দেশের সময় , গাইঘাটা : বাংলা আবাস যোজনায় প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকা পেয়েছিলেন সুকুমার মণ্ডল। কিন্তু একটিও ইট না–গেঁথে সেই টাকা নিয়েই বেপাত্তা হয়ে যান তিনি। বিষয়টি জানার পরেই নড়েচড়ে বসেছেন স্থানীয় পঞ্চায়েত থেকে ব্লক প্রশাসনের কর্তারা।
পঞ্চায়েত থেকে সম্প্রতি নোটিস দিয়ে তাঁকে যোগাযোগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। শুক্রবার সুকুমার দেখা করেন পঞ্চায়েত প্রশাসন এবং বিডিও অফিসে। ঘটনাটি গাইঘাটা ব্লকের চাঁদপাড়া ঢাকুরিয়ার।
আবাস যোজনার টাকা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তার পরেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যে বাংলা আবাস যোজনা প্রকল্পে বাড়ি তৈরির টাকা দিচ্ছেন। সেই টাকায় রাজ্য জুড়ে সরকারি বাড়ি তৈরি করছেন উপভোক্তারা। চাঁদপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ঢাকুরিয়ার বাসিন্দা সুকুমার আবাস যোজনায় বাড়ি তৈরির জন্য আবেদন করেছিলেন।
পঞ্চায়েত এবং ব্লক প্রশাসনের সমীক্ষার পরে প্রাপকদের তালিকায় নাম ওঠে তাঁর। সরকারের প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকাও পেয়েছিলেন। কিন্তু প্রথম কিস্তির টাকা পাওয়ার কিছুদিন পর বেপাত্তা হয়ে যান তিনি। এর পরেই বিষয়টি নজরে আসে চাঁদপাড়া পঞ্চায়েতের।
সুকুমারের আবেদনপত্রে দেওয়া ফোন নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করেন পঞ্চায়েতের আধিকারিকরা। কিন্তু ফোন সুইচড অফ থাকায় তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। বিষয়টি জানানো হয় গাইঘাটা ব্লক প্রশাসন কর্তাদের। পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে দিন কয়েক আগে সুকুমার মণ্ডলের বাড়িতে গিয়ে একটা নোটিস ঝুলিয়ে আসা হয়। এ দিন পঞ্চায়েতে এসে সুকুমার যোগাযোগ করেন প্রধান দীপক কুমার দাসের সঙ্গে। প্রধান তাঁকে গাইঘাটার বিডিও–র সঙ্গে দেখা করার নির্দেশ দেন।
চাঁদপাড়া পঞ্চায়েতের প্রধানের বক্তব্য, ‘সুকুমার বাংলা আবাস যোজনায় আবেদন করেছিলেন। ব্লক প্রশাসনের সমীক্ষার পরে তাঁকে যোগ্য উপভোক্তা বেছে নিয়ে প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছিল। নোটিস পেয়ে তিনি এসে জমি সংক্রান্ত কিছু সমস্যার কথা জানিয়েছেন।’
গাইঘাটার বিডিও নীলাদ্রি সরকার বলেন, ‘প্রথম কিস্তির টাকা তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেই রয়েছে। উনি টাকা তোলেননি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্রুত বাড়ি তৈরির পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আমরা বিষয়টি নজরে রাখছি।’