দেশের সময় ওয়েবডেস্ক: জ্বালানির ওপর ভ্যাট কমানোর দাবিতে সোমবার বিক্ষোভ কর্মসূচি বিজেপির। অনুমতি নেই পুলিশের। তবুও নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড় বিজেপি। প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে কর্মীরা পথে নেমেছে। তবে মিছিল আটকাতে প্রস্তুত পুলিশও। শুরু হয় ধরপাকড়। ৬ মুরলীধর সেন লেন থেকে মিছিল বেরোতেই উত্তেজনা। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায় কর্মীদের। বিজেপি নেতা রীতেশ তিওয়ারি সহ বেশ কয়েকজন বিজেপি নেতাকে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়েছে।
রীতেশ তিওয়ারি বলেন, ‘বাংলার মানুষের স্বার্থে আমরা পথে নেমেছি। তাই গ্রেফতার হতে হচ্ছে। এরা ত্রিপুরায় গিয়ে বড় বড় কথা বলে। প্রতিদিন এক লাখ লোক বুর্জ খলিফা দেখত। তখন অতিমারি ছিল না। এখন করোনার কথা বলছে। এটা প্রমাণ হয়ে গেল বাংলার মানুষের স্বার্থে পথে নামলেই পুলিশ গ্রেপ্তার করবে।’
এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদার, সায়ন্তন বসু, শমীক ভট্টাচার্য সহ একাধিক নেতা।
বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কথায়, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জয়ী হওয়ার পরও বিজেপিকে ভয় পাচ্ছেন। এটা ভেবেই ভাল লাগছে। তাই আমাদের আটকাচ্ছে। তবে আমরা থামব না। শাক দিয়ে মাছ ঢাকা যায় না।’
এদিন পুলিশের অনুমতি ছাড়াই মিছিল করার বিষয়ে অনড় মনোভাব দেখিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু পুলিশ কোনও ভাবেই তা মেনে নেয়নি। ফলে খানিক উত্তেজনা ছড়ালেও পেট্রোপণ্য থেকে রাজ্য সরকারের ভ্যাট কমানোর দাবিতে ঘোষিত মিছিল করতে পারল না বিজেপি। সোমবার দুপুরে বিজেপি সদর দফতর মুরলীধর সেন লেন থেকে রানি রাসমণি রোড পর্যন্ত মিছিল করার ঘোষণা করেছিল বিজেপি। কিন্তু সেই মিছিল সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়েই আটকে দেয় পুলিশ।
প্রসঙ্গত, দীপাবলির আগে পেট্রলে লিটার প্রতি ৫ টাকা ও ডিজেলে লিটার প্রতি ১০ টাকা করে উৎপাদন শুল্ক কমিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের পর ভ্যাট কমানোর সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে উত্তরপ্রদেশ, গুজরাত, ত্রিপুরা-সহ সব বিজেপি শাসিত রাজ্য। এর পর থেকেই এই রাজ্যেও সরকার ভ্যাট কমাক বলে দাবি তুলেছে বিজেপি৷