দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ খিদের জ্বালায় আড়াই বছরের মেয়েটি কেঁদেই চলেছিল। পকেটে যা টাকা ছিল তা দিয়ে বিস্কুট, চকোলেট কিনে এনে দিয়েছিলেন রাহুল। কিন্তু তাতে খিদে না মেটায় তার পরেও কাঁদছিল মেয়েটি। শেষমেশ ওকে বুকের মধ্যে জোরে চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলেছিলেন। নিজেও আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেন। পুলিশকে এ কথা বলতে বলতেই কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন।
জানা গেছে, সম্প্রতি কাজ হারিয়েছে ওই যুবক। এমনকী বিট কয়েন ব্যবসাতেও প্রচুর আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে সে। পুলিশি জেরায় রাহুল জানিয়েছে, ‘আমি ঋণের দায়ে জর্জরিত। এই বিপুল পরিমাণ টাকা শোধ করার জন্য স্ত্রীর গয়নাও বন্ধক রেখে দিয়েছিলাম। আর স্ত্রীকে বলেছিলাম যে, সেগুলো চুরি হয়ে গেছে। কিন্তু তাতেও সব সমস্যা মেটেনি। তাই মেয়ের আর আমার দু’জনেরই জীবন শেষ করার কথা ভেবেছিলাম।’
নিজেদের শেষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েই মেয়েকে নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল সে। এরপর গাড়ির পিছনের সিটে মেয়েকে বসিয়ে শহরের নানাপ্রান্তে ঘুরতে থাকে। অনেকক্ষণ ধরে এভাবেই ঘুরতে থাকে দু’জন। এরপর খিদে পেতেই কাঁদতে শুরু করে বাচ্চা মেয়েটি। কিন্তু সেসময় খাওয়ানোর জন্য খুব বেশি টাকা ছিল না।
উপায় না দেখে রাস্তার ধারের একটি দোকান থেকে মেয়েকে বিস্কুট কিনে দেয় ওই যুবক। আর তারপরই সিদ্ধান্ত নেয় মেয়েকে মেরে ফেলার। এরপর বেঙ্গালুরু শহরেই একটি হ্রদের মধ্যে মেয়েকে নিয়ে ঝাঁপ দেয়। সেখানেই কোল থেকে বাচ্চাটি ছিটকে জলে ডুবে যায়। ঘটনার পর সেখান থেকে পালিয়ে যায় রাহুল।
ঘটনার পরদিন ওই লেকেই ভেসে ওঠে বাচ্চাটির দেহ। শুরু হয় এর তদন্ত। খোঁজ নিয়ে খবর পাঠানো হয় বাচ্চাটির বাড়িতেও। এরপরই তদন্ত শুরু হতে পুলিশের সন্দেহ হয়। সবার পাশাপাশি বাচ্চাটির বাবাকে বসিয়েও জেরা করা হয়। তখনই সমস্ত কথা জানিয়ে দেয় সে। মেয়েকে খুনের পর সেও যে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল, সেই কথাও পুলিশের কাছে স্বীকার করে।