দেশের সময় , ওয়েবডেস্কঃ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ও সাংসদ অভিষেক বন্দোপাধ্যায়কে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘কুরুচিকর’ মন্তব্য করেছিলেন বারাসত পুলিশ জেলার ডিআইবি-র এক ইনস্পেক্টর! সেই মন্তব্যের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সাসপেন্ড করা হল ওই পুলিশ ইনস্পেক্টর আশিস বটব্যালকে ৷
জেলা পুলিশ সূত্রের খবর, তাঁর বিরুদ্ধে শুরু হয়েছে বিভাগীয় তদন্ত। কর্মক্ষেত্রে গাফিলতির কারণে তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজনীতির অন্দরে, উত্তাপ বাড়তে শুরু করেছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সদর শহর বারাসতে।
সোশাল মিডিয়ায় ঠিক কী পোস্ট করেছিলেন তিনি?
আশিস বটব্যালের ফেসবুক প্রোফাইল থেকে করা একটি পোস্টে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের চশমার দাম নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। অভিষেক কোন জায়গায় চোখের চিকিৎসা করেছিলেন, তাও জনগণকে জানানোর কথা বলা হয়েছে। পোস্টের নীচে অভিষেকের সভার একটি ছবিও ছিল।
এই ফেসবুক পোস্ট করার পরেই ওই অফিসারকে সাসপেন্ড করায় অনেকেই দুয়ে-দুয়ে চার করেছেন। জেলার রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে এই সাসপেন্ড নিয়ে। জেলা পুলিশের তরফে স্পষ্ট কোনও বার্তা দেওয়া না হলেও, এক পদস্থ কর্তা দাবি করেছেন, ডিআইবি-র ওই ইনস্পেক্টরকে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তবে সেই গাফিলতি ঠিক কী, তা এখনও জানা যায়নি।
এই ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। চড়তে শুরু করেছে বিতর্কের পারদ। সাসপেন্ড হওয়া ওই পুলিশ কর্তার পাশে অবশ্য দাঁড়িয়েছে রাজ্য বিজেপি। এক বিজেপি নেতা বলেন, “এটা শুধু আশিসবাবুর মতো সৎ পুলিশ কর্মীর প্রশ্ন নয়। পুরো বাংলার মানুষের কাছে এই প্রশ্ন আসাটাই স্বাভাবিক। আমরা তো বারবার প্রশ্ন তুলছি, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পদের উৎস কি? আশিসবাবুকে আমরা কুর্নিশ জানাই।”