জয়দীপ মৈত্র : দক্ষিণ দিনাজপুর: দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুরে অল ইন্ডিয়া স্পোর্টস কারাতে ডু অ্যাসোসিয়েশনের তরফে হয়ে গেল ছাত্র-ছাত্রীদের বার্ষিক পরীক্ষার শংসাপত্র প্রদান, বেল্ট ও গ্রেডেশন প্রদান। মূলত, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুরের ক্যারাটে প্রশিক্ষক সমীর দত্ত যিনি এআইএসএসকের ভাইস প্রেসিডেন্ট তিনি গঙ্গারামপুর সহ দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার এই ক্যারাটে ইনস্টিটিউটের কর্ণধার এবং প্রশিক্ষক।
এদিন বিকেলে গঙ্গারামপুর শহরের জগন্নাথ মন্দিরে অবস্থিত তার ক্যারাটে প্রশিক্ষণ স্কুলে হয়ে গেল বার্ষিক ক্যারাটের পরীক্ষার শংসাপত্র বেল্ট ও গ্রেডেশন প্রদান। উল্লেখ্য, প্রশিক্ষক সমীর দত্তের ইনস্টিটিউটে ক্যারাটে তাইকোন্ডো এবং যোগা শেখানো হয়। বরাবরই তার কাছ থেকে ছাত্রছাত্রীরা প্রশিক্ষণ পেয়ে বিভিন্ন জায়গায় টুর্নামেন্টে গিয়ে সেখানে পুরস্কৃত হয়ে এসেছে এবং দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার নাম উজ্জ্বল করেছে। এদিন মোট ৩০ জন সফল পরীক্ষার্থীদের হাতে তাদের শংসাপত্র বেল্ট ও মেডেল তুলে দেন ক্যারাটের প্রশিক্ষক সমীর দত্ত।
প্রশিক্ষক সমীর দত্ত ছাত্রছাত্রীদের এমন ফলাফলে বেজায় খুশি। এর পাশাপাশি উপস্থিত ছাত্রছাত্রীরা যারা সফল হয়েছে তারা ভীষণ আপ্লুত তাদের প্রশিক্ষক সমীর দত্তের হাত থেকে বেল্ট ও পুরস্কার পেয়ে। এ বিষয়ে ক্যারাটের প্রশিক্ষক সমীর দত্ত জানান, “প্রতিবছরই আমার ইনস্টিটিউট থেকে বার্ষিক পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয় যেখান থেকে প্রচুর ছাত্রছাত্রীরা সফলতা লাভ করে এবং বেল্ট ও গ্রেডেশনে যায়, এবছরও তা হয়েছিল এবং মোট ৩০ জন পরীক্ষার্থী সফলতা অর্জন করে বেল্ট ও গ্রেডেশন পায়।
আমি ভীষণ খুশি তাদের ফলাফলে আমার হাতে অনুশীলন দিয়ে তৈরি করেছি প্রশিক্ষণ দিয়েছি এবং ভবিষ্যতে আরও বড় বড় টুর্নামেন্টে গিয়ে তারা পুরস্কৃত হয়ে এসে জেলা দেশ সহ আমার ইনস্টিটিউট ও ক্যারাটে মাধ্যমকে অনুপ্রাণিত করার পাশাপাশি সুনাম অর্জন করুক যাতে করে আরও সবাই এগিয়ে আসে। ভবিষ্যতে ইচ্ছে রয়েছে আরও বড় বড় টুর্নামেন্টে আমার এই ছাত্র-ছাত্রীদেরকে পারফরমেন্স করানোর জন্য। বর্তমান সময়ে বিশেষ করে ছেলে মেয়ে উভয়কে বিশেষ করে মেয়েদের সেলফ ডিফেন্স আত্মরক্ষার কৌশল শেখা উচিত। এতে করে দেহ মন যেমন ভালো থাকবে সুস্থ থাকবে শরীর চর্চার মধ্যে থাকবে তেমনি পথে খাটি বিপদে পড়লে আত্মরক্ষার কৌশল দিয়ে নিজেকে ও পরিবারের সদস্যদের প্রতিরক্ষা করা যাবে”।
এদিন গঙ্গারামপুরের এই ক্যারাটে প্রশিক্ষণ স্কুলে বার্ষিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সফলতা অর্জন করে ছাত্রছাত্রীরা প্রশিক্ষক সমীদত্তের হাত থেকে বেল্ট শংসাপত্র গ্রেডেশন পেয়ে ভীষণভাবে খুশি ও আপ্লুত তা বলাই বাহুল্য।