দেশের সময় ওয়েব ডেস্কঃ তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়কে সারদা কাণ্ডে ফের তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টর। সূত্রের খবর, ১২ জুলাই হাজিরা দিতে বলা হয়েছে তাঁকে। এর পাশাপাশি শোনা যাচ্ছে, জেলে গিয়ে দেবযানী মুখোপাধ্যায় এবং সুদীপ্ত সেনকেও জেরা করতে পারে সিবিআই।
ভোটের আগে থেকেই চিটফান্ড দূর্নীতি তদন্তে গতি এনেছে সিবিআই ও ইডি। তৎকালীন বিধাননগর কমিশনারেটের একাধিক পদস্থ কর্তাকে দফায় দফায় জেরা করেছে কেন্দ্রীয় তদন্ত এজেন্সি। রাজীব কুমার, অর্ণব ঘোষ-সহ চিটফান্ড তদন্তের জন্য রাজ্য সরকারের গঠন করা স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিমের সদস্যদের ডেকে কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। এর মধ্যেই আবার শতাব্দীকে তলব।
শতাব্দী রায় ছিলেন সারদার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাস্যাডর। সেই সূত্রে এর আগেও তাঁকে জেরা করেছিলেন গোয়েন্দারা। ফের তলব করা হল বীরভূমের তিনবারের তৃণমূল সাংসদকে। এর মধ্যে শিল্পী শুভাপ্রসন্নকে ডেকেও একপ্রস্থ জেরা করেছেন গোয়েন্দারা।
অন্যদিকে সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ দেবযানী মুখোপাধ্যায়কে জেলে গিয়ে জেরা করতে পারেন গোয়েন্দারা। মাস খানেক আগে বারাসত স্পেশাল কোর্টে সিবিআই-এর তরফে আর্জি জানানো হয় তারা জেলে গিয়ে সুদীপ্ত-দেবযানীকে জেরা করতে চায়। কিন্তু সেই মামলা ঝুলে ছিল আদালতে। শুক্রবার বিচারক জেলে গিয়ে জেরার অনুমতি দিয়েছে সিবিআই-কে।
সিবিআই সূত্রে খবর, গত আড়াই মাসে একাধিক প্রশাসনিক কর্তাকে জেরা করার পর যে তথ্য গোয়েন্দারা পেয়েছেন, তা মিলিয়ে দেখতে চাইছেন তাঁরা। বিশেষ করে রাজীব কুমার এবং অর্ণব ঘোষকে জেরার পর সিবিআই এই কাজে আরও তৎপরতা বাড়ায়। প্রসঙ্গত, অর্ণব ঘোষকে যখন সিজিও কমপ্লেক্সে জেরা করছিলেন গোয়েন্দারা, তখন দেখা গিয়েছিল ট্রাঙ্ক ভর্তি নথি আসতে। অনেকে মনে করছেন, ওই জেরায় যা উঠে এসেছে, তা সুদীপ্ত-দেবযানীর থেকে যাচাই করে নিতে চাইছে সিবিআই।
গত কয়েক বছর ধরেই কেন্দ্রীয় এজেন্সি বারবার করে বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের কথা বলেছে। তাই সবকটি চিটফাণ্ড দূর্নীতিকে এক জায়গায় করে তদন্ত করছে ইডি এবং সিবিআই। সপ্তাহ খানেক আগেই একটি চিটফান্ড সংস্থার ১৬টি দফতরে হানা দিয়েছিল সিবিআই-এর একটি বিরাট দল। এ বার সেই তদন্তেই আরও কয়েক ধাপ এগোনোর পদক্ষে গোয়েন্দাদের৷