দেশের সময়: আলোর দেশ চন্দননগর জগদ্ধাত্রী পুজোয় পাল্লা দিচ্ছে থিমেও। বরাবরের মতো এবারও গোটা দেশ এমনকী বিদেশের মানুষেরও নজর থাকছে গঙ্গাপাড়ের এই পুজোয়। শুক্রবার থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্বোধন। ভিড় জমতে শুরু হয়েছে বারোয়ারি মণ্ডপগুলির সামনে। গোটা চন্দনগরের পথঘাট সেজে উঠেছে রঙিন আলোর মালায়। পুজো ঘিরে মানুষের উন্মাদনা তো আছেই, তার সঙ্গে রয়েছে এই পুজোর শোভাযাত্রা দেখার জন্য অধীর অপেক্ষা। তথ্য বলছে, রিও ডি জেনেরিওর কার্নিভালের পর গোটা বিশ্বে দ্বিতীয় বৃহত্তম শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয় চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী পুজোয়। সারারাত ধরে চলে এই শোভাযাত্রা। যা দেখার জন্য বহু দূরদূরান্ত থেকে মানুষজন আসেন এখানে। চন্দননগরের প্রতিটি বাড়িতে অতিথিদের তিল ধারণের জায়গা থাকে না। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না। 

চন্দননগর বোড়াইচণ্ডীতলা জগদ্ধাত্রী পূজো এবার ৫১ তম বর্ষ। প্রতিমা সহদেব পাল। সৃজনে মানস রায়। আলো দেবাশীষ ঘোষ। ছবি তুলেছেন ধ্রুব হালদার।

চন্দননগর বলতেই দু’টি কথা মনে আসে। প্রথমত, জলভরা সন্দেশ। আর জগদ্ধাত্রী। এককালে এই চন্দননগর ছিল ফরাসিদের অধীনে। আর ফরাসডাঙা ছিল ব্রিটিশ কলকাতার নব্য বাঙালি বাবুদের কাছে উইক এন্ডে কার্যত বিদেশ ভ্রমণের সেরা ঠিকানা। কিন্তু দিন বদলেছে। এখন ফরাসি আভিজাত্য আর রেড ওয়াইনের আকর্ষণের বদলে স্থান করে নিয়েছে চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজো।

মূলত সাবেকিয়ানার পুজোর জন্যই একসময় বিখ্যাত ছিল চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী। এখানকার প্রতিমার ডাকের সাজ দেখলে চোখ ফেরানো যায় না। তবে সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এখন বেড়েছে থিমের দাপট। বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বন তো আছেই, কিন্তু চন্দননগরবাসী সারাবছর জগদ্ধাত্রী পুজোর জন্যই অপেক্ষা করে থাকে। এবছর চন্দননগরে নথিভুক্ত বারোয়ারি পুজো কমিটির সংখ্যা ১৭৭টি। এর বাইরেও অনেক পুজো কমিটি রয়েছে, যারা সেন্ট্রাল পুজো কমিটির বাইরে।

সবমিলিয়ে এবার চন্দননগরে আড়াইশোরও বেশি জগদ্ধাত্রী পুজো হচ্ছে। প্রতি বছরই বাড়ছে পুজোর সংখ্যা। কলকাতায় যেমন উত্তর কলকাতার দুর্গাপুজো ও দক্ষিণ কলকাতার দুর্গাপুজো হয়ে থাকে, জগদ্ধাত্রী পুজোয় তেমনই চন্দননগরে। এখানে যেন উত্তরের সঙ্গে পাল্লা দেয় দক্ষিণের জগদ্ধাত্রী পুজো। উত্তর চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর মধ্যে বিখ্যাত হল, সন্তান সঙ্ঘ, পালপাড়া, হেলাপুকুর, তালডাঙা, বাগবাজার চৌমাথা, বোড়াইচণ্ডীতলা, পঞ্চাননতলা, চাঁপাতলা, সুরের পুকুর। তেমনই দক্ষিণ চন্দননগরের বিখ্যাত জগদ্ধাত্রী পুজোর মধ্যে রয়েছে মানকুণ্ডু নর্থ, সার্কাস মাঠ, নিয়োগী বাগান, নতুনপাড়া, দৈবকপাড়া, বড়বাজার, চার মন্দিরতলা। উত্তর ও দক্ষিণের এই পাল্লার মাঝেই নজর টানে উচ্চতম প্রতিমা। কোনও প্রতিমার উচ্চতা ২৫ ফুট তো, কোনও প্রতিমা ২৭ ফুট উঁচু। এ বলে আমায় দেখ, ও বলে আমায়…। উচ্চতম প্রতিমার মধ্যে তেমাথার ২৭ ফুট উঁচু রানি মাকে দেখতে ভিড় জমান হাজার হাজার দর্শনার্থী। এছাড়াও রয়েছে লালবাগান, ফটকগোড়া, বাগবাজার। রানি মাকে কাঁধে করে শোভাযাত্রার জন্য ট্রাকে তোলা হয়। এত উঁচু প্রতিমা চন্দননগর ছাড়া আরও কোথাও দেখতে পাওয়া যায় না। 

