পেট্রাপোল : ভারত – বাংলাদেশের পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে আমদানি রপ্তানি বাণিজ্যের জন্য স্থল বন্দরে বেশ কিছু নতুন পরিকাঠামো তৈরি হলেও পরিবহনের ক্ষেত্রে পরিকাঠামোগত সমস্যা রয়েছে এখনও।
যশোর রোড সম্প্রসারণ, নতুন বাইপাস রোড তৈরি করা এবং কলকাতা থেকে পেট্রাপোল পর্যন্ত মেট্রোরেল পরিষেবা চালু করা প্রয়োজন বলে মনে করেন সীমান্ত ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীরা। দেখুন ভিডিও
সম্প্রতি বাংলাদেশের অস্থির পরিস্থিতির প্রভাব পড়েছে এদেশের আমদানি রপ্তানি বাণিজ্যে। আর সেই কারণে স্বাভাবিকভাবেই চিন্তিত এদেশের আমদানি রপ্তানি বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীরা। এদিনের বার্ষিক সভায় সেই উদ্বেগের কথাও তুলে ধরা হয়।
পাশাপাশি, নতুন নিয়ম অনুযায়ী ভারত থেকে পণ্যবোঝাই ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশের জন্য ১০ হাজার টাকা দিয়ে স্লট বুকিং করতে হয়। রাজ্য সরকারের নতুন এই নিয়মে টাকার পরিমাণ কমানোর দাবি তুলে দিনের দিন ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশের ব্যবস্থা করার দাবি ওঠে এদিনের আলোচনা সভায়।
এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পেট্রাপোল শুল্ক আধিকারিক দিব্যেন্দু দাস I তিনি বলেন আমদানি রপ্তানি বাণিজ্যের কাজ সুষ্ঠভাবে পরিচালনার ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরা যেকোনও প্রয়োজনে তাঁর কাছে আসতে পারেন।
ল্যান্ড পোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়ার পেট্রাপোলের ম্যানেজার কমলেশ সাইনি বলেন, স্থল বন্দর দিয়ে যাতে ব্যাবসায়ীরা আরও সহজে ব্যাবসা করতে পারেন তার জন্য স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষ সব সময় সব ধরনের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে রেখেছেন। পূর্ণ সহযোগিতারও আশ্বাস দেন তিনি।
সংগঠনের সভাপতি প্রদীপ দে বলেন, বাণিজ্যের পরিমাণ বাড়ানোর পাশাপাশি পরিকাঠামোর উন্নয়নের অংশ হিসেবে যশোর রোড সম্প্রসারণ করার পাশাপাশি নতুন একটি বাইপাস তৈরি করা এবং কলকাতা থেকে পেট্রাপোল পর্যন্ত মেট্রো রেল চালু করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এই ধরনের পরিকাঠামো তৈরি হলে এই সীমান্ত দিয়ে আমদানি রপ্তানির কাজে আরও গতি আসবে।