দেশের সময় কলকাতা: চলতি বছরের অগাস্ট মাসেই ছিল বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের অবসর গ্রহণের দিন। তবে তাঁর আগেই ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
রবিবার জানিয়েছিলেন যে মঙ্গলবার পদত্যাগ করবেন তিনি। সেই মতোই এদিন বিচারপতি পদ থেকে ইস্তফা দিলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। মঙ্গলবারই রাষ্ট্রপতির কাছে ইস্তফাপত্র পাঠালেন তিনি। নিয়ম অনুযায়ী, তার প্রতিলিপি যাবে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এবং কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে। সূত্রের খবর, পদত্যাগ করার পর প্রধান বিচারপতির সঙ্গে দেখা করেন তিনি।
মঙ্গলবার ইস্তফাপত্র দিতে কলকাতা হাইকোর্টে নির্ধারিত সময়েই পৌঁছে যান অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, ইমেলে নয় জিপিও থেকে চিঠি দিয়ে রাষ্ট্রপতিকে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন তিনি।
সোমবারই কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি হিসেবে তাঁর শেষ দিন ছিল। তাই কিছুটা আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আইনজীবী কমলেশ ভট্টাচার্য বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে দেখে বলেন, ”ডার্ক ডে ফর আস।’
‘ যদিও এই কথা শুনে শুধু মুচকি হাসেন বিচারপতি। পরে তিনি শুধু বলেন, ”প্রায় ২৯ বছর এই হাইকোর্টের অলিন্দে কেটেছে।” সোমবারই জানা গেছে, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সব মামলা সরানো হয়েছে তাঁর এজলাস থেকে। মামলাগুলি গিয়েছে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে।
এক সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিয়ে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, ‘বৃহত্তর স্বার্থে’ কাজ করতে চান। তাই সরাসরি রাজনীতিতে আসতে চলেছেন তিনি। এই বিষয়ে শাসক দল তৃণমূল সম্বন্ধে তাঁর বক্তব্য ছিল, তারাই তাঁকে রাজনীতিতে আসার চ্যালেঞ্জ করে এই সুযোগ করে দিয়েছে।
এক্ষেত্রে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের স্পষ্ট কথা ছিল, তৃণমূলে তাঁর যোগ দেওয়ার কোনও প্রশ্ন নেই। তাহলে কোন দলে যাবেন তিনি, তা নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে। যদিও ইঙ্গিত মিলিছে তিনি বিজেপিতে যাচ্ছেন এবং পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক থেকে প্রার্থীও হতে চলেছেন আসন্ন নির্বাচনে।