Donald Trump : আমেরিকার বহু গোপন নথি চুরি করেছেন ট্রাম্প! কী ব্যবস্থা নিচ্ছে বাইডেন প্রশাসন?

0
222

দেশের সময়: বিতর্ক তাঁকে কখনোই পিছু ছাড়ে না ৷ এবার আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে দেশের বহু গোপন নথি চুরি করার অভিযোগ উঠল৷ এ ঘটনায় মার্কিন মুলুকে হুলুস্থূল পড়ে গিয়েছে ৷ দেশের গোপন নথি চুরির অভিযোগে আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে চলেছে বাইডেন প্রশাসন ৷ যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ট্রাম্প ৷ বলেছেন তিনি আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ৷ একজন প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে যে এমনটা হতে পারে তা তিনি ভাবতেও পারেন না ৷ একই সঙ্গে তাঁর হুঁশিয়ারি, এসব করেও তাঁকে দমানো যাবে না ৷

অভিযোগ, ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর পদ ছাড়লেও আমেরিকার গোপন নথি সঙ্গে করে নিয়ে গিয়েছেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার ওই সংক্রান্ত মামলায় তাঁকে মূল অভিযুক্ত করে তদন্ত শুরু করতে চলেছে জো বাইডেন প্রশাসন। এখনও পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে সরকারিভাবে কিছু জানা যায়নি৷ তবে ট্রাম্প নিজে সমাজমাধ্যমে বিষয়টি জানিয়েছেন। ভুয়ো অভিযোগ আনার জন্য তিনি আক্রমণও করেছেন বাইডেন প্রশাসনকে। প্রাক্তন এই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট লিখেছেন, দুর্নীতিগ্রস্ত বাইডেন প্রশাসন আমার আইনজীবীকে জানিয়েছে, আমি নাকি এই মামলায় অভিযুক্ত হতে চলেছি। ট্রাম্প এ-ও লিখেছেন যে, মঙ্গলবার তাঁকে মায়ামির যুক্তরাষ্ট্রীয় আদালতে ডেকে পাঠানো হয়েছে।

যদিও আমেরিকার বিচার বিভাগের তরফে এই খবরের সত্যাসত্য সম্পর্কে এখনও পর্যন্ত কিছু বলা হয়নি। কিন্তু আমেরিকার অধিকাংশ সংবাদমাধ্যমই জানিয়েছে, এই তথ্য ‘চুরি’র মামলায় ট্রাম্পকে ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত করা হয়েছে। আমেরিকার ইতিহাসে এর আগে এ ধরনের অভিযোগে কোনও প্রেসিডেন্ট কিংবা প্রাক্তন প্রেসিডেন্টই অভিযুক্ত হননি। সে ক্ষেত্রে ট্রাম্পই ‘নজির’ তৈরি করতে চলেছেন।

এই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে ট্রাম্প সমাজমাধ্যমে লেখেন, “আমি কখনও ভাবিনি যে, দেশের প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে এমন কিছু হওয়া সম্ভব।”


এই মামলা সম্পর্কে অভিজ্ঞরা জানিয়েছেন, ২০২০ সালে নিরাপত্তা সংক্রান্ত একাধিক নথি আমেরিকার মহাফেজখানা থেকে নিয়ে গিয়েছিলেন ট্রাম্প। অভিযোগ, সেগুলো ট্রাম্প ফেরত দেননি। উল্টে এই নিয়ে তদন্ত শুরু হলে তদন্তপ্রক্রিয়ায় বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন।
আগামী বছর আমেরিকায় ভোট ৷ ৭৭ বছর বয়সি ট্রাম্প ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেও রিপাবলিকান দলের প্রার্থী হয়ে নামতে চলেছেন। এর আগে পর্নতারকাকে ঘুষ দেওয়ার মামলাতেও নাম জড়িয়েছিল ট্রাম্পের। এবার আর এক আইনি বিড়ম্বনায় পড়লেন আমেরিকার ‘বিতর্কিত’ প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট।

গোপন নথি সংক্রান্ত মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। হোয়াইট হাউস ছাড়ার পরও রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ নানা নথি ব্যবহারের মামলায় তার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ গঠন করা হয়। এর আগে একজন পর্নতারকাকে অর্থ দেওয়ার তথ্য লুকোনোর অভিযোগে গত এপ্রিলে প্রথম সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে অভিযুক্ত হন ট্রাম্প।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় গোপনীয় নথি নিজের বাড়িতে রাখা এবং তা ফেরত দিতে অস্বীকৃতি জানানো সহ সাতটি অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে অভিযোগের আরও বিশদ বিবরণ এখনও অস্পষ্ট বলে উল্লেখ করা হয়েছে। অভিযোগ গঠনের ফলে আদালতে ট্রাম্পের বিচার শুরু হবে।

বিবিসি বলছে, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আদালতে এ নিয়ে দ্বিতীয়বার অভিযোগ গঠন করা হল এবং প্রাক্তন কোনও মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে এটিই প্রথম ফেডারেল অভিযোগ৷

ফেডারেল অপরাধ হল এমন কিছু অপরাধ যা যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকার দ্বারা নির্ধারিত। যে কাজগুলোকে দেশটির কংগ্রেসের উভয় কক্ষ সিনেট এবং হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে অবৈধ বলে পাশ হওয়ার হওয়ার পর তা দেশটির প্রেসিডেন্টের সইয়ের মাধ্যমে অপরাধ বলে ঘোষণা করা হয় সেগুলোকে ফেডারেল অপরাধ বলা হয়। এ ধরনের অপরাধের বিচার দেশটির ফেডারেল বা রাজ্যের বিচার বিভাগ উভয়ই করতে পারে।

নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে অবশ্য একটি পোস্টে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি নির্দোষ এবং গত মঙ্গলবার মিয়ামির একটি ফেডারেল আদালতে হাজির হওয়ার জন্য তাকে তলব করা হয়েছিল।

ট্রাম্প লিখেছেন, ‘আমি কখনোই ভাবিনি যে, আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের সাথে এমন ঘটনা ঘটতে পারে। এটি সত্যিই আমেরিকার জন্য একটি অন্ধকার দিন। দেশ হিসেবে আমরা গুরুতরভাবে এবং দ্রুত পতনের দিকে যাচ্ছি। কিন্তু একসাথে আমরা আমেরিকাকে আবারও মহান করব ৷

মিডিয়া বলেছে, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অন্তত সাতটি অভিযোগ রয়েছে। অবশ্য একটি অভিযাগ থাকলেই সন্দেহভাজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযুক্ত অপরাধের বিচার করা যায়।

এমন সময় মামলাটিতে অভিযুক্ত হলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প, যা ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের যে ইচ্ছা তাকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। কারণ, তিনি এই মামলায় দোষী প্রমাণিত হলে তার কারাদণ্ড হতে পারে এবং ফেডারেল অপরাধে কারাদণ্ড হলে তাকে প্রেসিডেন্ট হওয়ার অযোগ্য বলেও ঘোষণা করা হতে পারে।

Previous articleCanadian Wildfires: ভয়াবহ দাবানলে পুড়ছে কানাডা, ঘরবন্দি নিউ ইয়র্কবাসী
Next articleAkhand Bharat’ map: অখণ্ড ভারতের মানচিত্র নিয়ে তোলপাড় বাংলাদেশে, কী প্রতিক্রিয়া দিল নয়াদিল্লি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here