নীলাদ্রি ভৌমিক, কলকাতা : সোমবার অপরাহ্নে ভারতে প্রথম স্কাই ওয়ার্কের আনুষ্ঠানিক উদ্ধোধন করলেন,মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দক্ষিনেশ্বর কালী মন্দিরে যাওয়ার নতুন আধুনিক ব্যবস্থায় খুশি আমজনতা। ২০১৬ সালে যানজট রুখতে এবং দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে রাজ্য সরকারের পূর্ত বিভাগ এই স্কাইওয়ার্কের কাজ শুরু করে কালীপুজোর আগের দিন দক্ষিণেশ্বরে এই স্কাইওয়ার্কের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন, মুখ্যমন্ত্রী গর্ভগৃহে ভবতারিনী মায়ের মূর্তিও দর্শন করে ভক্তি ভরে প্রণাম করেন। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যাঁরা ধর্ম ধর্ম করে, তাঁরা ধর্মের জন্য কিচ্ছু করেনা। আমি ধর্মকে সম্মান করি, বিক্রি করিনা। দক্ষিণেশ্বর, বেলুড়ের আন্তর্জাতিক ইতিহাস আছে। এই স্কাইওয়ার্ক নির্মাণে হকারদের ভুল বোঝানো হয়েছিল। হাইকোর্ট পর্যন্ত গড়িয়েছিল,এটা হবে কীনা? হাইকোর্টকে ধন্যবাদ , তারা সঠিক রায় দিয়েছেন। আগে এ ব্যাপারে কেউ ভাবার ছিল না। তাই ভাবেনি ৷ এটি রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিছন্ন রাখার জন্য কামারহাটি পুরসভা ৫০ জন লোক দেবে। ৩৪০ মিটার দীর্ঘ, ১০.১৫ মিটার চওড়া স্কাইওয়াক রানি রাসমনি স্কাইওয়াক খরচ হয়েছে ৬০ কোটি টাকা। রয়েছে ১৪টি এসক্যালেটর এবং চারটি লিফট। স্টেশন থেকে মন্দিরের গেট পর্যন্ত অনায়াসেই চলে যেতে পারবেন দর্শনার্থীরা। অনুষ্ঠানে ছিলেন পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, সাংসদ সৌগত রায়, খাদ্য ও সরবরাহমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, দক্ষিণেশ্বর কালীমন্দিরের অছি পরিষদের সম্পাদক কুশল চৌধুরি, বেলুড় মঠের রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সাধারণ সম্পাদক স্বামী সুধীরানন্দজি মহারাজ, কামারহাটি মিউনিসিপ্যালিটির চেয়ারম্যান গোপাল সাহা, বরাহনগর মিউনিসিপ্যালিটির চেয়ারপার্সন অপর্ণা মৌলিক প্রমুখ।
স্কাইওয়াকে হকারদের পুনর্বাসনে ১৩৭টি দোকান নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে। লটারির মাধ্যমে দোকানগুলি বিলি করা হয়েছে। স্কাইওয়াকে রয়েছে বিশ্রামকক্ষও। নাম না করে মুখ্যমন্ত্রী বিজেপি কে কটাক্ষ করে বলেন, গেরুয়া বসন পড়লেই সাধু হওয়া যায় না। গেরুয়ার অর্থ ত্যাগ, তিতিক্ষা। পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের পৌরোহিত্যে এই অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ দেন,দক্ষিণেশ্বর কালী মন্দিরের অছি ও সম্পাদক কুশল চৌধুরী, বেলুড়ের রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সম্পাদক স্বামী সুবীরানন্দজী মহারাজ৷ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন , সাংসদ সৌগত রায়, রাজ্যের তিন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, অমিত মিত্র, ব্রাত্য বসু এবং কামারহাটি ও বরাহনগর পুরসভার দুই পুরপ্রধান গোপাল সাহা ও অপর্ণা মৌলিক প্রমুখ। উল্লেখ্য, ৬o কোটি টাকা ব্যয়ে স্কাইওয়ার্কটি ৩৮o মিটার লম্বা ও ১০মিটার চওড়া। রয়েছে,১২টি চলমান ও ৮টি সিঁড়ি, ৪টি লিফট। ভিতরে সিসিটিভি,অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা এবং থ্রি-ডি আলোকসজ্জায় আধুনিকার এক উজ্জ্বল নজির৷