

ঘূর্ণিঝড় ‘দিতওয়াহ’ কার্যত শক্তি হারিয়ে দক্ষিণ-পশ্চিম ও পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। তামিলনাডু, পুদুচেরি ও অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূল থেকে সমুদ্রে প্রায় ৪০ কিলোমিটার ভিতরে অবস্থান করছে সিস্টেমটি। আর শক্তি সঞ্চয় না করে এখন ক্রমশ দুর্বলই হবে। বাংলার উপর এর কোনও প্রভাব নেই বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। ফলে রাজ্যে মূলত শুষ্ক আবহাওয়া বজায় থাকবে এবং ধীরে ধীরে পারদ নামার সম্ভাবনা রয়েছে।

দিন কয়েক শীতের আমেজ গায়েব শহর থেকে। ভোরে ও সন্ধ্যায় কয়েকটি জেলায় হালকা শীতের আমেজ থাকলেও, তাতে সন্তুষ্ট ছিলেন না কেউ। এবার চলতি বছরেই কনকনে ঠান্ডা নিয়ে বড় আপডেট রয়েছে।

আগামী দু’দিনে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে সকালে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশার পূর্বাভাস রয়েছে। যার জেরে কমবে দৃশ্যমানতাও। কোথাও কোথাও দৃশ্যমানতা ২০০ মিটারের কাছাকাছি চলে যেতে পারে।

আগামী চারদিনে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে পারদ নিম্নমুখী থাকবে। চলতি সপ্তাহে তাপমাত্রা দু’-তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস কমবে। তারপর সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় বিশেষ হেরফের হবে না।

আগামী চারদিনে দক্ষিণবঙ্গের তাপমাত্রাও কমবে। একধাক্কায় তিন-চার ডিগ্রি সেলসিয়াস কমবে সব জেলায়। তারপর কয়েক দিনে তাপমাত্রায় কোনও পরিবর্তন হবে না।
আবহাওয়ার দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, চলতি সপ্তাহে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে নামতে পারে।

অন্যদিকে পুরুলিয়া সহ পশ্চিমের জেলাগুলিতে তাপমাত্রার পারদ ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে থাকতে পারে। অর্থাৎ ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে জবুথবু দশা হবে সকলের।
কলকাতার আকাশ মূলত পরিষ্কার থাকলেও মাঝে মাঝে আংশিক মেঘলা দেখা যেতে পারে। উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে শুষ্ক ও ঠান্ডা হাওয়া ঢুকছে, যার ফলে আগামী দিনে আরও পারদ পতন হবে। মঙ্গলবার যেখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২০ ডিগ্রির ঘরে, সেখানে বুধবার তা নেমে এসেছে ১৭.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৬.৮ ডিগ্রি। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ৪৩ থেকে ৮৬ শতাংশের মধ্যে রয়েছে।

এদিকে দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও শীতের দাপট বাড়ছে। পাঞ্জাব, মধ্য মহারাষ্ট্র ও মারাঠওয়াড়ায় শৈত্যপ্রবাহের পরিস্থিতি। হিমাচল প্রদেশ, অসম, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, মিজোরাম, ত্রিপুরা ও ওড়িশাতে ঘন কুয়াশার সতর্কতা জারি হয়েছে। অন্যদিকে, কেরল, মাহে, তামিলনাড়ু, পুদুচেরি ও করাইকাল এলাকায় বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর।



