দেশের সময় কলকাতা : কালীঘাটের বৈঠক ভেস্তে যাওয়ার জন্য সরকারের সদিচ্ছা নিয়ে শনিবার রাতে প্রশ্ন তুলেছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। রবিবার সাংবাদিক বৈঠক থেকে এ ব্যাপারে আন্দোলনকারীদেরকেই দায়ী করলেন রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। দেখুন ভিডিও
চন্দ্রিমা মনে করিয়ে দেন, ‘শুধু শনিবারই নয়, এর আগেও মুখ্যমন্ত্রী বারবার বৈঠকে বসতে চেয়ে জুনিয়র ডাক্তারদের অনুরোধ জানিয়েছেন। দীর্ঘ সময় অপেক্ষাও করেছেন। কিন্তু তাতেও লাভ কিছুই হয়নি।’
স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই কর্মবিরতি মানুষের পক্ষে ক্ষতিকারক হয়ে উঠেছে। ইতিমধ্যে ২৯ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এছাড়াও ৭ হাজার মানুষ অস্ত্রপোচারের জন্য বিভিন্ন হাসপাতালের সামনে অপেক্ষা করেছেন। লক্ষ লক্ষ মানুুষ চিকিৎসা পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
চন্দ্রিমা বলেন, “৩ ঘণ্টা অপেক্ষা করেও লাভ হয়নি।
রাত ৯ টা অবধি অপেক্ষার পর যখন আমরা বেরিয়ে আসতে চাইছি, ঠিক তখনই নিজেদের দাবিদাওয়া সরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনা বসতে চেয়েছিলেন আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা।”
প্রসঙ্গত, শনিবার সন্ধেয় শুধু জুনিয়র চিকিৎসকদের দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করার পাশাপাশি বৃষ্টির মধ্যে উঠোনে নেমে তাঁদের ভাই, বোন বললে সম্বোধন করে ঘরে এসে চা খাওয়ার আমন্ত্রণও জানিয়েছিলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। সারাক্ষণ অপেক্ষা করেছিলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, ডিজি রাজীব কুমাররা।
চন্দ্রিমা বলেন, জুনিয়র ডাক্তাদের প্রতি মুখ্যমন্ত্রী সবসময় সহানুভূতিশীল। ইতিমধ্যে জুনিয়রদের দাবি মেনে ৭ ডাক্তারকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বারবার ওঁদের ভিজতে বারণ করলেও সেকথা ওরা শোনেনি।
বৈঠক ভেস্তে যাওয়ার জন্য শনিবার স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে দায়ী করে আন্দোলনকারীরা অভিযোগ, করেছিলেন, যে চন্দ্রিমা কার্যত তাঁদের ঘাড়ধাক্কা দিয়ে বের করে দেন। এদিন ওই প্রসঙ্গে চন্দ্রিমা বলেন, “আমরা সবাই অপেক্ষা করে থাকলাম। এত সময় দিয়েও লাভ হল না। তাঁরা যখন কথা বলবেন তখনই সরকারকে রেডি থাকতে হবে! বলুন, এরপর কী আর কথা বলার থাকতে পারে?”
অর্থাৎ আন্দোলনকারীরা সরকারের সদিচ্ছা নিয়ে যে প্রশ্ন তুলেছিলেন এদিন সাংবাদিক বৈঠক থেকে সেই প্রশ্নই আন্দোলনকারীদের দিকে ফিরিয়ে দিলেন রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী।