দেশের সময় : ডলারের পরিবর্তে এবার ভারতীয় মুদ্রা রুপিতে বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য শুরু। অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশের টাকাতেও বাণিজ্য চালুর ইঙ্গিত। আর এরই হাত ধরে ভারত-বাংলাদেশ বৈদেশিক বাণিজ্যে এক নয়া দিগন্তের সূচনা হল, এমনটাই মনে করছেন আমদানি-রফতানিকারকরা।
ডলার যে কোনও দেশের কাছেই অত্যন্ত জরুরি একটি জিনিস। কিন্তু দেশে ঢালাও উন্নয়নের কাজ করতে গিয়ে ডলার সঙ্কটে পড়েছে বাংলাদেশ। গত পাঁচ-ছ’মাস ধরে পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে, ডলারের ঘাটতির কারণে চাহিদা থাকা সত্ত্বেও তারা বাংলাদেশ থেকে বাড়তি পণ্য আমদানি করতে পারছে না। স্বাভাবিকভাবেই বাণিজ্যের গতি কমছিল। এই পরিস্থিতিতে ডলারের পরিবর্তে রুপিতে বাণিজ্য চালু হওয়ায় অনেকটাই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে শেখ হাসিনার সরকার।
ডলারের পরিবর্তে রুপিতে বাণিজ্য চালু হওয়ায় সুবিধা কী? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এতে মূলত চারটি বড় সুবিধা রয়েছে। প্রথমত, ডলার অর্থাৎ বৈদেশিক মুদ্রার মজুত ভাণ্ডার শক্তিশালী হবে। দ্বিতীয়ত, এতদিন ডলারে পণ্য কেনার সময় একবার ব্যাঙ্ক কমিশন লাগত। আবার বিক্রির সময়েও একইভাবে কমিশন লাগত। এখন থেকে রুপিতে পণ্য বিক্রির সময় বাংলাদেশকে আর কোনও ব্যাঙ্ক কমিশন দিতে হবে না। তৃতীয়ত, রুপিতে বাণিজ্য চালু হওয়ায় ব্যাঙ্কের ঝামেলা অনেকটাই কমে যাবে। অন্তত দু’দিন সময় বাঁচবে। চতুর্থত, উদ্বৃত্ত ডলার রুপিতে রূপান্তরিত করে লেনদেন নিষ্পত্তিতে কাজে লাগানো যাবে।
ভারতের হাতে যথেষ্ট পরিমাণে ডলার মজুত রয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের তা নেই। বৈদেশিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে কেন ডলার সঙ্কটে ভুগছে বঙ্গবন্ধুর দেশ? পরিসংখ্যানের দিকে তাকালেই স্পষ্ট হয়ে যাবে ছবিটা।
২০১৭-১৮ সালে বাংলাদেশ ভারতে ৮৭ কোটি মার্কিন ডলারের পণ্য রফতানি করে। কিন্তু ওই বছরে ভারত থেকে আমদানি করে ৮৬২ কোটি ডলারের পণ্য। অর্থাৎ ঘাটতি থেকে যায় ৭৭৫ কোটি ডলারের। পরের বছর অর্থাৎ ২০১৮-১৯ সালে বাংলাদেশ ভারতকে রফতানি করে ১২৪ কোটি ডলারের পণ্য। পরিবর্তে ভারত থেকে আমদানি করে ৭৬৮ কোটি ডলারের পণ্য। অর্থাৎ এই বছরেও ঘাটতি থেকে যায় ৬৪৮ কোটি ডলারের। তার পরের বছর অর্থাৎ ২০১৯-২০ সালে বাংলাদেশ ভারতকে রফতানি করে ১০৯ কোটি ডলারের পণ্য। সেখানে আমদানি করে ৫৭৯ কোটি ডলারের পণ্য। ঘাটতি থেকে যায় ৪৭০ কোটি ডলারের। ২০২০-২১ সালে ভারতে ১২৭ কোটি ডলারের পণ্য পাঠায় বাংলাদেশ। আমদানি করে ১৬১৯ কোটি ডলারের পণ্য। অর্থাৎ ঘাটতির পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় ১৪২০ কোটি ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাঙ্কের তথ্য বলছে, ২০২১-২২ সালে বাংলাদেশ মোট ৮ হাজার ৯১৬ কোটি মার্কিন ডলারের পণ্য আমদানি করেছে বিভিন্ন দেশ থেকে। এরমধ্যে ভারত থেকে আমদানি করেছে ১ হাজার ৩৬৯ কোটি ডলারের পণ্য। সেখানে রফতানি করেছে মাত্র ১৯৯ কোটি ডলারের পণ্য। ওই বছরে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য হয় ১ হাজার ৫৬৮ কোটি ডলারের। ফি বছর এই বিপুল পরিমাণ ডলারের ঘাটতি বাংলাদেশকে ধীরে ধীরে সঙ্কটের মুখে ঠেলে দিয়েছে। যে কারণেই ভারতের সঙ্গে রুপিতে বাণিজ্যচুক্তির প্রস্তাব দেয় শেখ হাসিনার সরকার। অবশ্য গত এক দশক ধরেই বিষয়টি নিয়ে দু-দেশের মধ্যে কথাবার্তা চলছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে বিষয়টি আরও জোরালোভাবে উঠে আসে।
কী কবে থেকে রুপিতে বাণিজ্য চালুর উদ্যোগ শুরু হয়? কীভাবেই বা এগোয় গোটা প্রক্রিয়া? কারা যুক্ত বিষয়টির সঙ্গে? গত বছর ডিসেম্বরে দিল্লিতে অনুষ্ঠিত দু’দেশের বাণিজ্যমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে প্রথম প্রস্তাব আসে। এর পর গত ২৪-২৫ ফেব্রুয়ারি জি-২০ সম্মেলনের ফাঁকে বিষয়টি নিয়ে একপ্রস্থ আলোচনা সেরে নেন ভারতের রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর ও বাংলাদেশ ব্যাঙ্কের গভর্নর। মার্চে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয় যে, প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে রুপিতে বাণিজ্য হবে। সেইমতো এগোতে থাকে প্রক্রিয়া। এপ্রিলে আরবিআই এবং স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার প্রতিনিধি দল ঢাকায় যায়। তাঁরা সোনালী ব্যাঙ্ক ও ইস্টার্ন ব্যাঙ্কের ম্যানেজিং ডিরেক্টরের সঙ্গে বৈঠক করেন ঢাকায়। মে মাসে আরবিআই ইস্টার্ন ব্যাঙ্ককে নস্ট্র হিসাব খোলার অনুমতি দেয়। সোনালী ব্যাঙ্ক এই অনুমতি পায় জুনে।
বাংলাদেশ ব্যাঙ্কের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার জানিয়েছেন, বাংলাদেশ ভারতের সঙ্গে বছরে ১৬০০ কোটি ডলারের ব্যবসা করে। এরমধ্যে ১৪০০ কোটি ডলারের পণ্য আমদানি করে ভারতের কাছ থেকে। ২০০ কোটি ডলারের পণ্য রফতানি করে বাংলাদেশ। আপাতত চারটি ব্যাঙ্কের মাধ্যমে রুপিতে বাণিজ্য হবে। দু-দেশের দু’টি করে ব্যাঙ্ককে বেছে নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের তরফে সোনালী ব্যাঙ্ক এবং ইস্টার্ন ব্যাঙ্ক।
ভারতের তরফে স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া এবং আইসিআইসিআই। দু-দেশের মধ্যে বাণিজ্য দূরত্ব ঘুচলে অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশের টাকাতেও লেনদেন চালু হতে পারে। পাশাপাশি বাণিজ্যের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ব্যাঙ্কের সংখ্যাও বাড়বে।
ঠিক কতটা উপকার হল আমদানি-রফতানিকারকদের? পেট্রাপোল এক্সপোর্টার ইমপোর্টার ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক প্রদীপ দে বলছেন, অনেকটাই সুবিধা হল। বাংলাদেশ গত কয়েকমাস ধরে মারাত্মক ডলার সঙ্কটে ভুগছিল। ফলে তাদের দেশে চাহিদা থাকা সত্ত্বেও তারা ভারত থেকে বেশি পরিমাণ পণ্যের বরাত দিতে পারছিল না। স্বাভাবিকভাবেই বাণিজ্যের গতি অনেকটাই ধাক্কা খেয়েছিল। এখন রুপিতে ব্যবসা চালু হওয়ায় বাণিজ্য ফের গতি ফিরে পাবে বলে আমরা মনে করছি। বর্তমানে প্রতিদিন শুধুমাত্র পেট্রাপোল স্থলবন্দর দিয়ে চারশো পণ্যবাহী ট্রাক বাংলাদেশে যায়। ওইদেশ থেকে আসে দেড়শোর মতো পণ্যবাহী ট্রাক। এই সংখ্যাটা দ্রুত বাড়বে বলে আমাদের আশা। তাছাড়া ডলারে বাণিজ্য করার ক্ষেত্রে অনেকটাই ঝুঁকি থেকে যেত। কারণ, ডলারের দাম ওঠানামা করে। যখন কোনও এলসি করা হচ্ছে, তখন ডলারের যা দাম, তার উপর নির্ভর করেই চুক্তি হয়। দু’মাস পর যখন সেই পণ্য যাচ্ছে, তখন যদি ডলারের দাম এক টাকা বা দু’টাকা কমে যায়, সেক্ষেত্রে ব্যবসায়ীর বড়সড় ক্ষতির সম্ভাবনা থেকে যায়। এছাড়া ডলারের বাণিজ্য হলে কেনার সময় একবার, বিক্রির সময় আর একবার দু’বার ব্যাঙ্ক কমিশন দিতে হত। সবমিলিয়ে সময় যেমন বেশি লাগত, তেমনই জটিলতাও ছিল। রুপিতে ব্যবসার ফলে এসব ঝামেলা থেকে অনেকটাই মুক্ত হওয়া যাবে।
পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং স্টাফ অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী বলেছেন, ১৯৭১ সাল থেকে আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে যে বাণিজ্য করছি, ডলার তার একটা মাধ্যম। এটি বৈদেশিক মুদ্রা। ডলার আমাদের অর্থনীতির ভিত চাঙ্গা করে। কিন্তু কখনও কখনও আমাদের আর্থিক পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করতে হয়। আমাদের দেশের যাঁরা অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞ রয়েছেন, তাঁরা আলোচনা করেছেন এনিয়ে। বাংলাদেশে পদ্মা সেতু সহ পরিকাঠামো উন্নয়নে অনেক কাজ হয়েছে। একারণে বাংলাদেশে ডলারের একটা সঙ্কট তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশ আমাদের কাছ থেকে পণ্য নিয়ে তাদের তো আমাদের ডলারে পেমেন্ট করতে হবে। কিন্তু বাংলাদেশের হাতে সেই ডলারের অভাব রয়েছে। সেকারণেই ভারতীয় রুপিতে বাণিজ্যের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
টাটা মোটরস প্রায় দেড় কোটি টাকার অটো মোবাইল যন্ত্রাংশ বাংলাদেশে পাঠিয়েছে ইতিমধ্যেই। রুপিতে বাণিজ্য চালুর পর এটাই এখনও পর্যন্ত বড় কনসাইটমেন্ট। পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং এজেন্ট অসীম সেন বলেছেন, বাংলাদেশ প্রায় সাড়ে চার লক্ষ টাকার স্পঞ্জ নেবে। সেটিও রুপিতে চুক্তি হয়েছে। কিন্তু পণ্যটি এখনও সীমান্ত পার করেনি।
এবার প্রশ্ন বাংলাদেশে আচমকা ডলারের এই সঙ্কট কেন? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই অবস্থার জন্য করোনা মহামারী, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, চীনে করোনার ফের থাবা এগুলো মূল কারণ। এছাড়াও প্রবাসী আয়ের একটা বড় অংশ বৈধ পন্থা অবলম্বন করে দেশে আসছে না। হুণ্ডির মাধ্যমে প্রবাসী আয়ের বড় অংশ আসছে বাংলাদেশেষ এছাড়া বাংলাদেশ থেকে যে পরিমাণ টাকা দেশের বাইরে পাচার হচ্ছে, এটাও সঙ্কট সৃষ্টির অন্যতম কারণ। বাংলাদেশের রিজার্ভ মুদ্রা দেখানো হচ্ছে ৩২ বিলিয়ন ডলার। যার মধ্যে ৮ বিলিয়ন ডলার ব্যবহারযোগ্য নয়। এই যদি মজুত ভাণ্ডারের অবস্থা হয়, স্বাভাবিকভাবেই তার বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়তে শুরু করবে দেশের বাজার ব্যবস্থায়। দেশের যেসব পণ্য সামগ্রী আমদানি করতে হয়, সেসব পণ্যের দাম বেড়েই চলেছে। গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বেড়েছে। অথচ বিশ্ববাজারে তেল, গ্যাসের দাম নিম্নমুখী। সরকার বলছে, ভর্তুকির পরিমাণ কমিয়ে নিয়ে আসার ফলে দাম বাড়ছে। এই দাম বৃদ্ধির ফলে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠছে।
