
বনগাঁ : টাকার বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার টোপ দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার হলেন বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার কোষাধ্যক্ষ। তিনি আবার মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর ও বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি দেবদাস মণ্ডল ঘনিষ্ঠ। বিজেপি নেতার গ্রেপ্তারের খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পরতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
ধৃতের নাম লক্ষ্মণ ঘোষ। কে এই লক্ষ্মণ ঘোষ?
জানা গিয়েছে, বিজেপি বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার কোষাধ্যক্ষ পদে রয়েছেন তিনি। মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের পাশাপাশি বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি দেবদাস মণ্ডলের সঙ্গেও যথেষ্ট সখ্যতা রয়েছে তাঁর। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ছবি জ্বলজ্বল করছে। অভিযোগ, চাকরি দেওয়ার নামে লক্ষ-লক্ষ টাকা হাতিয়েছিল লক্ষ্মণ ঘোষ। সেই সূত্রে ধরেই গ্রেপ্তারি। দেখুন ভিডিও
এ প্রসঙ্গে বনগাঁ তৃণমূল সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাসের দাবি, “অভিযুক্ত লক্ষ্মণ চাকরি দেওয়ার নাম করে লক্ষ-লক্ষ টাকা হাতিয়েছে। করোনার আগে থেকেই এই ধরনের ছোটো-বড়ো বিজেপি নেতা বাজার থেকে টাকা তুলেছে। দলটা পুরোটাই দুর্নীতিগ্রস্ত, এটা তার জ্বলন্ত প্রমাণ। ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যের মানুষ দুর্নীতিগ্রস্ত বিজেপিকে দূর করে দেবে।”

বিজেপি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি দেবদাস মণ্ডল বলেন, “বিজেপিতে ঘনিষ্ঠ বলে কিছু হয় না। কে কার সঙ্গে ছবি তুলল এবং কোথায় পোস্ট করল সেটা দেখার দায়িত্ব দলের নয়। এটা ২০১৮ সালের ঘটনা। ২০১৮ সাল থেকে তিনি (লক্ষ্মণ) জামিনে মুক্ত আছেন। আদালতে হাজিরা না দেওয়ায় গত বৃহস্পতিবার তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এটা ওই নেতার একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়। তার দায় দলের নয়। আইন আইনের পথে চলবে । তার বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা প্রশাসন নেবে। এতে আমাদের কিছু বলার নেই। তবে তৃণমূলের যে নেতারা এসব সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়াচ্ছেন তাঁরা আপাদমস্তক দুর্নীতিগ্রস্ত।”

