দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ আতঙ্ক ক্রমেই বাড়ছে রাজ্যে।
সেই সঙ্গে বাড়ছে উদ্বেগও ৷ কারণ আক্রান্তের সংখ্যা রোজই ভাঙছে রেকর্ড। গত এক দিনে রাজ্যে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২৪ হাজার ২৮৭ জন। এক দিনে এত জন এ রাজ্যে এর আগে আক্রান্ত হননি।
হুহু করে বেড়েছে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা। সংক্রমণের হারও তথৈবচ। রবিবার স্বাস্থ্য দপ্তর যে পরিসংখ্যান দিল, তাতে দেখা গেল এখন পর্যন্ত রাজ্যে আক্রান্ত হয়েছেন ১৭ লক্ষ ৫৫ হাজার ৪৬ জন। গত কালের থেকে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা বেড়েছে ১৬ হাজার ৫৬। রাজ্যে এখন সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৭৮ হাজার ১১১। গত কাল রাজ্যে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৮ হাজার ৮০২ জন।
প্রাণ হারিয়েছিলেন ১৯ জন। রবিবার মৃত্যুর সংখ্যা সামান্য কমল, তাতেই যা একটু স্বস্তি। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে মারা গিয়েছেন ১৮ জন। রাজ্যে এখন সুস্থতার হার ৯৪.৪২ শতাংশ। মৃত্যুর হার ১.১৩ শতাংশ। তবে সংক্রমণের হার কিন্তু দিন দিন বাড়ছে। রাজ্যে সংক্রমণের হার এদিন ৩৩.৮৯ শতাংশ। এই নিয়েই উদ্বেগে চিকিৎসকরা। তাঁরা মনে করছেন, আসল আক্রান্তের সংখ্যা অনেক বেশি।
সংক্রমণের নিরিখে শীর্ষে যথারীতি কলকাতা। গত এক দিনে সেখানে নতুন করে আক্রান্ত ৮ হাজার ৭১২ জন। তার পরেই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। সেখানে গত এক দিনে নতুন করে আক্রান্ত ৫ হাজার ৫৩ জন। এর পরেই রয়েছে হাওড়া। সেখানে ওই একই সময়ে নতুন করে আক্রান্ত ১ হাজার ৭৪২ জন। দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হুগলি, পশ্চিম বর্ধমানে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা হাজারের বেশি। সব জেলাতেই বেড়েছে দৈনিক আক্রান্ত।
মৃত্যুর নিরিখে শীর্ষে উত্তর ২৪ পরগনা। গত এক দিনে সেখানে কোভিডে মারা গিয়েছেন ছয় জন। তার পরেই রয়েছে কলকাতা। সেখানে কোভিডের বলি পাঁচ। হাওড়া এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় মারা গিয়েছেন দু’জন করে। পূর্ব মেদিনীপুর, হুগলিতে মারা গিয়েছেন এক জন করে।
রাজ্যে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা যে তিরিশ থেকে পয়ত্রিশ হাজারে পৌঁছতে পারে, কয়েকদিন আগে স্বাস্থ্য ভবনের তরফেই সেই সতর্কতা জারি করা হয়েছিল৷ যে ভাবে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে, তাতে স্বাস্থ্য কর্তাদের সেই আশঙ্কা সত্যিই হওয়া হয়তো সময়ের অপেক্ষা মাত্র৷
করোনা সংক্রমণের হার নিয়ন্ত্রণে গত কয়েকদিন ধরে বেশ কিছু বিধিনিষেধ জারি হয়েছে রাজ্যে৷ স্থানীয় ভাবে বহু জায়গাতেই বাজার বন্ধ রাখার মতো কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে৷ তার পরেও সংক্রমণের হারে লাগাম টানা যাচ্ছে না৷ ফলে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিদিনই উদ্বেগ বাড়ছে রাজ্য প্রশাসনের৷ বিশেষত এখনও এক শ্রেণির মানুষের মধ্যে যে অসচেতনতার ছবি দেখা যাচ্ছে, তাতে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের কপালে চিন্তার ভাঁজ বাড়ছে৷