দেশের সময়ঃ বাবার কাছে ঘুড়তে যাওয়ার জন্য বায়না করেছিল ৯ বছরের বাচ্চা মেয়েটি। কিন্তু বেড়াতে না নিয়ে গিয়ে পড়তে বলেছিল বাবা। আর সেই অভিমানেই গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহতা করলো ঋদ্ধি রায়(৭) নামে ছোট্ট মেয়েটি।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘটেছে গাইঘাটা থানার চিকণপাড়া এলাকায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, চিকনপাড়ার বাসিন্দা রথীন্দ্রনাথ রায়ের একমাত্র মেয়ে ঋদ্ধি। চতুর্থ শ্রেনিতে পড়ত সে। গত তিন বছর ধরে নিজের মা তার সঙ্গে থাকে না।
ফলে একমাত্র মেয়েই সব ছিল রথীনের কাছে। মেয়ের বায়না সাধ্যমতো পুরনের চেষ্টা করতেন তিনি। কখন মায়ের অভাব বুঝতে দিতেন না। কাজ থেকে বাড়ি ফিরে প্রায়দিনই বিকালে মেয়েকে নিয়ে ঘুড়তে যেতেন তিনি। এদিন বিকালেও ছোট্ট ঋদ্ধি ঘুড়তে যাওয়ার জন্য বাবার কাছে আবদার করেছিল।
কিন্তু কাজের ব্যস্ততা থাকায় মেয়েকে নিয়ে বেড়াতে যেতে পারেন নি। তার বদলে মেয়েকে বাড়িতে বসে বই পড়তে বলেছিলেন। একথা বলে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যান তিনি। বাড়িতে তখন ঋদ্ধি ও তার ঠাকুমা ছিলেন। ছোট্ট মেয়ে তার ঘরে বসে খেলছে ভেবেছিলেন ঠাকুমা।
কিছু সময় পর ঋদ্ধিকে খেতে ডাকতে তার ঘরের দরজা খুলে ঠাকুমা দেখেন ঋদ্ধি ঘরের জানালার সঙ্গে গলায় ফাঁস লাগিয়ে অচৈতন্য অবস্থায় ঝুলে রয়েছে। তরিঘড়ি তাকে চাঁদপাড়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে ডাক্তারেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ডাক্তারের কথা মেনে নিতে না পেরে তাকে বনগাঁ হাসপাতালে নিয়ে যায় তার পরিবার। সেখানেও ডাক্তার তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।