দেশের সময় ওয়েবডেস্ক:কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের জন্যই শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করা যাচ্ছে না বলেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার আদালত গোটা বিষয়টি স্পষ্ট করে দিলেও তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তাঁর নিজের দাবিতেই অনড়। মঙ্গলবার সোশ্যাল মিডিয়ায় আদালতের নির্দেশনামা পোস্ট করেছেন তিনি। শাহজাহানকে কেন এতদিন গ্রেফতার করা যায়নি, তা নিয়ে এখনও কোর্টকেই দুষছেন অভিষেক।
রবিবার অভিষেক বলেছিলেন, শেখ শাহজাহানকে আড়াল যদি কেউ করছে, সেটা বিচারব্যবস্থা, তৃণমূল কংগ্রেস নয়। দলের অবস্থান স্পষ্ট করতে বলেছিলেন, যে দল পার্থ চ্যাটার্জি, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে রেয়াত করেনি, সেখানে শেখ শাহজাহান কে?
BJP & ANTI BENGAL Media reaped the benefits of this EMBARGO like true opportunists!
— Abhishek Banerjee (@abhishekaitc) February 27, 2024
CHRONOLOGY:
⏸️ STAY given on 7th.
▶️ VIOLENCE and VILIFICATION began the following day, on the 8th.
With yesterday's clarifications from Calcutta HC, I'm confident justice will soon prevail. pic.twitter.com/S5bukTPO6x
৫ জানুয়ারির ঘটনা থেকে আদালতে গিয়ে ইডির স্টে-এর আবেদন জানানো, উল্লেখ করেছিলেন পরপর। অভিষেকের বক্তব্য ছিল, “স্টে অর্থাৎ তদন্ত হবে না, কাউকে গ্রেপ্তার করা যাবে না, কাউকে নোটিশ পাঠিয়ে ডাকা যাবে না।” ঠিক তার পরের দিন, সোমবার আদালত জানিয়ে দেয়, শাহজাহানকে গ্রেপ্তারে কোনও বাধা নেই। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম সন্দেশখালি মামলায় শাহজাহানকে যুক্ত করার নির্দেশও দেন। জানান, যেহেতু এখনও অধরা সে, তাই পাবলিক নোটিশ দিয়ে জানাতে হবে, তাকে যুক্ত করা হয়েছে মামলায়। ২টি সংবাদপত্রে নোটিশ দিয়ে জানাবে হাই কোর্ট। সন্দেশখালি প্রসঙ্গে আদালত জানায়, ইডির মামলায় সিট গঠনের উপর স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছিল।তবে পুলিশকে জানানো হয়নি যে, গ্রেপ্তার করা যাবে না।
ঠিক তার পরের দিন, মঙ্গলবার সমাজমাধ্যমে সন্দেশখালি নিয়েই পোস্ট করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিচারব্যবস্থা পুলিশ-প্রশাসনের হাত বেঁধে রেখেছে বলে যে অভিযোগ তিনি এনেছিলেন, তা নিয়েই ফের বার্তা দিতেই তাঁর এই পোস্ট বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। যে সন্দেশখালিতে শাহজাহানের খোঁজে গিয়ে ফিরে আসেন তদন্তকারী আধিকারিকরা, অভিযোগ তোলেন মারধরের। ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে সেই সন্দেশখালির গ্রামবাসীরাই শাহজাহানের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসে ওঠে।
মঙ্গলবার আদালতের একটি নির্দেশনামার অংশ পোস্ট করে অভিষেক লিখেছেন, ৭ তারিখ স্টে অর্ডার দেওয়া হয়েছে, ৮ তারিখ থেকে শুরু হয়েছে হিংসা-বিক্ষোভের ঘটনা। সঙ্গেই অভিষেক লিখেছেন, আদালত সোমবার সন্দেশখালি প্রসঙ্গে বিভ্রান্ত দূর করার পর, সেখানকার মানুষ দ্রুত সুবিচার পাবেন বলে তিনি আশা করছেন।
ইতিমধ্যে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস শাহজাহানের গ্রেফতারি প্রসঙ্গে রাজ্যকে চিঠি দিয়েছেন। জানিয়েছেন, দুষ্কৃতীকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব গ্রেফতার করতে হবে। পাশাপাশি জানিয়েছেন, প্রশাসন যদি শাহজাহানকে এবার ধরতে ব্যর্থ হয়, তাহলে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট দিতে হবে তাঁকে। এছাড়া সন্দেশখালি থেকে নতুন করে যে অভিযোগ আসছে তার তদন্তের গতিপ্রকৃতি সম্পর্কেও জানতে চেয়েছেন রাজ্যপাল।