ভোটগ্রহনকে ঘিরে বনগাঁ মহকুমায় সংঘর্ষ

তৃণমূলের প্রধান সহ দুপক্ষের ৫০ জন জখম

বনগাঁ — আদালতের রায়ে শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের কথা বলা হলেও পঞ্চায়েত ভোটকে কেন্দ্র করে ব্যাপক গোলমালের ঘটনা ঘটল বনগাঁ মহকুমায়। শাসক দল এবং বিরোধীদের মধ্যে ধারালো অস্ত্র, বোমা, বাঁশ, গুলির সংঘর্ষে গুরুতম জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলেন প্রায় ৫০ জন। তাঁদের মধ্যে তৃণমূলের একজন পঞ্চায়েত প্রধান, তৃণমূল ছাত্র পরিষদ, বিজেপি কর্মীরা রয়েছেন। বিরোধীদের অভিযোগ, সোমবার রাত সাড়ে ৩টে নাগাদ কিছু লোক আমডোব হাইস্কুলের বথে ঢুকে প্রিসাইডিং অফিসারকে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে ব্যালট পেপার লুঠ করে পালায়। পরা তারা সেখানে ছাপ্পা ভোট দিয়ে সেগুলি জমা দিতে এলে এলাকার লোকজন তাদের ঘিরে ধরে মারধোর করে প্রতিরোধ করে। অন্যদিকে, তৃণমূলের অভিযোগ, সোমবার ভোররাতে বাগদার আমডোব ভোটগ্রহন কেন্দ্রে কিছু লোক ব্যালট পেপার ছিনতাই করে পালিয়ে যায়। সেই খবর পেয়ে দলীয় কর্মীরা সেখানে উপস্থিত হলে সিপিএমের হয়ে কাজ করার জন্য বাংলাদেশ থেকে আসা দুষ্কৃতীরা আমাদের কর্মীদের উপর বোমা, ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। ওই দুষ্কৃতীরা আমাদের ১৩ জনকে ধরে অমানসিক অত্যাচার চালায়। খবর পেয়ে পুলিস গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে বাগদা এবং বনগাঁ হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করে। আহতদের অধিকাংশেরই মাথায় আঘাত লেগেছে। এদিন বাগদার কনিয়াড়া ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সুশান্ত দাসকে বিজেপির দুষ্কৃতীরা মাথা লক্ষ্য করে বুথের ভেতরেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ মারে। তাঁকে রক্ষা করতে গেলে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ছেলেদের পিটিয়ে সঙ্গাহীন করে দেওয়া হয়। পরে পুলিসের সহযোগিতায় সেখান থেকে ৯ জনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। এদিন বেশ কয়েকটি বুথে ব্যালট পেপার পুড়িয়ে, অটো রিক্সা ভেঙে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে। এলাকার আদিবাসী মহিলাদের হাতে ঝাটা নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে দেখা গেছে। নির্বাচনকে ঘিরে বনগাঁ মহকুমায় এমন ঘটনা এই প্রথম বলে রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here