দেশের সময়: পছন্দের পুতুল নিয়ে খেলছিল একরত্তি। খেলতে খেলতে সেই পুতুল মুখে দেয় ওই শিশুটি। অমনি পুতুলে থাকা বাঁশি তার গলায় চলে যায়। দম আটকে আসায় শিশুটি কাঁদতে শুরু করে। ছুটে আসে বাড়ির লোকজন। তাঁরা বিষয়টি বুঝতে পেরেই নিয়ে যান কাছের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে।
সেখানকার চিকিৎসকরা কিছু ওষুধ দিয়ে ছেড়ে দেন। বলেন, বাঁশি পেটে চলে যাবে। তারপর বেরিয়ে যাবে মলের সঙ্গে। কিন্তু শিলিগুড়ি সংলগ্ন আমবাড়ির বাসিন্দা ওই শিশুর পরিবারের উদ্বেগ ক্রমেই বাড়ছিল। কারণ, শিশুটি শ্বাস নেওয়ার সময় তার গলার ভিতর থেকে বাঁশির শব্দ শোনা যেত। এরপরই তারা শিশুটিকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে ভর্তি করে।
সিটি স্ক্যান করে দেখা যায়, ডানদিকের ফুসফুসে আটকে রয়েছে বাঁশিটি। অস্ত্রোপচার করা দরকার। কিন্তু তা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। অস্ত্রোপচার থেকে ফুসফুসে সংক্রমণের ভয়ও রয়েছে। তা সত্ত্বেও অপারেশন করা হয়। আর তাতেই সফলভাবে বিবেক রায় নামে ওই শিশুর ফুসফুস থেকে বাঁশিটি বের করা সম্ভব হয়েছে। এখন সে সম্পূর্ণ সুস্থ।