বোড়াইচণ্ডীতলা সর্বজনীনের সহকারী সম্পাদক তন্ময় বোস বলছিলেন, চন্দননগর প্রাণের শহর। ভালবাসার শহর। জগদ্ধাত্রী পুজো ঘিরে এই শহরের বাসিন্দাদের আবেগ চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা মুশকিল। পৃথিবীর যে প্রান্তেই যিনি থাকুন না কেন, চন্দননগরের সঙ্গে শিকড়ের টান থাকলে তিনি জগদ্ধাত্রী পুজোর সময় চলে আসেন এখানে। আর পুজো মানে তো শুধু পুজো নয়, পুজো ঘিরে নানারকম সামাজিক কর্মকাণ্ড চলে। সবাই মিলে খাওয়াদাওয়া, গল্পগুজব। এ এক অনবদ্য মেলবন্ধন। 

জগদ্ধাত্রী পুজোর আবহে চন্দননগরে পা রেখেই বোঝা গেল, এক লহমায় যেন বদলে গিয়েছে এই শহরের ছবিটা। মণ্ডপে মণ্ডপে চোখ ধাঁধানো প্রতিমা। কোথাও রামসীতা কাহিনীর আদলে ডাকের সাজ। কোথাও আবার প্যাগোডা কিংবা মনসামঙ্গলের কাহিনী ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ডাকের সাজের মাধ্যমে। পাশাপাশি রয়েছে চন্দননগরের বেশকিছু প্রাচীন জগদ্ধাত্রী পুজো। এদের মধ্যে যেমন বিখ্যাত চাউলপট্টির প্রতিমা, যা আদি মা নামে পরিচিত। রয়েছে কাপড়ের পট্টির মেজ মা। আদি হালদারপাড়ার বুড়ি মা। এই পুজোগুলি তিনশো, চারশো বছরেরও প্রাচীন। প্রতিটি পুজো ঘিরে রয়েছে ইতিহাস। 

ইতিহাস বলছে, প্রায় আড়াইশো বছর আগে কৃষ্ণনগর রাজবাড়িৗ পুজো দেখে মুগ্ধ হয়ে ইন্দ্রনারায়ণ চন্দননগরের লক্ষ্মীগঞ্জ চাউলপট্টির নিচুপাটিতে জগদ্ধাত্রী পুজোর প্রচলন করেন। লক্ষ্মীগঞ্জ প্রতিষ্ঠার কিছুকাল পরেই এই পুজোর সূচনা। চন্দননগরের আদি পুজো বলতে এটিই। এই ইন্দ্রনারায়ণ চৌধুরি ছিলেন রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের ঘনিষ্ঠ এবং ফরাসি সরকারের দেওয়ান। তবে অনেকে বলে থাকেন, ইন্দ্রনারায়ণ মারা যান ১৭৫৬ সলে। ফলে ওই সময় চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী পুজো শুরু হয়েছিল কি না তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। অন্য মত বলছে, রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের দেওয়ান ছিলেন দাতারাম শূর। তিনি বাস করতেন ভদ্রেশ্বরের গৌরহাটি অঞ্চলে। জনশ্রুতি, ১৭৬২ সালে তাঁর বিধবা মেয়ে বাড়িতেই প্রথম জগদ্ধাত্রী পুজোর সূচনা করেন। পরে সেই পুজো সরে আসে শিবতলায়। আর্থিক কারণে মাঝে কিছুদিন পুজো বন্ধ ছিল।

