অর্পিতা বনিক ও রিয়া দাস , বানগাঁ : দীপাবলি মূলত পাঁচ দিনের উৎসব। তারই একটি দিন ধনত্রয়োদশী। ধন
মানে সম্পত্তি। ত্রয়োদশী
শব্দের অর্থ ১৩ তম দিন। দীপাবলীর দিন দুই আগে ধনতেরাস হয়। এদিন দেবী লক্ষ্মী তাঁর ভক্তদের গৃহে যান ও তাঁদের ইচ্ছাপূরণ করেন।
ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের কাছে দিনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাঁরা এ দিন দামি ধাতু কেনেন। সম্পদের দেবতা কুবেরও এ দিন পূজিত হন।
অনেকেই এই দিনটি বিশেষ শুভ বলে মনে করেন। অনেকে এদিন বাড়িতে লক্ষ্মী পুজোও করেন। মূলত অবাঙালিদের মধ্যে এর প্রচলন থাকলেও এখন বাঙালিদের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়েছে এই উৎসব। এই উৎসবে মূলত সোনা কেনা হয়। সোনা না কিনতে পারলেও যে-কোনও ধাতু কেনাকেই শুভ বলে মনে করা হয়।
কথিত আছে, রাজা হিমার ১৬ বছরের ছেলের উপর এক অভিশাপ ছিল। রাজকুমারের কোষ্ঠীতে লেখা ছিল, বিয়ের চার দিনের মাথায় সাপের কামড়ে তার মৃত্যু হবে। যথাকালে ছেলে বড় হল। অনিচ্ছা সত্ত্বেও রাজা ছেলের বিয়ে দিলেন। ক্রমে রাজকুমারের স্ত্রীও জানলেন সেই কথা। নববধূ ঠিক করলেন, তিনি তাঁর স্বামীকে রক্ষা করবেন। সেই অভিশপ্ত দিনে তিনি তাঁর স্বামীকে ঘুমোতে দিলেন না। শোবার ঘরের বাইরে সমস্ত গয়না ও সোনা-রূপার মুদ্রা জড়ো করে রাখলেন তিনি। সেই সঙ্গে সারা ঘরে বাতি জ্বালিয়ে দিলেন।
স্বামীকেও জাগিয়ে রাখলেন। সারারাত গানে-গল্পে কাটতে লাগল। এদিকে অভিশাপমতো মৃত্যুর দেবতা যম যথাসময়ে তাঁদের ঘরের দরজায় এলেন। আলো আর গয়নার জৌলুসে তাঁর চোখ ধাঁধিয়ে গেল। রাজপুত্রের শোবার ঘর পর্যন্ত তিনি পৌঁছন ঠিকই। কিন্তু সোনার উপর বসে গল্প আর গান শুনেই তাঁর সময় কেটে গেল। এদিকে ভোরের আলো ফুটতেই কাজ অসম্পূর্ণ রেখেই চলে যেতে হল যমকে। আর রাজপুত্রের প্রাণও বেঁচে গেল। সকালে ঘুম ভেঙে বৃদ্ধ রাজা জানলেন, তাঁর অভিশপ্ত পুত্রের মৃত্যু হয়নি! সেই আনন্দে সেদিন রাজ্য জুড়ে উৎসব পালন হল। দিনটি ছিল ত্রয়োদশী।
আজও তা, চলে আসছে। হয়তো আর অভিমুখ বদলে গিয়েছে। কিন্তু দিনটির শুভত্ব সম্বন্ধে মানুষের মনে দৃঢ়মূল ধারণা তৈরি হয়েছে। আর তাই আজও দিনটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়ে চলেছে। দেখুন ভিডিও
ধনতেরস উৎসবটি আসলে কী? এর প্রকৃত কাহিনী… কথিত আছে, এদিন ধন সম্পদের দেবতা কুবের ও ধনসম্পদের দেবী লক্ষ্মীর বিশেষ পুজো করা হয়। শুধু তাই নয়, এদিন ভগবান ধন্বন্তরীরও পুজো করা হয়ে থাকে। পৌরাণিক কাহিনি মতে, কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের ত্রয়োদশী তিথিতে সমুদ্রমন্থন থেকে অমৃত ভরতি পাত্র নিয়ে আবির্ভুত হন ভগবান ধন্বন্তরী।
