![](https://deshersamay.com/wp-content/uploads/2023/01/AD-NEW.jpg)
দেশের সময়,বনগাঁ: হাতে মার মাত্র কয়েক মাস। শুরু হয়ে গিয়েছে পঞ্চায়েত ভোটের কাউন্টডাউন। তবে তার আগে আবাস যোজনায় দুর্নীতির অভিযোগে বারেবারেই উত্তপ্ত বাংলার রাজনৈতিক মহল। ঘাসফুল শিবিরের বিরুদ্ধে লাগাতার দুর্নীতির অভিযোগে সরব হচ্ছেন পদ্ম শিবিরের নেতারা। পঞ্চায়েত ভোটে অশান্তি হলেই রক্ত গঙ্গা বইয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি বনগাঁ দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদার। যা নিয়ে শোরগোল শুরু হয়ে গিয়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলে।
![](https://deshersamay.com/wp-content/uploads/2023/01/IMG-20230103-WA0023.jpg)
“প্রশাসন হোক বা টিএমসির গুণ্ডা বাহিনী, যে মস্তানি করতে আসবে, ওদের পিঠে চ্যালা কাঠ ভাঙুন।” এদিন এ ভাষাতেই একযোগে সরকার ও শাসক তৃণমূলের বিরুদ্ধে খড়গহস্ত হলেন স্বপন। সূত্রের খবর, এদিন উত্তর ২৪ পরগনা বনগাঁ ব্লকের গাড়াপোতা গ্রাম পঞ্চায়েতে আবাস যোজনা সহ আরও একাধিক ইস্যুতে বিজেপির পক্ষ থেকে ডেপুটেশন দিতে এসেছিলেন তিনি। সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে পঞ্চায়েত ভোটে অশান্তি হলে প্রয়োজনে রক্ত গঙ্গা বইয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিতে দেখা গেল তাঁকে। যা নিয়েই বাড়ছে চাপানউতর। পায়ের তলা থেকে মাটি সরছে, তাই উল্টোপাল্টা বকছে। পাল্টা আক্রমণ তৃণমূলের। স্বপনের জনপ্রতিনিধিত্বের যোগ্যতা নিয়েও তোলা হয় প্রশ্ন।
![](https://deshersamay.com/wp-content/uploads/2023/01/IMG-20230105-WA0026.jpg)
শাসক তৃণমূলের বিরুদ্ধে কড়া আক্রমণ শানিয়ে স্বপন বলেন, “এই চোরদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আগামী পঞ্চায়েত ভোটে প্রতিটা বুথে আমাদের কার্যকর্তারা ভারতীয় জনতা পার্টি ঝান্ডা ধরে এগিয়ে আসুন। আপনারই ভোটের সময় পোলিং এজেন্টদের খাবারের ব্যবস্থা করবেন। গ্যাস ওভেন রাখবেন না। ওইদিন রাখবেন চ্যালা কাঠ। যদি স্বচ্ছভাবে ভোট হয় তাহলে ওটা দিয়ে রান্না করে খাবেন। আর তা না হলে যারা অন্যায় করতে আসবে, রিগিং করতে আসবে, যারা মস্তানি করতে আসবে, সে প্রশাসন হোক আর টিএমসির গুণ্ডা বাহিনী হোক, ওই চ্যালা কাঠ ওদের পিঠে ভাঙবেন। আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। সুষ্ঠভাবে ভোট হলে আমাদের কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু যদি পরিবেশ অশান্ত করার চেষ্টা করে তাহলে এখানে আগামী দিনে আমরা রক্তগঙ্গা বইয়ে দেব। কিন্তু, মানুষের যে অধিকার তা থেকে বঞ্চিত হতে দেব না।”
![](https://deshersamay.com/wp-content/uploads/2023/01/11.jpg)
পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে তৃণমূলের বনগাঁ জেলা সভাপতি বিশ্বজিত দাস বলেন, “এদের জনপ্রতিনিধি হওয়ার মতো যোগ্যতা নেই। কিন্তু বোঝে না জনপ্রতিনিধি কাদের বলে। এর মূল্য কী! অন্য জগৎ থেকে এসেছে। আদপে এরা অন্ধকার জগতের মানুষ। তাই এদের ভাষা অন্ধকার জগতের মানুষের মতো হওয়াটাই স্বাভাবিক। পায়ের তলার মাটি হারাচ্ছে। মতিভ্রম হচ্ছে। বুঝতে পারছে আগামীতে আমাদের আর কোনও জায়গা নেই। তাই বিভ্রান্ত হয়ে উল্টোপাল্টা কথা বলে প্রচারে থাকার চেষ্টা করছে। সহজ কথায় মানুষ ওদের কাছ থেকে প্রতিনিয়ত সরে যাচ্ছে। তাই ওদের মতিভ্রম হয়েছে।”
![](https://deshersamay.com/wp-content/uploads/2023/01/02-1.jpg)
![](https://deshersamay.com/wp-content/uploads/2023/01/08-1.jpg)
![](https://deshersamay.com/wp-content/uploads/2023/01/07-1.jpg)
![](https://deshersamay.com/wp-content/uploads/2023/01/06-1.jpg)
![](https://deshersamay.com/wp-content/uploads/2023/01/10.jpg)
![](https://deshersamay.com/wp-content/uploads/2023/01/12.jpg)