এই সময় গৌরহাটি এলাকার বাসিন্দারা পুজোটির দায়িত্ব নেন। সেই পুজোয় এখন তেঁতুলতলার পুজো নামে পরিচিত। চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী পুজো শুরু নিয়ে রয়েছে আরও একটি মত। সেই মত অনুযায়ী, চন্দননগরের সঙ্গে কৃষ্ণনগরের বাণিজ্যিক যোগাযোগ বহুদিনের। কৃষ্ণনগরের চাল ব্যবসায়ীরা তৎকালীন ফরাসডাঙা থেকে চাল কিনে বাড়ি ফিরতে না পারায় ফরাসি সরকারের অনুমতিক্রমে চন্দননগরের চাউলপট্টিতে জগদ্ধাত্রী পুজো করেছিলেন। যা পরবর্তীকালে এগিয়ে নিয়ে যান চন্দননগরের চাল ব্যবসায়ীরা। চন্দননগরের লক্ষ্মীগঞ্জ কাপড়পট্টির জগদ্ধাত্রী পুজো এখানকার দ্বিতীয় প্রাচীনতম পুজো। কথিত আছে, ১৭৬৮ সালে চাউলপট্টির ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতের অমিল হওয়ায় কাপড় ব্যবসায়ী শ্রীধর বন্দ্যোপাধ্যায় মতান্তরে শশধর চাঁদা তুলে এই পুজোর প্রবর্তন করেছিলেন। এই অঞ্চলের উল্লেখযোগ্য পুজোর মধ্যে রয়েছে লক্ষ্মীগঞ্জ চৌমাথা ও লক্ষ্মীগঞ্জ বাজারের পুজো। 

চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী প্রতিমার গঠনে অন্যান্য অঞ্চলের চেয়ে স্বাতন্ত্র লক্ষ্য করা যায়। এখানকার সব প্রতিমার সাজ ও চালচিত্র শুভ্র। প্রতিমার মুখমণ্ডলে মানবী ভাব প্রকট। তবে বাকি প্রতিমাগুলির বাহন হিসেবে জগদ্ধাত্রীর পায়ের নিচে ডানদিকে সিংহ ও হাতি থাকলেও আদিমার পায়ের নিচে বাঁদিকে থাকে হাতি। 

লক্ষ্মীগঞ্জ বাজারের পিছন দিকে চাউলপট্টির শিববাটি ঘাটের পাশেই আদি মায়ের স্থায়ী মণ্ডপ। এই বাজারের চাল ব্যবসায়ীরাই এককালে পুজোর দায়িত্বে ছিলেন। আজ চাউলপট্টির সেই আড়ত না থাকলেও বাজারের ব্যবসায়ীরাই পুজো চালিয়ে যাচ্ছেন। পুজো শুরুর সাল, তারিখ নিয়ে মতভেদ থাকলেও তা যে কয়েকশো বছরের পুরনো, তা নিয়ে কোনও সংশয় নেই। সময় বদলালেও এই পুজোর রীতি নীতি বদলায়নি। ষষ্ঠীতে এখানকার মাকে শাড়ি ও গয়না পরানো হয়। চুঁচুড়া, চন্দননগর, হুগলি সহ আশপাশের এলাকার বাসিন্দারা ভক্তরা মানত করে মাকে বেনারসি শাড়ি দান করেন। অনেক ভক্ত রয়েছে, যাঁরা মনষ্কামনা পূরণ হলে মাকে সোনা কিংবা রুপোর গয়না পরিয়ে দিয়ে যান।

সেই শাড়ি ও গয়নাতেই মায়ের অঙ্গভূষণ হয়। সপ্তমীতে সাতটি বিশাল বারকোশে মায়ের নৈবেদ্যের আয়োজন করা হয়। সপ্তমী থেকে নবমী, প্রতিদিন ছাগবলি হয়। সাথে থাকে আখ, চালকুমড়ো বলি। নবমীতে মাকে ১০৮টি রক্তপদ্ম নিবেদন করা হয়। আদি মায়ের পুজোর আরও একটি বিশেষত্ব হল, গয়না পরানো থেকে প্রতিমা নিরঞ্জন, নৈবেদ্য থেকে শুরু করে প্রতিমা বরণ, সবই করেন পুরুষরা। দশমীর পর আদি মায়ের বিসর্জন হয় মায়ের নিজস্ব ঘাটে। প্রতিমা জলে পড়ার পর অন্যান্য মূর্তি বিসর্জনের মতো কাঠামোর বিচুলি কেটে ফেলা হয় না। অপেক্ষা করা হয় পূর্ণিমা পর্যন্ত। ততদিন ভাসমান কাঠামো ঘাটেই বাঁধা থাকে। বিসর্জনের পর মায়ের অঙ্গ থেকে বেনারসি শাড়ি খুলে নেওয়া হয় এবং সেগুলি গরিব মেয়েদের মধ্যে বিলি করা হয়। আগে মাটির গয়না তৈরি করা হত। এখন শোলার উপকরণ দিয়ে সাজানো হয় মাকে। দেবীর মাথার মুকুট, কিরীট, কানের মাকড়ি, শাড়ির অলঙ্করণ, হাতির মাথার হাওদা, সবই শোলার সূক্ষ্ম ও নিপুণ কাজের নজির রাখে। 

