দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ আগামী ৯ মে থেকে ১১ মে’র মধ্যে বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে।এটি উপকূলে আঘাত হানতে পারে ১১ থেকে ১৫ মে’র মধ্যে। শনিবার রাতে মার্কিন গ্লোবাল ফোরকাস্ট সিস্টেম এই আশঙ্কার কথা জানিয়েছে।
সর্বশেষ পূর্বাভাস অনুসারে, ১১ মে মধ্যরাতের পর থেকে ১৩ মে’র মধ্যে ঘূর্ণিঝড়টি মায়ানমারের রাখাইন রাজ্য ও বাংলাদেশের চট্টগ্রাম উপকূলে আঘাত হানতে পারে। বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানলে বাতাসের সম্ভাব্য গতিবেগ থাকতে পারে ১৫০ থেকে ১৮০ কিলোমিটার। তবে এটি ভারতের ওড়িশা রাজ্যের উপকূলে আঘাত হানার আশঙ্কাও রয়েছে। বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়টি তৈরি হলে নাম হবে ‘মোচা’। নামটি দিয়েছে ইয়ামেন।
এদিকে /জোড়া ঘূর্ণাবর্তের কারণেই বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। রবিবার এবং সোমবার কলকাতা-সহ দক্ষিণের সব জেলাতেই বৃষ্টির কারণে কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। উত্তরবঙ্গে শিলাবৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। সেই সঙ্গে জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ারে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। তার জেরে ক্ষতি হতে পারে ফসলের।
আলিপুর হাওয়া অফিস জানিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাংশ এবং প্রতিবেশী ছত্তীসগঢ়ের উপর ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। তার টানে বঙ্গোপসাগর থেকে ছুটে আসছে জলীয় বাষ্প। এই কারণেই ৩০ এপ্রিল থেকে ৩ মে পশ্চিমবঙ্গের প্রায় সব জেলায় বৃষ্টি হতে পারে। সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। কলকাতা-সহ দক্ষিণের সব জেলায় কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে ৷
রবি এবং সোমবার পশ্চিমবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস আগেইছিল। সেই মতো রবিবার দুপুর গড়াতেই প্রকৃতির ভোলবদল! কালো হয়ে এসেছে আকাশ ৷ বিক্ষিপ্ত ভাবে বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে৷
মঙ্গল এবং বুধবার উত্তরবঙ্গ এবং গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। রবিবার বীরভূম, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ এবং দুই বর্ধমানে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে। সঙ্গে ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং দুই ২৪ পরগনায়। সঙ্গে ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। সঙ্গে ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। বিক্ষিপ্ত ভাবে হতে পারে সেই বৃষ্টি।
ইতিমধ্যেই রাজ্যে বজ্রপাতের জেরে প্রাণ হারিয়েছেন অন্ত ত ১৬ জন। তাই হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস যেন নিরাপদ আশ্রয়ে থাকেন সকলে। রাজ্যে ইতিমধ্যেই জারি হয়েছে কমলা সতর্কতা। যার জেরে জেলাগুলিতে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। আবহাওয়া অফিস সূত্রে খবর, এই ঝড়বৃষ্টি চলবে আগামী বুধবার পর্যন্ত। দক্ষিণবঙ্গে রবি ও সোমবার এবং উত্তরবঙ্গে গতকাল ও আজ কমলা সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস। এর জেরে গোটা রাজ্যেই বৃষ্টিতে ভিজবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর।
আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যে তাপপ্রবাহের কোনও আশঙ্কা নেই, আশ্বাস দিচ্ছেন আবহাওয়াবিদরা। রবিবারও বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টি হচ্ছে। বিকেলে আরও কিছু জেলায় ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময়ে তীব্র দাবদাহে প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়ে উঠেছিল আপামর রাজ্যবাসীর। বেশির ভাগ জেলাতেই তাপপ্রবাহ দেখাগিয়েছিল। তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়েছিল একাধিক জায়গায়। সেই অবস্থা থেকে অবশেষে মুক্তি পাওয়া গিয়েছে। আপাতত গরম বাড়ার আর কোনও সম্ভাবনা নেই বলেই জানা গিয়েছে।