
দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ দেশে ২৪ ঘণ্টায় করোনায় দৈনিক সংক্রমণ বাড়ল ২১ শতাংশেরও বেশি।

প্রায় দেড় লক্ষের কাছাকাছি চলে গেল নতুন আক্রান্তের সংখ্যা। শুক্রবারের তুলনায় সংক্রমণ বাড়ল ২১ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ লক্ষ ৪১ হাজার ৯৮৬ জন। মৃত্যু হয়েছে ২৮৫ জনের। দৈনিক পজিটিভিটি রেট ৯.২৮ শতাংশ। এদিন সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪০ হাজার ৮৯৫ জন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া বুলেটিন অনুযায়ী অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা বাড়ল ১ লক্ষেরও বেশি। দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা বেড়ে হল ৪ লক্ষ ৭২ হাজার ১৬৯।

সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। গত ২৪ ঘণ্টায় এরাজ্যে সংক্রমিত ১৮ হাজার ২১৩ জন। প্রথম স্থানে মহারাষ্ট্র। সেখানে আক্রান্ত ৪০ হাজার ৯২৫ জন। এরপর রয়েছে দিল্লি (১৭,৩৩৫), তামিলনাড়ু (৮,৯৮১), কর্ণাটক (৮,৪৪৯)। যে হারে সংক্রমণ বাড়ছে তা নিয়ে উদ্বেগ আরও বাড়ছে। এদিকে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা আরও বেড়ে হল ৩ হাজার ৭১। তবে খুব কম কোভিড রোগীর জিনোম সিকোয়েন্সিং করা হচ্ছে দেশে। এদিকে দৈনিক সংক্রমণ যে হারে প্রতিদিন বাড়ছে তা থেকে মনে করা হচ্ছে ওমিক্রনের গোষ্ঠী সংক্রমণই এর জন্য দায়ী।

একই সঙ্গে শুক্রবার সাত মাস পর করোনায় দৈনিক এক লক্ষ আক্রান্ত হওয়ার গণ্ডি পেরল দেশ। এর আগে গত বছরের জুন মাসে দৈনিক এক লক্ষ আক্রান্ত হওয়ার গণ্ডি পার করেছিল ভারত।

একই সঙ্গে দেশে উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে করোনার নতুন রূপ ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা। দেশে বর্তমানে মোট ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ৩,০৭১ জন। তবে তাঁদের মধ্যে ১,২০৩ জন ইতিমধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
ওমিক্রন আক্রান্তের দিক থেকেও শীর্ষে মহারাষ্ট্র। মহারাষ্ট্রে মোট ৮৭৬ জন করোনার নতুন রূপ ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন। এর পরেই রয়েছে দিল্লি। দিল্লিতে মোট ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ৫১৩। হঠাৎ করে দেশে করোনার স্ফীতি বৃদ্ধির পিছনে ওমিক্রনকেই দায়ী করেছেন বিশেষজ্ঞেরা।