আবার ইউরিয়া সারে যে ভর্তুকি দেওয়া হত, তারও পরিমাণ কমিয়ে আনা হয়েছে। ফলে অতি প্রয়োজনীয় ইউরিয়া সার কিনতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে কৃষককে। দেশের সাধারণ মানুষ নিত্যপ্রয়োজনীয় চাহিদা মেটাতে অপারগ হয়ে যাচ্ছে। আর এজন্য ডলার সঙ্কটকেই মূলত দায়ী করছেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের বক্তব্য, একসময় বাংলাদেশের ডলারের দাম ছিল ৮৫ টাকা। সেখান থেকে বেড়ে ১০০ টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছে। বলা হয়ে থাকে, ডলারের বিপরীতে কোনও দেশের মুদ্রা ১০ শতাংশ দাম হারালে মূল্যস্ফীতি বাড়ে ১ শতাংশ। বর্তমানে বাংলাদেশে তার টাকার মান হারিয়েছে প্রায় ২২ শতাংশ।
২০২১ সালের ডিসেম্বর থেকে গত ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক শূন্য ৫ থেকে বেড়ে ৮ দশমিক ৭১ শতাংশ হয়েছে। ডলারের পাশাপাশি আমদানি পণ্যের বাড়তি দাম বাড়িয়ে দিয়েছে মূল্যস্ফীতি। ফলে পণ্যসামগ্রীর উপর এই বাড়তি দামের চাপ পড়তে শুরু করেছে সাধারণ মানুষের উপর। ডলারের এমন অবস্থায় আইএমএফ বা আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডার তার সদস্যভুক্ত দেশগুলিতে মুদ্রার মান ধরে রাখার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ১৯০টি সদস্যভুক্ত দেশে যেন কোনও অস্থিরতা বিরাজ না করে, সেবিষয়ে সরব হয়েছে আইএমএফ। এ কারণে বাংলাদেশকে ৪৭০ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে তারা। এখন প্রশ্ন, কীভাবে ডলারের দাম বাড়ে এবং তার মান ঠিক করতে কি কোনও পদক্ষেপ নিয়েছে আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডার বা বিশ্ব সংস্থা?
১৯৮৩ সাল থেকে বাংলাদেশ ডলারকে রপ্তানি এবং আমদানি মুদ্রা হিসেবে ব্যবহার শুরু করে। ১৯৭২ থেকে ১৯৮৩ পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্রিটিশ পাউণ্ডকে বিনিময় মুদ্রা হিসেবে ব্যবহার করেছিল। বাংলাদেশের বর্তমানে ৯০ শতাংশ লেনদেন হয় ডলারের মাধ্যমে। আর এই ডলারের মান নির্ধারণ করে দেয় আমেরিকার কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ব্যাঙ্ক ফেড। করোনাকালের সঙ্কট মোকাবিলা করার জন্য ফেড একটি ব্যবস্থা নিয়েছে। সেটি হল, ডলার সরবরাহ বাড়ানো। ফলে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে ফেডের মুদ্রা সরবরাহ বেড়ে দাঁড়ায় ২৭ শতাংশ। গত ডিসেম্বর থেকে যা ছিল ১ দশমিক ৩ শতাংশ কমেছে। সরবরাহ বৃদ্ধির পাশাপাশি মূল্যস্ফীতি যেন না ঘটে, সেজন্য দফায় দফায় সুদের হার বৃদ্ধি করা হয়। ফলে এখন ফেডে ডলার রাখলে বেশি সুদ পাওয়া যাচ্ছে। এতে ধনী দেশগুলি তাদের ডলার ফেডে রেখে মুনাফা লুটছে। যার বিরূপ প্রভাব পড়ছে বাংলাদেশের মতো বিনিয়োগপ্রত্যাশী দেশের উপর। কারণ, তারা কাঙ্খিত ডলারের সরবরাহ পাচ্ছে না।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া জাফরুল ইসলাম বলছেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির বর্তমান অবস্থা যা, তা যদি চলতে থাকে, তাহলে আমরা আরও খারাপের দিকে যেতে পারি। যদিও বাংলাদেশ ব্যাঙ্ক বলছে, প্রবাসীদের বৈধ পথে অর্থ দেশে আসা নিশ্চিত করতে পারলে এবং অর্থ পাচার বন্ধ করতে পারলেই এই সঙ্কট কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে। এখন দেখার বিষয়, বাংলাদেশ এই ডলার সঙ্কট কত দ্রুত কাটিয়ে উঠতে পারে।