দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ বুধবার আসমুদ্র হিমাচলকে কাঁদিয়ে চলে গেলেন বলিউডের ‘ডিস্কো কিং’ বাপ্পি লাহিড়ি। বাবার শেষকৃত্যের জন্য, আজ বৃহস্পতিবার ভোরেই আমেরিকা থেকে সপরিবারে মুম্বই ফিরেছেন বাপ্পি লাহিড়ির ছেলে বাপ্পা লাহিড়ি। মুম্বইয়ের সান্তাক্রুজ-এর পবন হংস মহাশ্মশানে অন্ত্যেষ্টি ক্রিয়া সম্পন্ন হবে বাপ্পি লাহিড়ির। ফুল, মালা, বাপ্পি লাহিড়ির ছবি দিয়ে সাজানো একটি ট্রাকে মহাশ্মশানের উদ্দেশে রওনা হয়েছে। চারপাশে উপচে পড়ছে ফ্যানেদের ভিড, রয়েছে কড়া পুলিশি নিরাপত্তা। শোকস্তব্ধ পরিবারের সদস্যরা, কান্নায় ভেঙে পড়েছেন মেয়ে রেমা।
https://www.instagram.com/reel/CaENNOsKkGl/?utm_medium=copy_link ক
https://www.instagram.com/tv/CaENTa9g43K/?utm_medium=copy_link
বুধবার মাঝরাত।
মুম্বইয়ের হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বাপ্পি লাহিড়ী। দেশবাসীর কাছে যিনি ‘ডিস্কো কিং’ নামেই বেশি পরিচিত। বুধবার সারাদিন তাঁর বাড়িতেই রাখা ছিল মরদেহ। সেখানে শ্রদ্ধা জানান অগণিত অনুরাগী, বিশিষ্টরা। অপেক্ষা ছিল ছেলে বাপ্পার। সপরিবারে বৃহস্পতিবার ভোরবেলা আমেরিকা থেকে ফিরেছেন তিনি। তার পরেই শেষযাত্রা শুরু। জুহুর লাহিড়ী হাউসে প্রিয় বাপ্পিদাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে আসেন কুমার শানু, শান, কাজল, আলকা যাজ্ঞিক, রাকেশ রোশন, পুনম ধিলোঁ। আজ সকালে বের হয় ফুলে সাজানো গাড়ি। সামনে বাপ্পির বিশাল এক ছবি। ট্রাকের ভিতর দেহ ঘিরে দাঁড়িয়ে রয়েছেন বিশিষ্ট থেকে ঘনিষ্ঠ পরিবারবর্গ। মেয়ে রিমা বারবার ভেঙে পড়েছেন কান্নায়। তাঁকে সামলে রেখেছেন আত্মীয়রা। রাস্তার দু’পাশে তখন অগণিত ভক্তরা দাঁড়িয়ে। উদ্দেশ্য, একবার অন্তত দেখবেন প্রিয় বাপ্পিদাকে। সেই ভিড় ঠেলেই এগিয়ে যায় গাড়ি। ভিল পার্লের শ্মশানে ততক্ষণে ঢল নেমেছে বিশিষ্টদের। এসে পৌঁছেছেন আলকা যাজ্ঞিক, ইলা অরুণ। ধীরে ধীরে সেখানে পৌঁছে যান অভিনেতা বিদ্যা বালন, শক্তি কাপুর, রূপালি গাঙ্গুলি, বিন্দু দারা সিং, গায়ক অভিজিৎ, মিকা সিং, টি–সিরিজ–এর কর্তা ভূষণ কুমার। উপস্থিত সকলের চোখেই তখন জল। এত মানুষের মধ্যেও নৈশ্যব্দ। পুরোহিতদের মন্ত্রোচ্চারণের মধ্যেই মুখাগ্নি করলেন ছেলে বাপ্পা। জ্বলে উঠল চিতা। অসীমে বিলীন হয়ে গেল সুরকারের নশ্বর শরীর। সোশাল সাইটে বাপ্পিকে শেষ শ্রদ্ধা জানাল কেকেআর–এর টিম, অভিনেতা অনুপম খের, প্রীতি জিন্টা, রীতেশ তিওয়ারি। সংবাদ মাধ্যমে শোক প্রকাশ করেছেন আশা ভোঁসলে। জানিয়েছে, দেখা করতে চেয়েছিলেন বাপ্পির সঙ্গে। কিন্তু করোনা আবহে ভয় পেয়েছিলেন। পাছে তাঁর থেকে সংক্রামিত হন সুরকার।
মেয়ে রেমা লাহিড়ির কোলে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন সুরকার-গায়ক।এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে প্রয়াত শিল্পীর বন্ধু বলেছেন, “রেমার কোলে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন বাপ্পিদা। ওর সঙ্গেই শেষ কথা বলেন তিনি। ওঁর পরিবার ভেঙে পড়েছে।”
https://www.instagram.com/reel/CaEV5DvFrlT/?utm_medium=copy_link