাড়া’ হতে চলেছে বঙ্গ-বাণিজ্য।