[09/11, 10:56 am] Desher Samay: দীপাবলির সূচনা হয় ধনতেরসের হাত ধরেই। হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুসারে, এ বছর ১০ নভেম্বর ধনতেরস উত্সব। প্রতি বছর কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের ত্রয়োদশী তিথিতে পালিত হয় এই বিশেষ উত্সব। কথিত আছে, এদিন ধন সম্পদের দেবতা কুবের ও ধনসম্পদের দেবী লক্ষ্মীর বিশেষ পুজো করা হয়। শুধু তাই নয়, এদিন ভগবান ধন্বন্তরীরও পুজো করা হয়ে থাকে। পৌরাণিক কাহিনি মতে, কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের ত্রয়োদশী তিথিতে সমুদ্রমন্থন থেকে অমৃত ভরতি পাত্র নিয়ে আবির্ভুত হন ভগবান ধন্বন্তরী। তাঁরে বিষ্ণুর অবতার বলে মনে করা হয়। দীপাবলির আগে ধনতেরসের দিন ধন্বন্তরীর আবির্ভাব উত্সব হিসেবেও পালন করা হয়। এদিন সোনা ও রূপার গয়না বা জিনিস কেনাকাটারও বিশেষ তাত্পর্য রয়েছে। এদিনের সঙ্গে যোগ রয়েছে কৃষিকাজেরও। কারণ এদিন ধনে বীজ কিনে বাড়ির বাগানে লাগালে লক্ষ্মীর আশীর্বাদ বর্ষণ হয় বলে মনে করা হয়।
[09/11, 10:57 am] Desher Samay: ধনতেরসের শুভ মুহূর্ত
পঞ্চাঙ্গ অনুসারে, কার্তিক কৃষ্ণ ত্রয়োদশী তিথি শুরু হবে ১০ নভেম্বর দুপুর ১২টা ৩৫ মিনিটে। চলবে পরের দিন ১১ নভেম্বর দুপুর ১টা ৫৭ মিনিট পর্যন্ত। প্রদোষ সময়কালে ধনতেরাস উত্সব উদযাপনের একটি রীতি রয়েছে, তাই ১০ নভেম্বর শুক্রবারেও পালিত হতে চলেছে।
[09/11, 10:58 am] Desher Samay: ধনতেরাসে সোনা কেনার শুভ সময়
পঞ্চাঙ্গের গণনা অনুসারে, ধনতেরাসে সোনা কেনার শুভ সময় হল দুপুর ১২টা ৩৫ মিনিটে। পরের দিন ১১ নভেম্বর সকাল ৬টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত থাকবে শুভ মুহূর্ত। এই সময়ে সোনা বা রূপার জিনিস কিনলে ঘরে সমৃদ্ধি ফিরে আসে, সম্পদ বহুগুণ বৃদ্ধি পায় বলে মনে করা হয়।
[09/11, 11:07 am] Desher Samay: ১/ কালীপুজোর দু’দিন আগে ধনতেরস উৎসব ঘিরে ইদানীং এক শ্রেণির বাঙালির মধ্যেও বেশ উত্তেজনা চোখে পড়ছে। ধনতেরস কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের ত্রয়োদশী তিথিতে পালন করা হয়। সে দিন নতুন বাসন, অলঙ্কার, ঝাঁটা কেনার ধুম শুরু হয় বাজারে বাজারে। সোনার দোকানগুলিতে গয়না কেনার জন্য ভিড় উপচে পড়ে। কেন ওই দিন সোনা কেনা হয়?
[09/11, 11:08 am] Desher Samay: ২/ভারতীয়দের মধ্যে সোনার গুরুত্ব অপরিসীম। সোনাকে সম্পদ, বিশুদ্ধতা এবং নিরাপত্তার প্রতীক হিসাবে গণ্য করা হয়। ধনতেরসে সোনা কেনা কেন লাভজনক?
অনেকের মতে, ধনতেরসের দিন সোনা কিনলে ধনদেবী লক্ষ্মীর আশীর্বাদ পাওয়া যায়। ঘরে সমৃদ্ধি আনতে তাই অনেকেই সোনার গয়না কেনেন। অনেকের মনে ওই দিন সোনা কিনলে বাড়ির শ্রীবৃদ্ধি হবে।
সোনা সব সময়েই একটি নিরাপদ এবং নির্ভরযোগ্য বিনিয়োগ হিসাবে বিবেচিত হয়। সোনার দাম সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বৃদ্ধি পায়। তাই সোনায় বিনিয়োগ করা সব সময়েই বুদ্ধিমানের কাজ। তাই ভবিষ্যতের কথা ভেবে ওই দিন সোনায় বিনিয়োগ করাই যায়।
সোনার গয়না কিনতে হলে ধনতেরসের দিনটি বেছে নেওয়া আরও একটি কারণে লাভজনক। ওই দিন বিভিন্ন দোকানে সোনার গয়নার মজুরির উপর বড় অঙ্কের ছাড় দেওয়া হয়। তাই ওই দিন গয়না কিনলে খরচ অনেকটাই কম হয়।