

দেশের সময় : সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বাংলা ভাষাকে অবহেলিত করা এবং বাঙালিদেরকে বিভিন্ন ভাবে হেনস্তা করার প্রতিবাদে বনগাঁ পুরসভার উদ্যোগে নীলদর্পণ অডিটোরিয়ামে আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর রবিবার সন্ধ্যায় মঞ্চস্থ হতে চলেছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা নাটক রক্তকরবী।

বনগাঁ পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল শেঠ বলেন ,শুধু বাঙালি নয়, দেশের যেকোনও প্রান্তের মানুষ, অন্য প্রান্তে হেনস্তার শিকার হলে, তা আপত্তিকর। গোপাল বাবুর কথায়,, “যাঁরা ভারতীয়, তাঁদের পুরো ভারতবর্ষের উপর অধিকার আছে ৷ শুধু একটা অঞ্চলের উপর নয় ।”

বনগাঁ’র নীল দর্পন অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে রবীন্দ্রনাথের নাটক রক্তকরবী। সেই নিয়ে উৎসাহ এবং প্রস্তুতি তুঙ্গে নাটকের সকল কলাকুশলীদের। দেখুন ভিডিও

নাটকের অন্যতম প্রধান চরিত্র অধ্যাপকের ভূমিকায় অভিনয় করছেন স্বনামধন্য প্রবীণ আলোকচিত্রী অশোক মজুমদার। দেশের সময়কে তিনি জানালেন, ‘নিজের পেশাগত দিক থেকে নাট্যমঞ্চের অভিনেতা না হলেও এই অভিনয়ের মধ্যে দিয়েই খুঁজে পাওয়া যায় জীবনের রসদ; আর তাই গৌতম হালদারের হাত ধরেই এই নাটকের সঙ্গে যুক্ত হওয়া’।

বনগাঁ পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল শেঠকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “গোপাল শেঠ এই রক্তকরবী মঞ্চস্থ করার জন্যে, এবং সমগ্র বনগাঁবাসীর কাছে প্রথম এই রক্তকরবীকে তুলে ধরার জন্যে যে উদ্যোগ নিয়েছেন তা প্রশংশনীয়”। শিল্পী আরও বলেন, “আজ যে রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে রক্তকরবী কলকাতার বাইরে প্রথম বনগাঁ’র মত এক ঐতিহাসিক শহরে মঞ্চস্থ হতে চলেছে তা অনেক বড় বিষয়। বনগাঁ’র মানুষের ভালোবাসার ফলেই তা সম্ভব হয়েছে। সেইসঙ্গে বনগাঁ ভারতের সীমান্ত শহর, আজ যদি বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ঠিক থাকত তাহলে দুইদেশের মানুষ একই সঙ্গে বসে এই নাটক দেখার সু্যোগ পেত এবং উপভোগ করত।
বনগাঁ’র তরুণ প্রজন্মের কাছে শিল্পীর আবেদন রবীন্দ্রনাথের রক্তকরবী নাটকের মঞ্চে দেখার আগে তারা যদি ভালো করে নাটকটি পড়ে নেয় তাহলে আজ একশো বছর পরেও তা কতটা সার্থক ও প্রাসঙ্গিক তারা বুঝতে পারবে এবং আগামী একশো বছরেও তার প্রাসঙ্গিকতা সমান ভাবে বজায় থাকবে।
এদিকে বনগাঁতেও রক্তকরবী নাটক ঘিরে উৎসবের আমেজ চোখে পড়ার মতো । শহরের বিভিন্ন স্কুল সহ রাস্তার দুধারে লাগানো হয়েছে পোষ্টার ব্যানার ।চলছে মাইক প্রচার । পুরসভাব এমন উদ্যোগে খুশি নাট্যপ্রেমীরাও ।