
সভ্য সমাজের অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে পলিব্যাগ, অনুর্বর হয়ে পড়ছে মাটি,বন্ধ হয়ে যাচ্ছে নিকাশি নালা, কার্যত ধীরে ধীরে ধ্বংসের পথে এগিয়ে চলেছে পরিবেশ। সে কারণেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মতো নির্মল বাংলা গড়তে উদ্যোগী বনগাঁ পৌরসভা। পাশাপাশি সীমান্ত শহরকে কলকাতার মতো আধুনিক ও উন্নত করে তুলতে বদ্ধ পরিকর পুরপ্রধান গোপাল শেঠ । দেখুন ভিডিও

শনিবার বনগাঁয় যোগেন্দ্রনাথ সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র ও রূপসী বাংলা প্রেক্ষাগৃহের, উদ্বোধন অনুষ্ঠানের পর তিনি বলেন , সীমান্ত শহর বনগাঁকে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে কলকাতার মতোই আধুনিক, উন্নত করার লক্ষ্যে। ইতিমধ্যেই বিগ বেন ঘড়ি থেকে আধুনিক আলো, ওয়াচ টাওয়ার, নীলদর্পণ ভবন সহ একাধিক মনীষীদের মূর্তি স্থাপন হয়েছে। এরই পাশাপাশি স্বাস্থ্য সচেতনতা ও আবর্জনা মুক্ত বনগাঁ গড়ে তুলতে মডেল পৌরসভা হিসেবে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।

এদিন বনগাঁ মহকুমার পাশাপাশি বারাসত ও বসিরহাট মহকুমার ৯ টি পৌরসভার প্রতিনিধিদের’কে নিয়ে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও বাংলার বাড়ি সংক্রান্ত এক বিশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় বনগাঁ পৌরসভা হলে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন সুডার ডাইরেক্টর ও নগরায়ন দফতরের স্পেশাল সেক্রেটারি জলি চৌধুরী, বনগাঁ পৌরসভার পৌর প্রধান গোপাল শেঠ, হাবরা পৌরসভার পৌর প্রধান নারায়ণ চন্দ্র সাহা, গোবরডাঙ্গা পৌরসভার পৌর প্রধান শঙ্কর দত্ত সহ বিভিন্ন পৌরসভার পৌর প্রধান ও আধিকারিকেরা।
মূলত প্রতিদিনের বর্জ্য নোংরা আবর্জনা কে কিভাবে সারে রূপান্তরিত করা যায়, প্লাস্টিকজাত বর্জ্য কিভাবে পুনরায় ব্যবহার করা যায় এই সংক্রান্ত নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। নির্মল বাংলা গড়ার লক্ষ্যে পৌরসভা গুলিকে বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হয় সরকারি এই আধিকারিক এর তরফে।
এদিন বৈঠকের পর বিশেষ সচিব উদ্বোধন করেন পুরসভার রূপসী বাংলা প্রেক্ষাগৃহের । এরই পাশাপাশি ইছমতির শহরের মানুষদেরকে আনন্দ দিতে এই শহরের প্রতাপগড় ময়দানে উদ্বোধন করা হল কলকাতার মনুমেন্ট- এর আদলে নির্মিত সু-উচ্চ শহীদ মিনারের। এছাড়াও যোগেন্দ্রনাথ সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন নগরায়ন দপ্তরের বিশেষ সচিব জলি চৌধুরী। ফলে স্বাস্থ্য, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন শহর ও আলোকিতকরণ এর মধ্যে দিয়ে বনগাঁ সীমান্ত শহরকে কলকাতার মতোই আধুনিক করে তোলার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথে পৌরসভা বলেই মনে করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত ভারত সরকারের ‘স্বচ্ছ ভারত অভিযান’-এর মতো ‘মিশন নির্মল বাংলা’ প্রকল্প চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন সমাজ গড়ে তোলার উদ্দেশ্যেই শুরু হয় ‘মিশন নির্মল বাংলা’। রাজ্যের প্রত্যন্ত এলাকাতেও শৌচালয় গড়ে তুলতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে চলেছে রাজ্য প্রশাসন। জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্তরে এই প্রকল্পের সাফল্য নিয়ে যথেষ্ট আলোচনা হয়েছে। ‘মিশন নির্মল বাংলা’ প্রকল্পটি প্রশংসিত হয়েছে বিশ্বমঞ্চে।