রাজ্যের আই এ এস অফিসারদের জন্য সুখবর।
সরকারি সূত্রে খবর, পশ্চিম বঙ্গে আই এ এস আই অ্যাসোসিয়েশন তাদের ভবনের জন্য বেশ কিছু জমি পেতে পারে । রাজ্য সরকারই এই জমি দেবে। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে যে দক্ষিণ কলকাতার আলিপুরে এই জমি পাওয়ার সম্ভাবনা উজ্জ্বল। এক লপ্তে প্রায় ২১ কাঠা জমি মিলতে পরে।
এই প্রসঙ্গে এক সরকারি আধিকারিক বলেন, ” সরকারের সঙ্গে অ্যাসোসিয়েশনের এই বিষয়ে কথা বার্তা চলেছে। আলোচনা অনেকটা এগিয়েছে বলেই শোনা যাচ্ছে। ” তার কথায়,,” বেশ কিছুদিন ধরেই এর প্রয়োজন অনুভূত হচ্ছিল। রাজ্য সরকারও এই বিষয়ে সহানুভূতিশীল। যে, আই এ এস অ্যাসোসিয়েশনের ক্ষেত্রে জমির বিষয়টি অগ্রাধিকার দিয়েই বিবেচনা করা দরকার। এক্ষেত্রে প্রশাসনিক যাবতীয় খুঁটি নাটি মেনেই এগোন হবে।”
বলা ভালো, সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ইতিহাসের ধারায় অনেকটা পথ পেরিয়ে এসেছে দেশের শীর্ষ প্রশাসকদের এই সংগঠন। যেমন, কিছু দিন আগে বদল হয়েছে সাবেক নাম। পুরনো নাম ইন্ডিয়ান সিভিল অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিসেস (সেন্ট্রাল) অ্যাসোসিয়েশন থেকে নয়া নামকরণ আই এ এস অ্যাসোসিয়েশন। ব্রিটিশ আমলের উপনৈবেশিক উত্তরাধিকার পরিত্যাগ করে নতুন গণতান্ত্রিক ভারতের চলতি হাওয়ার পন্থী হতেই এই পদক্ষেপ নিয়েছেন প্রশাসকরা।
তবে সংগঠনের motto অর্থাৎ “যোগা কর্মাসু কুশলম” অপরিবর্তিত রয়েছে। সেটির অর্থ সুচারু ভাবে কাজ করা বা কর্তব্য সম্পন্ন করাটাই প্রকৃত যোগ। এই motto আই এ এস অফিসারদের কর্মযোগীর মত তদগতচিত্তে একনিষ্ঠ ভেবে কাজ করতে অনুপ্রাণিত করবে।