দেশের সময়, অশোকনগর: থানায় আগুন লাগিয়ে দেওয়ার নিদান দিলেন বনগাঁ দক্ষিণ কেন্দ্রের বিজেপির বিধায়ক স্বপন মজুমদার! পাশাপাশি হুমকি দিলেন, থানার ওসি এবং আইসিদের মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার!
গত মঙ্গলবার আবাস যোজনার তালিকা থেকে নাম বাদ যাওয়ার প্রতিবাদে অশোকনগরের পঞ্চায়েত দফতর ঘেরাও বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন একদল গ্রামবাসী। কর্মসূচি চলাকালীন এক বিজেপি নেতা দিলীপ বৈদ্যকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে।
এই ঘটনায়, আজ, শনিবার বিকেলে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে অশোকনগর থানার কাছে একটি বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়েছিল বিজেপির তরফে। সেই মঞ্চ থেকেই এই হুমকি দেন বিজেপির বিধায়ক স্বপন মজুমদার। পাশাপাশি ওসি-আইসিদের মারধর বা এ ধরনের ঘটনায় যদি কেউ গ্রেফতার হন, তাহলে তাঁকে ছাড়ানোর জন্য নাকি ভারতীয় জনতা পার্টি দায়িত্ব নেবে, একথাও ঘোষণা করেন তিনি।
পঞ্চায়েত ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বিকেলে পঞ্চায়েত অফিস ঘেরাও করে চলা বিজেপির বিক্ষোভ চলছিল। দাবি, প্রকৃত গরিব মানুষের নাম আবাস যোজনার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে, অথচ, পাকাবাড়ির মালিকদের নাম তালিকায় আছে।
সে সময়ে সেখানে উপস্থিত হন বিজেপির হাবড়া ২ ব্লকের বিজেপি নেতা দিলীপ। অভিযোগ, তিনি মোবাইলে ছবি তুলছিলেন। তা নিয়ে গ্রামবাসীদের সঙ্গে বচসা হয়। তাঁকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে।
এর পরে আজ তার প্রতিবাদ করতে গিয়ে বিজেপির বিধায়ক স্বপন মজুমদার বলেন, ‘আপনাদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই। … যে এই কাজ করেছে, তাকে অ্যারেস্ট করা হোক। নইলে ওই থানায় আগুন লাগিয়ে দিন। নিচুতলারগুলো এই কাজ করেন না। ওসি এবং আইসিদের মাথা ফাটিয়ে দিন। গরিব মানুষকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।’নেতার কথা শুনে হাততালিতে ফেটেও পড়েন সকলে।
স্বপন মজুমদার পরে নিজের কথার সপক্ষে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘সাধারণ মানুষের দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে আর রাস্তা থাকে না। আমাদের একাধিক কার্যকর্তাকে গাছে ঝুলিয়ে দিয়েছে।
২০১৯ সালের পর থেকে দুশোর বেশি কার্যকর্তার দেহ আমাদের শ্মশানে নিয়ে যেতে হয়েছে, এই সব ‘নপুংসক’ পুলিশের কারণে। তাদের আমরা কি পুজো করব? তারা ডিউটি পালন না করলে আমরাও অস্ত্র তুলে ধরব।
কারণ আমরা শান্তি চাই, গণতন্ত্র চাই। ২০১৮ পঞ্চায়েত নির্বাচনে আমরা দেখেছি কীভাবে গণতন্ত্রের হত্যা করা হয়েছে। মদত দিয়েছে দলদাস পুলিশ। এই সেদিন আমাদের একজনকে মেরেছে, পুলিশ কেন অ্যাকশন নেয়নি! আমার বিরুদ্ধে মামলা হলে হোক, অনেক মামলা খেয়েছি।’