অর্পিতা বনিক দেশের সময়: দ্য পেন ইজ মাইটিয়ার দ্যান সোর্ড’, ব্রিটিশ লেখক এডওয়ার্ড বুলওয়ার লিটনের এই উক্তিটি কতখানি খাঁটি, তা প্রমাণ করেছেন বাংলার জনপ্রিয় লেখিকা দেবারতি মুখোপাধ্যায়।
বইমেলার প্রাঙ্গনে তিনি পা রাখা মানেই চনমনে হয়ে ওঠেন পাঠক, পাঠিকারা। সই নিতে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। তা সে কলকাতা বইমেলা হোক কিংবা দিল্লি, হায়দরাবাদ। ছবিটা একই। নতুন প্রজন্মের সেই জনপ্রিয় লেখিকা আসছেন বনগাঁয় উত্তর ২৪ পরগনা জেলা বইমেলায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যে সেই খবর নিজেই জানিয়েছেন লেখিকা। শুধু দেবারতি নন, বনগাঁর পুরপ্রধান গোপাল শেঠের হাত ধরে এবারের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা বইমেলা যেন তাঁর সোনালী দিন ফিরে পেতে চলেছে। দেখুন ভিডিও
বনগাঁর সোনালী মাঠ যা শহরবাসীর কাছে খেলাঘর মাঠ নামেও পরিচিত, সেখানেই বুধবার বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে শুরু হয়েছে জেলা বইমেলা। উদ্বোধন করেছেন রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। কিন্তু এই বইমেলাকে রাজ্যের সেরা বইমেলায় পরিণত করতে চেষ্টার কসুর করছেন না পুরপ্রধান। আর তাই বাংলা সাহিত্য জগতের নক্ষত্রদের শামিল করছেন তিনি বইমেলা প্রাঙ্গণে। এবারের বইমেলায় উপস্থিত থাকছেন সাহিত্যিক স্বপ্নময় চক্রবর্তী। থাকছেন কবি-অধ্যাপক সুদীপ্ত মাজি। তাঁর লেখা মানে বাচ্চারা খাওয়া ঘুম ভুলে যায়, সেই শিশু সাহিত্যিক মনজিৎ গায়েন থাকছেন ।
কাশ্মীর থেকে আমেরিকা, ইউক্রেন যুদ্ধ থেকে মালালা, মোসাদ থেকে গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’, সাম্প্রতিক ঘটনাবলী নিয়ে যাঁর লেখার জুড়ি নেই, সেই লেখক সাংবাদিক মৃণালকান্তি দাসও থাকছেন এবারের বনগাঁ বইমেলায়।
পুরপ্রধান গোপাল শেঠের কথায়, সীমান্ত শহর বনগাঁ সাহিত্যের শহর। সংস্কৃতির শহর। এই শহরে শ্বাস নিয়েছেন বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়, দীনবন্ধু মিত্র, রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই শহরে বইমেলাকে স্মরণীয় করে রাখতে চাই আমরা। বইয়ের বিকল্প নেই।
এক নতুন বিশ্বের খোঁজ দিতে পারে বই। আমাদের লক্ষ্য, বনগাঁর সোনালী মাঠে ফিরুক বইয়ের সোনালী দিন। বাংলার খ্যাতনামা কবি, সাহিত্যিকদের লেখায়, কথায় সম্পৃক্ত হোক বনগাঁবাসী। ইছামতীর শহরে সংস্কৃতির অঙ্গনে নতুন জোয়ার আনুক এই বইমেলা।
–