Cyclone Ashani: সমুদ্রেই দুর্বল হবে ‘অশনি’? দুর্যোগে কৃষকরা কী করবেন? পরামর্শ দিল রাজ্য সরকার

0
800

দেশের সময়় ওয়েবডেস্কঃ আন্দামান সাগরের গভীর নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিবর্তিত হবে আজই। রবিবার সাগরে জন্ম নেবে ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’ । তবে এই ঘূর্ণিঝড় নিয়ে আশার কথা শোনাল হাওয়া অফিস ৷

আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে ঘূর্ণিঝড় অশনি তৈরি হওয়ার পর পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর থেকে ক্রমশ উত্তর পশ্চিম দিকে এগোবে। সমুদ্রেই এই ঘূর্ণিঝড়ের শক্তি ক্ষয়ের সম্ভাবনা দেখছেন আবহবিদরা। আপাতত অশনির ল্যান্ডফলের কোনও সম্ভাবনা নেই।

তবে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়বে উপকূল ঘেঁষা এলাকায়। পশ্চিম বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন ওড়িষা, অন্ধ্র উপকূলে অশনির প্রভাবে ঝড়বৃষ্টি হবে। হাওয়ার সর্বোচ্চ গতিবেগ হতে পারে ১০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। বুধবার পর্যন্ত এর স্থলভাগে আছড়ে পড়ার কোনও সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।

তবে অশনির পরোক্ষ প্রভাব পড়তে চলেছে বাংলাতেও। আগামী সপ্তাহে বুধ-বৃহস্পতিবার দক্ষিণবঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎসহ ভারী বৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। অশনি সমুদ্রকেও উত্তাল করবে। মঙ্গলবার থেকেই মৎস্যজীবীদের জন্য সমুদ্রে যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। উত্তরবঙ্গের জেলাতেও মঙ্গলবার থেকেই বাড়তে পারে বৃষ্টির পরিমাণ।

আন্দামান সাগরের গভীর নিম্নচাপ আজই পরিণত হবে ঘূর্ণিঝড়ে । তারপর তা উপকূলের দিকে এগিয়ে আসবে ‘অশনি’ রূপে। এই ঘূর্ণিঝড়ের সরাসরি প্রভাব না পড়লেও পশ্চিমবঙ্গে এর প্রভাবে ঝড়বৃষ্টি হবে। দুর্যোগ চলবে সারা সপ্তাহ ধরেই। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের কৃষকদের জন্য সতর্কবার্তা জারি করল সরকার ৷

কৃষি দফতরের তরফে একটি অ্যাডভাইজরি জারি করা হয়েছে। তাতে মূলত দক্ষিণবঙ্গের কৃষকদের একগুচ্ছ পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সরকার জানিয়েছে, আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামী ১০ থেকে ১৩ মে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। রাজ্যের কৃষকদের, বিশেষত দক্ষিণবঙ্গের কৃষকদের কিছু পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

বলা হয়েছে, যত দ্রুত সম্ভব মাঠের পাকা ধান কেটে ফেলতে হবে কৃষকদের। প্রয়োজনে তাঁদের যন্ত্রের সাহায্য নিতে হবে। ধান কেটে ঝেড়ে দ্রুত গুদামজাত করতে হবে।

এছাড়া সবজি, তৈলবীজ, ডালশস্যের জমিতে জমা জল নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা দরকার। দুর্যোগের পর ছত্রাক জন্মে শস্যের যাতে ক্ষতি না হয় তার জন্য আগে থেকে ছত্রাকনাশকের ব্যবস্থাও করে রাখতে বলা হয়েছে।

আখ গাছের জন্য বিশেষভাবে সতর্ক করেছে কৃষি দফতর। বলা হয়েছে। আখ গাছকে দু-তিনরকম উচ্চতায় সারির একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্ত পর্যন্ত প্যাঁচ দিয়ে আখের পাতা দিয়েই বেঁধে দিতে হবে। তাহলে গাছের ক্ষতি হবে না। পেঁপে, কলাজাতীয় গাছের যাতে ঝড়ে ক্ষতি না হয় সেই ব্যবস্থাও করতে বলেছে কৃষি দফতর। সবজির মাচা, পানের বরজেও শক্ত করে বাঁধার ব্যবস্থা করতে হবে।

রবিবার দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টির সম্ভাবনা কম। সোমবার থেকে বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি হতে পারে। আকাশ থাকবে মেঘলা। মঙ্গলবারের পর কলকাতাতেও ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে জানানো হয়েছে।

Previous articleDesher Samay e Paper দেশের সময় ই পেপার
Next articleMother’s Day 2022 Wishes: মাতৃদিবস উপলক্ষে গানের মাধ্যমে মায়েদের শ্রদ্ধা জানাল সোহিনী সোহা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here