Rituraj Hotel fire, Kolkata: কলকাতার বড়বাজারের হোটেলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মৃত্যু ১৪ জনের, পলাতক মালিক, তদন্তে ‘সিট’

0
18

বড়বাজারের মেছুয়া ফলপট্টির হোটেলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের  জেরে মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। পুলিশ সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সন্ধেয় অগ্নিকাণ্ডের পরই একজনের মৃত্যু হয়েছিল। পরে হোটেলের রুম থেকে আরও ১৩ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। দমবন্ধ হয়ে তাঁদের মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। বুধবার সকালে আরও একজনের মৃত্যু হল। সবমিলিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৪। 

ঘটনার তদন্তে ইতিমধ্যে সিট গঠন করেছে কলকাতা পুলিশ। মঙ্গলবার রাতেই ঘটনাস্থলে যান কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম এবং কলকাতা পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা। মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, “কীভাবে এই ঘটনা ঘটল, তা দমকল ও পুলিশ খতিয়ে দেখবে। এফআইআর হবে। ঘটনার তদন্ত হবে।” বুধবার সকালে ঘটনাস্থলে যাচ্ছে ফরেনসিক দল। কীভাবে অগ্নিকাণ্ড তা খতিয়ে দেখবে কলকাতা পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দলও (SIT)। ঘটনার পর থেকেই পলাতক হোটেল মালিক। তাঁর খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। 

মঙ্গলবার সন্ধে নাগাদ হোটেলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে ছ’তলা হোটেলের প্রতিটি ফ্লোরে। আচমকা আগুনে হোটেলের ভিতরে আটকে পড়েন বহু আবাসিক। আতঙ্কিত মানুষজন মোবাইলের ফ্ল্যাশলাইট জ্বেলে জানলার পাশে দাঁড়িয়ে নিজেদের উপস্থিতি জানান দেওয়ার চেষ্টা করতে থাকেন। আতঙ্কে অনেকে ছাদেও উঠে যান। পরে দমকল বাহিনী হাইট্রোলিক ল্যাডার এনে তাঁদের উদ্ধার করে।

উদ্ধারকাজে হাত লাগান স্থানীয় বাসিন্দারাও। পুলিশ সূত্রের খবর, অন্তত ২৫ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার পরই একজনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল।

দীর্ঘক্ষণ হোটেলের ঘরে দমবন্ধ অবস্থায় আটকে থাকায় কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁদের কলকাতা মেডিক্যাল, এনআরএস এবং আরজি করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসতে হোটেলের রুমগুলিতে ঢোকেন দমকলের কর্মীরা। এরপরই বিভিন্ন ফ্লোরের ঘর থেকে একাধিক মৃতদেহ উদ্ধার হয়। দেহগুলি আজ ময়নাতদন্ত হবে। গোটা ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে এলাকায়। 

কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, কীভাবে অগ্নিকাণ্ড, হোটেলে আদৌ অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল কিনা, তদন্তে সবই খতিয়ে দেখা হবে। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছিলেন কলকাতার পুলিশ কমিশার মনোজ ভার্মাও। তিনি জানান, পলাতক হোটেল মালিকের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।

২০১০ সালের মার্চে স্টিফেন কোর্ট ভবনে বিধ্বংসী আগুনে ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল। আবার ২০১১ সালের ৯ ডিসেম্বর ঢাকুরিয়ার আমরি হাসপাতালে বিধ্বংসী আগুনে ৯৩ জনের মৃত্যু হয়। সেই দুই বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডের স্মৃতি উসকে দিল মেছুয়া বাজারের হোটেলে এই অগ্নিকাণ্ড।

Previous articleModi On Kashmir Attack: পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সেনাকে ‘পূর্ণ স্বাধীনতা’ মোদীর! এ বার পাল্টা ‘অ্যাকশন’,কখন, কোথায়, কীভাবে ?
Next articleRituraj Hotel fire, Kolkataকলকাতার মেছুয়া বাজারে অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্যর ঘোষণা মোদীর

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here