বোড়াই চণ্ডীতলা জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটির এবারের থিম তোরমা। পুজো কমিটির সদস্যরা জানালেন, তোরমা হল তিব্বতীয় আচারের কেক, যা বৌদ্ধ ধর্মের নৈবেদ্য হিসেবে ব্যবহার করা হয়। তিব্বতে রীতিমতো খাবারের নৈবেদ্য দেওয়া হয়। যেখানে বার্লি নামক শস্য ও ইয়াক মাখন থেকে তৈরি হয় এই নৈবেদ্য। তোরমা সন্ন্যাসী ও সাধারণ মানুষ উভয়েই তৈরি করে। বৌদ্ধের চিত্রের সিলুয়েট বা মেরু পর্বতের আকৃতি অনুকরণ করে পাথরের স্তূপ তৈরির ঐতিহ্য থেকে এই আকৃতি এসেছে। তোরমা গলিত মাখনে আবৃত থাকে। নানারকম ফুল ও কলকার আকারে সজ্জিত হয়। তিব্বতে তান্ত্রিক আচার অনুষ্ঠানের উপর নির্ভর করে তোরমার রং ও আকার। যেমন সাদা তোরমা, এটি তারা ও অবলোকিতেশ্বর দেবতা, শান্ত দেবতাদের জন্য। লাল তোরমা বজ্রযোগিনী ও চক্রসম্ভার দেবতা, ক্রুদ্ধ দেবতাদের জন্য। এছাড়া খাবার তোরমা যা ভোজ অনুশীলনে

ব্যবহার করা হয়। অবশিষ্ঠাংশ দেওয়া হয় প্রাণীদের। তোরমা আবার ধর্মরক্ষাকারী ও বাধা সৃষ্টিকারী আত্মা ও মানুষের জন্য নিবেদন করা হয়। একে বলা হয় গেক্টর। তোরমা শুধু নৈবেদ্যই নয়। নিঃস্বার্থতা, অস্থিরতা ও বোধিসত্ত্ব পথের বৌদ্ধ ধারণাকে নির্দেশ করে। তোরমা তৈরির কাজটি আধ্যাত্মিক মনশুদ্ধিকারী উপকারী বলে মনে করা হয়। তোরমা অর্থের মধ্যে দিয়ে নির্দিষ্ট ধান, মুদ্রা ও জ্ঞান সংহিতাবদ্ধ আচার অন্তর্ভুক্ত এবং প্রায়শই বুদ্ধ বা বোধিসত্ত্বদের অর্পন করা হয়। তোরমাকে দেবতাদের বাসস্থান হিসেবে গণ্য করা হয়। এমনই এক বৌদ্ধিক ধর্মীয় উপাচার তোরমা, যার আদলে গড়ে উঠেছে বোড়াইচণ্ডীতলার মণ্ডপটি।

সেই দেবগৃহে মায়ের অধিষ্ঠান। বিভিন্ন আকারের তোরমা দিয়ে সেজে উঠেছে গোটা মণ্ডপ। উদ্যোক্তাদের কথায়, এই ভাবনার মধ্যে দিয়ে আমরা প্রার্থনা করেছি, সকলের ঘরে ঘরে যেন মা নৈবেদ্য রূপে বিরাজ করেন। এবং সকলের ঘরে যেন খাদ্য ভাণ্ডার পূর্ণ থাকে। সব সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে। মণ্ডপটির সৃজনে রয়েছেন মানস রায়। আলোয় রয়েছেন দেবাশিস দাস। সাজসজ্জায় প্রসাদ ঘোষ। তাঁর সঙ্গে  সমীর দাস মহাপাত্র, সম্রাট দাস, সুব্রত হালদার, সৌভিক দত্ত, প্রদীপ ভৌমিক, কৃষ্ণেন্দু গুছাইত, বিজয় মল্লিক, অভিজিৎ বায়েন। 

অন্যদিকে, বোড় চাঁপাতলা যুব সম্প্রদায় জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটির এবারের থিম রূপ অন্তর। মণ্ডপের বিষয়, রূপান্তরকামীদের মূল লড়াই দুই সত্ত্বার। একদিকে মন অন্যদিকে শরীর। আর শারীরিক যন্ত্রণা মনের যন্ত্রণার থেকে অনেক কম। দুই সত্ত্বা নিয়ে ওঁরা হোক সম্পূর্ণা। গর্ভধারণই মাতৃত্বের শেষ কথা নয়। প্রত্যেক নারীর মধ্যেই মাতৃত্ব বিরাজমান। মাতৃত্ব হল শক্তি যা বিশ্ব সংসারকে এক সুঁতোয় গেঁথে রাখে। ভাবনাটি ফুটিয়ে তুলেছেন শিল্পী সোমনাথ মুখোপাধ্যায়।

ছবি গুলি তুলেছেন ধ্রুব হালদার ৷

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here