কালনা : মাকে সাত সেকেন্ডের একটা ফোন, বলল- ‘
ওরা আমাকে বাঁচতে দেবে না।’ এই কথা বলার কিছুক্ষণের মধ্যেই কালনার জিউধারা রেলগেট সংলগ্ন এলাকায় ক্লাস টুয়েলভের এক ছাত্রীর দেহ উদ্ধার হল।
ঘটনাটি শুক্রবার রাতের। মৃত ওই ছাত্রীর নাম অঙ্গনা হালদার। তার বাড়ি ধাত্রীগ্রাম এলাকায়। প্রতিদিনই মায়ের সঙ্গে কালনা শহরের ইংরেজির শিক্ষকের কাছে পড়তে আসত সে। শুক্রবারও ব্যাতিক্রম হয়নি।
অন্যদিনের তুলনায় এদিন কিছুটা আগেই ছুটি দিয়ে দেন শিক্ষক। সেই মতো কিছুটা সময় আগেই বেরিয়েছিল ওই ছাত্রী। এরপরই তার মাকে ফোন করে সে বলে ‘ওরা আমায় বাঁচতে দেবে না’।
মেয়ের থেকে ফোন পাওয়ার পর আর একটা ফোন এসেছিল তার মায়ের কাছে। কয়েক সেকেন্ড পরেই। কিন্তু, তারপরে আর কোনও ভাবে মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। বেগতিক দেখে পরিবার তড়িঘড়ি কালনা থানায় পৌঁছয়। সঙ্গে সঙ্গে পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে পুলিশ ছাত্রীর খোঁজে অভিযান চালায়।
কিছুক্ষণ পরেই জিআরপি-র কাছ থেকে ৭টা ১০ নাগাদ কালনা থানায় খবর আসে। বলা হয়, কালনা স্টেশন থেকে কিছুটা দূরে এক মহিলার রক্তাক্ত দেহ পাওয়া গেছে। সেখানে গিয়ে পুলিশ দেখে, ওই ছাত্রীর মৃতদেহই পড়ে রয়েছে।
এখানেই একাধিক প্রশ্ন উঠছে। পুলিশ তদন্ত করে জানতে চাইছে কেন ছাত্রী তার মাকে ফোন করে বলল ওরা আমাকে বাঁচতে দেবে না। এখানে ‘ওরা’ বলতে কাদের কথা বলতে চেয়েছে সে? টিউশন থেকে সেদিনই কেন আধ ঘণ্টা আগে মেয়েটি বেরিয়ে গেল?
পুলিশ সূত্রে খবর, স্টেশন চত্বরের একাধিক সিসি টিভি ফুটেজে মেয়েটিকে একা ঘুরতে দেখা গিয়েছে। দেখা যায় ছাত্রী ওভারব্রিজে ওঠে আবার নেমে যায়। মায়ের সঙ্গে প্রতি দিনই পড়তে আসতেন ছাত্রীটি। বাড়ির দিকে না গিয়ে দেড় কিলোমিটার উল্টো দিকের রাস্তায় কেন গিয়েছিলেন, তারও উত্তর খুঁজছে পুলিশ। কিন্তু যেখানে দুর্ঘটনা ঘটেছে সেখানে কোনও সিসি টিভি ফুটেজ নেই। পুরো ব্যাপারটাতেই ধোঁয়াশা রয়েছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করে যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর পেতে চাইছে।