দেশের সময়ঃ এ বছর ৬২৩ -এ পড়ল শ্রীরামপুর মাহেশের রথযাত্রা উৎসব। বৃহস্পতিবার রথে চেপে মাসির বাড়ি পাড়ি দেবেন জগন্নাথ। এ বছর মাহেশের রথযাত্রার সূচনা করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই ঢেলে সাজানো হয়েছে নিরাপত্তাব্যবস্থা।
পুলিশ কমিশনার হুমায়ুন কবির, এডিজি বিনীত গোয়েল–সহ চন্দননগর কমিশনারেটের পুলিশ আধিকারিকরা ইতিমধ্যেই মাহেশ জগন্নাথ মন্দির একাধিকবার পর্যবেক্ষণ করেছেন। সংলগ্ন ওয়েলিংটন জুট মিল ময়দানে তৈরি করা হয়েছে হেলিপ্যাড।
তা ছাড়া মুখ্যমন্ত্রী যদি জলপথে শ্রীরামপুরে আসেন, তার জন্যেও তৈরি রিষড়া ফেরিঘাট। একইসঙ্গে সড়কপথের যাবতীয় নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করেছে জেলা প্রশাসন।
এদিকে, মাহেশের রথযাত্রাকে ঘিরে তৈরি হয়েছে অশান্তির আবহ। কারণ, রথযাত্রার সময় মুখ্যমন্ত্রীর সামনে ‘জয় শ্রী রাম’ ধ্বনি দিতে প্রস্তুত হয়েছে বিজেপি।
এ নিয়ে যাতে অশান্তি না হয়, তাই রথযাত্রার সময় তৃণমূলের ৫ হাজার কর্মী আগে থেকেই মাহেশে থাকবে বলে জানা গেছে। থাকবে পর্যাপ্ত পুলিশবাহিনীও। সাধক ধ্রুবানন্দ ব্রহ্মচারী ৬২২ বছর আগে যে রথযাত্রার সূচনা করেছিলেন, তা এখনও একইভাবে চলে আসছে। মন্দিরের সেবায়েত তমালকৃষ্ণ অধিকারী বলেন, ‘কলকাতায় ইসকনের রথের সূচনা করেই মুখ্যমন্ত্রী মাহেশে আসবেন। বেলা সাড়ে ৩টে নাগাদ মুখ্যমন্ত্রীর হাতেই মাহেশের রথের সূচনা হবে। ‘ বিজ্ঞাপণ’
নিয়ম মেনে আগে পুরীর রথে টান পর্ব, তার পরেই মাহেশের রথ।’ আগে মাহেশের এই রথ ছিল কাঠের। ১৮৮৪ সালে মার্টিন অ্যান্ড বার্ন কোম্পানিকে দিয়ে লোহার রথ বানিয়ে দেয় শ্যামবাজারের বসু পরিবার। ১২টি লোহার চাকার এই রথের ওজন ১২৫ টন, উচ্চতা ৫০ ফুট। রয়েছে ৯টি চূড়া। রথের সামনেই রয়েছে ২টি বড় আকারের তামার ঘোড়া, ২টি বড় রাজহাঁস এবং কাঠের সারথি।
অন্যদিকে, চন্দননগরের গৌরবময় রথ উৎসব এবার ২৪৫ বছরে পদার্পণ করল। এটি ৪ তলা রথ হলেও, মাহেশের মতো অত চওড়া ও উঁচু নয়। তবে এই রথযাত্রাকে ঘিরেও উন্মাদনা তুঙ্গে।