প্রদীপ দে , ঢাকা : ব্যাংকিং পরিষেবায় ধস। বাজার অগ্নি মূল্য। মুদ্রাস্ফীতি চরমে। ব্যাংকে টাকা নেই। ঋণের পরিমাণ আকাশ ছোঁয়া। উৎপাদন সূচক তলানিতে। দুর্নীতি কমেনি, চলছে কাটমানি রাজ। আর এরই জেডে আরও বড় বিপদের মুখে বাংলাদেশ। বাজারে সবজির দাম আকাশ ছোঁয়া।
পরিস্থিতি এমনই যে গোটা সবজি কেনার মত সামর্থ্য নেই বাংলাদেশী মধ্যবিত্তদের। ঢাকার পাইকারি বাজারে টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকা। লংকা ৫০০ টাকা কেজি। সাড়ে ৫০০ টাকা কেজিতে বিকোচ্ছে ধনেপাতা। গাজরের কেজি আড়াইশো টাকা। বেগুন ১৪০ টাকা, কচুর লতি ১৪০ টাকা, মূলো ১০০ টাকা, পটল ১০০ টাকা, ঢেঁড়সের কেজি ১২০ টাকা। সিম বিক্রি হচ্ছে আড়াইশো টাকা কেজি দরে, বরবটি কেজি ১৪০ টাকা, লাউয়ের কেজি ১০০ টাকা।
এই আগুন বাজারে গিয়ে সবজি কিনে বাড়ি ফেরার মত টাকা নেই মধ্যবিত্ত বাংলাদেশীদের বেশিরভাগের কাছেই। কার্যত ভিখারীর হাল হয়েছে ওপার বাংলার। জয় বাংলা বললেই বাংলাদেশে বিপদ ঘনাচ্ছে। অভিযোগ, ইউনুস জামানায় বাংলাদেশের চালু হয়ে গিয়েছে তালিবানি প্রথা। তলানিতে এসে ঠেকেছে বাংলাদেশের অর্থনীতি।
বাড়বাড়ন্ত ঘটছে জামাত জঙ্গীদের। যা দেখে অনেকেই বলছেন, মৌলবাদীদের মাথায় তুললে কি হয় সেটাই চোখে আঙুল দিয়ে দেখাচ্ছে বর্তমান বাংলাদেশের ছবি। তলানিতে ঠেকেছে বাংলাদেশের বিদেশি মুদ্রা সঞ্চয়। অথচ ঋণের পরিমাণ আকাশ ছোঁয়া। এই মুহূর্তে জাপানের কাছে বাংলাদেশের ঋণ রয়েছে ৯২১ কোটি ডলার। রাশিয়ার কাছে ঋণ রয়েছে ৫০৯ কোটি ডলার। চীনের কাছে ঋণ রয়েছে ৪৭৬ কোটি ডলার। এবং ভারতের কাছে ঋণ রয়েছে ১০২ কোটি ডলার। অথচ এই মুহূর্তে বাংলাদেশের কাছে মাত্র ১৬০০ কোটি ডলার বিদেশি মুদ্রা সঞ্চয় রয়েছে। ফলে এই পরিস্থিতি যদি বাংলাদেশে চলতে থাকে তাহলে ভারতের উপরেও চাপ বাড়তে পারে। কারণ, অনুপ্রবেশের আশঙ্কা ফের বাড়বে। পেটে ভাত না থাকলে মানুষ যেভাবেই হোক দেশ ছাড়ার কথা ভাবতে পারেন।
এদিকে সূত্রের খবর ২০২৫ সালেই নির্বাচন হতে পারে বাংলাদেশে। এজন্য গঠন করা হচ্ছে সার্চ কমিটি। কিন্তু প্রশ্ন হল আগামী বছরেই যদি বাংলাদেশে ভোট হয় তাহলে কটি দল সেখানে অংশগ্রহণ করবে? আওয়ামী লীগ কি ভোটে লড়বে? ভোটের আগে কি দেশে ফিরতে পারবেন শেখ হাসিনা? যদি তিনি না ফিরতে পারেন তাহলে কার নেতৃত্বে বাংলাদেশের ভোটে লড়াই করবে আওয়ামী লীগ?