CAA-Matua: পঞ্চায়েতের আগে সিএএ নিয়ে মতুয়াগড়ে সভা শুভেন্দু-নিশীথদের

0
511

দেশের সময় ঠাকুরনগর রাজ্য রাজনীতিতে ফের চর্চায় নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন, ২০১৯ (CAA)। কিছুদিন আগেই গুজরাটে ভিন দেশ থেকে আগত অমুসলিমদের নাগরিকত্ব দেওয়া নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তারপর থেকেই জোর গুঞ্জন ছড়িয়েছে রাজ্য রাজনীতির অন্দরমহলে৷

রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সিএএ তত্ত্ব উস্কে দিয়ে বলেছিলেন, “নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বলবৎ করার কাজ শুরু হয়েছে ভারতে। পশ্চিমবঙ্গও তো ভারতেরই অংশ, এখানেও চালু হবে।” রাজ্য রাজনীতিতে সিএএ ইস্যু বার বার ঘুরে ফিরে এসেছে মতুয়া-গড় ঠাকুরনগরে। এবার সেই ঠাকুরনগরেই এক জনসভার ডাক দেওয়া নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে। অতিথি হি6সেবে থাকবেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক ৷

মতুয়া সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান মুখ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। তিনি দাবি করেছেন, ২০২৪ সালের আগে সিএএ কার্যকর হবে, কেউ ঠেকাতে পারবে না। বললেন, “বাংলার মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে সিএএ-র বিরোধিতা করছেন, এবং একশো আশি ডিগ্রি বিপরীতে যেভাবে তিনি বিষয়টিকে তুলে ধরছেন, তাতে সমস্ত উদ্বাস্তু, মতুয়া, নমোশূদ্র, রাজবংশী সমাজ যে বঞ্চিত এই রাজ্য সরকারের কাছে, তা তো প্রমাণ করে দিয়েছেন। এখান থেকে শুরু হল, আগামী দিনে সারা পশ্চিমবঙ্গে এটি চলবে। কারণ, সিএএ আমাদের অধিকার। সংসদে যখন এটি পাশ হয়ে গিয়েছে, তখন কারও অধিকার নেই এটি বলা। এটা শুধু রাজনীতি করা হচ্ছে। ওনার দ্বিচারিতাকে আমরা ভেঙে দেব।”

রবিবার ঠাকুরনগরের ঠাকুরবাড়িতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শান্তনু এই কথা বলেন। জানান, আগামী ২৬ শে নভেম্বর ঠাকুরনগর বাজারের ফুটবল খেলার মাঠে মতুয়াদের বার্তা দিতে সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। সিএএ নিয়ে মতুয়াদের বার্তা দিতেই এই সভা বলে জানিয়েছেন তিনি৷

অন্যদিকে বনগাঁর প্রাক্তন সাংসদ মমতা বালা ঠাকুর আবার এই সভা প্রসঙ্গে শান্তনু ঠাকুরকে পাল্টা খোঁচা দিয়েছেন। তিনি বলছেন, “আমরা বিজেপির কিছু বুঝিই না। কিছুদিন আগে তাদের প্রেসিডেন্ট এসেছিল এখানে। কিন্তু সেখানে শান্তনু ঠাকুর বা তাঁর ভাই কেউই যাননি। এখন আবার এখানে শুভেন্দুকে নিয়ে এসে সিএএ নিয়ে বৈঠক করছে। তারা ভাবছে মানুষের কাছে আবার মিথ্যা প্রচার দিয়ে ভাবছে ভোট পাওয়া যাবে। মানুষ এখন যথেষ্ট সচেতন ও বুদ্ধিমান। বার বার করে তারা ভোটের সময় তকমা দেয়, কিন্তু মানুষ আর এবার তাতে পা দেবে না।”৷ শান্তনু ঠাকুর ২০২৪ সালের আগে সিএএ কার্যকর হওয়ার যে দাবি জানিয়েছেন, সেই প্রসঙ্গে মমতা বালা ঠাকুর পাল্টা প্রশ্ন তোলেন, “২০২৪ সালের আগে যদি হয়, তাহলে সেটা কোন নিয়মে হবে? কোন প্রমাণ দিয়ে তা নিতে হবে?” সঙ্গে তাঁর আরও সংযোজন, “তারা এখনও পরিষ্কারভাবে বলতে পারছে না কোন প্রমাণ দিয়ে আমাদের নিতে হবে ৷

বিজেপির বনগাঁ জেলা সাধারণ সম্পাদক তথা কাউন্সিলর দেবদাস মন্ডল এই বিষয়ে জানান, এই সমাবেশ ভারতীয় জনতা পার্টি করছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে আগত সংখ্যালঘুদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল নাগরিকত্ব। কেন্দ্রীয় সরকার লোকসভা ও রাজ্যসভায় এটি পাশ করিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে এটির প্রয়োগ ভীষণভাবে দরকার কারণ, প্রচুর উদ্বাস্তু মানুষ এখানে রয়েছেন। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ সরকার এর সরাসরি বিরোধিতা করছে। সিএএ-র দাবি এখানকার সাধারণ মানুষের। বাংলায় পিছিয়ে থাকা এবং উদ্বাস্তু মানুষের ডাকেই মূলত এই সভার আয়োজন৷”

Previous articleWeather Update: ফিরছে শীত, নামছে পারদ! মঙ্গল থেকেই জাঁকিয়ে ঠান্ডা বঙ্গে! কী বলছে হাওয়া অফিস
Next articleIndonesia Earthquake: হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল ঘরবাড়ি, ভয়াবহ ভূমিকম্প ইন্দোনেশিয়ায়! মৃত অন্তত ৫০, আহত প্রায় ৭০০

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here