দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ বরাবরই ছাত্রদের পাশে দাঁড়িয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । পড়ুয়াদের স্বার্থে একাধিক প্রকল্প চালু করেছে রাজ্য। এবার ১ জানুয়ারি দিনটিকে মা-মাটি-মানুষ দিবস হিসেবে পালন করে তৃণমূল সরকার। তবে এবার থেকে এই দিনটিকেই স্টুডেন্টস ডে বা ‘ছাত্র দিবস’ হিসেবে পালন করার কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার মধ্যমগ্রামে প্রশাসনিক বৈঠক থেকে তিনি বললেন, “বছরের প্রথমদিন পড়ুয়াদের জন্য উৎসর্গ করব আমরা।” ওই দিন যাতে একসঙ্গে অনেক ছাত্রছাত্রীকে স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ড দেওয়া হয়, শিক্ষা দফতরকে সেই নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছে তৃণমূল। তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর এই প্রথম উত্তর ২৪ পরগনায় প্রশাসনিক বৈঠক করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী, মন্ত্রী সুজিত বসু, খাদ্যমন্ত্রী রথীন চক্রবর্তী, বসিরহাটের সাংসদ নুসরত জাহান , বারাকপুরের বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী -সহ জেলার ডিএম, এসপিরা। সেখানে রাজ্যের প্রকল্পগুলি নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
১৯৯৮ সালের ১ জানুয়ারি তৃণমূল দল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন মমতা। পরে দলের সেই প্রতিষ্ঠা দিবসকে তিনি মা-মাটি-মানুষ দিবস হিসেবে পালন করার কথা ঘোষণা করেন। এবার সেই দিনটিকেই পড়ুয়াদের জন্য বেছে নিলেন মমতা। তিনি জানান, ওই দিন পড়ুয়াদের ক্রেডিট কার্ড দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। পাশাপাশি আগামী ২০ ডিসেম্বর রাজ্যে শিক্ষা মেলা করার কথা ঘোষণা করেছেন তিনি। মমতা জানান, ওই দিন ১০ হাজার পড়ুয়াকে ক্রেডিট কার্ড দেওয়া হবে। এ ছাড়া বিবেকানন্দ স্কলারশিপ দেওয়ার জন্য ১২ জানুয়ারি দিনটিকে বেছে নেওয়ার কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
অন্যদিকে, শিক্ষা দফতরেপ তরফ থেকে এ দিন জানানো হয়েছে, শিক্ষা মেলার দিন ক্যাম্প থেকে ক্রেডিট কার্ড দেওয়া হবে। ১৫০ থেকে ২০০ কোটি টাকা এই দিন পড়ুয়াদের সরকারের তরফে ঋণ দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। মমতা বলেন, প্রত্যক মাসে বা প্রতি ১৫ দিন অনত্র যদি এরকম একটা করে মেলা করা যায়, তাহলে পড়ুয়াদের ঋণ পেতে সুবিধা হবে। যাদের একটা কোর্স শেষ হয়ে যাচ্ছে, তারাও এই ঋণ নি তে পারবেন বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।