দেশের সময়: আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই কি বড়সড় ডেভেলপমেন্ট হতে চলেছে? সুপ্রিম কোর্টে কেন ‘রক্ষাকবচ’ চাইছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়? এমনই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন বিরোধীরা। তাদের বক্তব্য, শনিবার সিবিআই সাড়ে ন’ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে জেরা করেছেন অভিষেককে। সিবিআইয়ের দফতর থেকে বেরিয়ে অভিষেক সংবাদ মাধ্যমের সামনে বলেছেন, সিবিআই তাঁকে ৯০ শতাংশেরও বেশি ‘ফালতু’ প্রশ্ন করেছে। তাহলে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার দরকার হচ্ছে কেন তাঁর। কেনই বা তাঁর আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি আবেদন শুনতে শীর্ষ আদালতে এতটা মরিয়া হয়ে দরবার করছেন? তা হলে কি সিবিআই অন্য কোনও পদক্ষেপ নিতে পারে বলে আঁচ করছেন অভিষেক? কিন্তু কেন?
তিনি তো সংবাদ মাধ্যমে স্পষ্ট করে বলেছেন, সিবিআই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে কাজ করছে। তাঁর বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ থাকলে তিনি ফাঁসির মঞ্চে উঠতে পারেন। তা হলে কেন? কেন তিনি ভেবে নিচ্ছেন সিবিআই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের নামে আটকে দিতে পারে, এমনকী গ্রেফতারও করতে পারে? এমন প্রশ্ন তুলেছেন কংগ্রেস নেতা সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, তাহলে কি অভিষেক যে সংবাদ মাধ্যমের কাছে বলছেন, সিবিআই তাঁকে ৯০ শতাংশ ফালতু প্রশ্ন করেছে। এভাবে ডেকে তাঁরও সময় নষ্ট হচ্ছে। সিবিআইয়েরও সময় নষ্ট। কিন্তু আসলে অন্য বিষয়। এমন কি কোনও প্রশ্ন করেছে সিবিআই, যাতে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে অভিষেককে?
আর তা থেকেই তাঁর মনের কোণে এমন ধারণা হয়েছে যে, তাঁকে গ্রেফতার করা হতে পারে? তাই যদি না হবে, তা হলে সুপ্রিম কোর্ট থেকে একটা ‘রিলিফ’ পেতে আইনজীবীদের মাধ্যমে এত মরিয়া হয়ে চেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি? অভিষেকের আবেদনের প্রেক্ষিতে আগামী শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে শুনানি হওয়ার কথা। কিন্তু তার আগেই কি বড়সড় কোনও ডেভেলপমেন্ট হতে পারে? এমন জল্পনাও ঘুরপাক খাচ্ছে বিভিন্ন মহলে। অভিষেক অবশ্য তৃণমূলে নবজোয়ার কর্মসূচিতে নতুন উদ্যমে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। জানিয়ে দিয়েছেন, বিজেপি নয়, তিনি ঠিক কি ভুল, মানুষই তার বিচার করবে। বাঁকুড়ার ইন্দাস থেকে দৃপ্ত কণ্ঠে জানিয়ে দিয়েছেন, এজেন্সি লেলিয়ে আটকানো যাবে না তাঁকে। এজেন্সি যত শক্তি বাড়াবে, ততই আমাদের আন্দোলনের তেজ বাড়বে।
ইডি, সিবিআই আমার কেশাগ্র স্পর্শ করতে পারবে না। নাম না করে মোদি-শাহদের নিশানা করে অভিষেকের তোপ, এজেন্সি না নামিয়ে জনতার মাঝে এসে লড়াই করুন। বিজেপিরও বিচার হবে বাংলার মানুষের দরবারে।