দেশের সময় , কলকাতা: আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে বিজেপির স্বাস্থ্যভবন অভিযানে ধুন্ধুমার। পুলিশের সঙ্গে কার্যত খণ্ডযুদ্ধ গেরুয়া শিবিরের কর্মী, সমর্থকদের। এরই মধ্যে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে আটক করল পুলিশ। তাঁকে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়।
আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বিজেপি স্বাস্থ্যভবন ঘেরাও-এর ডাক দিয়েছে। মিছিলে পা মেলাচ্ছেন সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ, অর্জুন সিং, অগ্নিমিত্রা পাল, লকেট চট্টোপাধ্যায়, দেবশ্রী চৌধুরী, রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, রুদ্রনীল ঘোষ, হিরণ চট্টোপাধ্যায়রা।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে এই স্বাস্থ্যভবন অভিযান হয়। উল্টোডাঙার হাডকো মোড় থেকে এই মিছিল শুরু করে বিজেপি।
নকল হাতকড়া, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবি তোলা প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিল বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। মিছিল কিছু দূরে যাওয়ার পরই পুলিশ তাঁদের বাধা দেয় বলে অভিযোগ। এরপরই ধুন্ধুমার কাণ্ড বেঁধে যায়।
শুভেন্দু অধিকারীকে আটক করে প্রিজন ভ্যানে তোলা হলে একাধিক বিজেপি কর্মীরা সেই ভ্যানের ওপরে উঠে যান। এদিকে পুলিশের গাড়ি থেকেই ‘খুনি মমতা’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু।
মিছিল শুরুর আগেই দলের নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেছিলেন, ”যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একজন মহিলা, সেখানে মহিলাদের সঙ্গেই এমন নৃশংস ঘটনা ঘটছে। সুপ্রিম কোর্ট যে কথা বলেছে তারপর পশ্চিমবঙ্গের মানুষ হিসেবে লজ্জা করছে।” শীর্ষ আদালত আরজি কর মামলার শুনানিতে বলেছে, ৩০ বছরে এমন ঘটনা তাঁরা দেখেনি।
এর আগে গত মঙ্গলবার একই দাবিতে স্বাস্থ্যভবন অভিযানে নেমেছিল সঙ্ঘের ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (এবিভিপি)। ওই অভিযানকে ঘিরে সেদিন রণক্ষেত্রর চেহারা নিয়েছিল সল্টলেক। বৃহস্পতিবারও একই ঘটনার সাক্ষী থাকল শহর কলকাতা। তবে পুলিশি বাধার মুখে পড়লেও স্বাস্থ্যভবন অভিযান থেকে সরে আসছে না গেরুয়া শিবির। ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ স্লোগান তুলে তাঁরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে স্বাস্থ্যভবনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।