দেশের সময়, বনগাঁ: বনগাঁর পেট্রাপোল সীমান্তের নরহরিপুর সারাদা চরণ বিদ্যাপীঠের ছাত্রী মঞ্জিলা মন্ডলের বাবা থেকেও নেই। মা অন্যের বাড়িতে কাজ করে কোন রকমে সংসার চালান। এমন টানাপোড়েনের মধ্যে দিয়েই এবারে ৪৫০ নম্বর নিয়ে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেছে সে। বাগদার কুনিয়াড়া হাই স্কুলের লাবনী দাসের বাবা একজন ফুচকা বিক্রেতা।
দারিদ্র্যের মধ্যেও সেও এবারের উচ্চ মাধ্যমিকে ৪৫০ নম্বর পেয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার নুঙ্গি হাই স্কুলের সিদ্ধার্থ কুন্ডু এদেরকেও ছাপিয়ে ৪৭১ নম্বর পেয়েছে। এদের মতই গাইঘাটার সুরজিৎ বিশ্বাস, বাগদার লিঙ্কন মন্ডল, রাজদীপ ঘোষ, বনগাঁর রিয়া মন্ডল, সীমা দাস এদের প্রত্যেকের পারিবারিক আর্থিক অবস্থা খুবই সঙ্গীন। তার মধ্যে দিয়েই এক প্রকার যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে তারা। যেমন সীমা তার নিজের পড়ার খরচ জোগাড় করতে টিউশন করতে হয়।
এমনই এক ঝাঁক দুস্থ- মেধাবী ছাত্র ছাত্রীর পাশে দাঁড়ালেন সমাজসেবী ডিএন পাঠক। এই কাজে সহযোগি হিসেবে হাত বাড়িয়ে দিয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা নির্ভয়া ফাউন্ডেশন বনগাঁ। মিডিয়া পার্টনার দেশের সময় পত্রিকা। এদের প্রত্যেকের যৌথ উদ্যোগে রবিবার বনগাঁ লজে একটি ঘরোয়া অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই সব ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে প্রয়োজনীয় পাঠ্যপুস্তক, খাতা, পেন এবং আর্থিক অনুদান তুলে দেওয়া হলো।
উদ্যোক্তাদের পক্ষে দেবাশীষ গোস্বামী জানান, ডিএন পাঠকের অনুপ্রেরণায় এবং সাহায্যে ও অন্যান্য বিশিষ্ঠজনদের প্রচেষ্টায় অভাবী অথচ মেধাবী ছাত্র ছাত্রীদের বিভিন্ন রকমের সাহায্য করা হয় । শুধু বনগাঁ অঞ্চল বললে ভুল হবে আমরা রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলের অনেক ছাত্র ছাত্রী কে গত ১০ বছর ধরে বই, পড়াশোনার অন্যান্য সামগ্রী সঙ্গে আর্থিক অনুদান দিয়ে আসছি। এইসব ছাত্রছাত্রীরা যাতে আগামী দিনে নিজেদের শিক্ষা ক্ষেত্রে নিজের পরিচয় ও মেধার ভিত্তিতে আগে বাড়তে পারে সেই জন্যেই এই উদ্যোগ।
এছাড়া আমরা এই সমাজ সেবকের মাধ্যমে অন্যান্য অনেক ক্ষেত্রে সহযোগিতা করে থাকি। নির্ভয়া ফাউন্ডেশনের পক্ষে দীপাঞ্জয় দত্ত জানান, ডি.এন. পাঠক মহাশয়ের অর্থানুকুল্যে প্রতি বছর যে কর্মযোগ্য চলে বনগাঁ নির্ভয়া ফাউন্ডেশন গত বছর থেকে তার শরিক হতে পেরে আনন্দিত। আগামী দিনে আরও বেশি সংখ্যক দুঃস্থ মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের পাশে থাকতে চাই।