দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ এ বছরই ডিসেম্বরে বিধানসভা নির্বাচন মোদী-শাহের রাজ্যে ৷ আর তার জন্য এখন থেকেই ঘুঁটি সাজাতে শুরু করেছে একাধিক রাজনৈতিক দল। দিল্লি থেকে একাধিকবার গুজরাটে ছুটে গিয়েছেন আম আদমি পার্টি নেতা অরবিন্দ কেজরীবাল। হাত গুটিয়ে বসিয়ে নেই বিজেপিও। সম্প্রতি গুজরাটভূমে একাধিক শিল্প কর্মসূচির উদ্বোধন করেছেন মোদীও। ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা না হলেও জোর কদমে চলছে জনসংযোগ ও প্রচার। এই আবহেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে গুজরাটবাসীর জন্য বড় চমকের ঘোষণা করা হল।
গুজরাটের মোরবীতে রবিবার নদীর ওপরের সেতু ভেঙে পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন বহু মানুষ, আহত অনেক। এর মাঝেই গুজরাটের দুই জেলার বসবাসকারী পাকিস্তান, আফগানিস্তান, বাংলাদেশ থেকে আগতদের ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
একদিকে সামনে নির্বাচন এবং তার আগে বিপর্যয়, এই পরিস্থিতিতে এই ঘোষণা রাজনৈতিক ভাবে ভীষণ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
গুজরাটের দুই জেলা আনন্দ ও মেহসানায় বসবাসকারী পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে আগত হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পারসি এবং খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে কেন্দ্র।
১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনের আওতায় তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে।
ভারতীয় নাগরিকত্ব পেতে তাঁদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে। সেই সব আবেদন খতিয়ে দেখবেন জেলাশাসক। আবেদন ও জেলাশাসকের রিপোর্ট খতিয়ে দেখে নাগরিকত্ব দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করবে কেন্দ্র। ভোটের আগে গুজরাটে নাগরিকত্ব কার্যকর করা নিঃসন্দেহে একটা বড় রাজনৈতিক কৌশল বলে মনে করছেন বিভিন্ন মহল।
সেতু বিপর্যয়ের পরে পরেই এই ঘোষণার পর একাধিক বিরোধী রাজনৈতিক দল কটাক্ষ করে বলেছে, সেতু বিপর্যয় থেকে নজর ঘোরাতেই এই ঘোষণা।