দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতির ফলে রাজ্যে এখনও পর্যন্ত বিনা চিকিৎসায় ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এমনটাই দাবি করেছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করলেন, ওই ২৯ জনের পরিবারকে দু’লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
মুখ্যমন্ত্রী তাঁর নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘এটা দুঃখজনক এবং দুর্ভাগ্যজনক যে জুনিয়র ডাক্তারদের দীর্ঘদন কাজ বন্ধ রাখার কারণে স্বাস্থ্য পরিষেবায় ব্যাঘাত ঘটেছে। এর কারণে আমরা ২৯ জনের মূল্যবান জীবন হারিয়েছি।
https://x.com/MamataOfficial/status/1834555275698696620?t=tDgO-QNjZ21yfmCRKFhDlg&s=19
শোকাহত পরিবারগুলির প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে, রাজ্য সরকার প্রত্যেক মৃতের পরিবারের সদস্যদের ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেবে।’
বৃহস্পতিবার নবান্নে ডাক্তারদের জন্য ২ ঘণ্টা ১০ মিনিট অপেক্ষা করার পর সাংবাদিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে ২৯ জন বিনা চিকিৎসায় মারা যাওয়ার পরিসংখ্যান সামনে এনে বলেছিলেন, ‘কত জনের বিনা চিকিৎসায় মারা গেছেন সেই তথ্য সংগ্রহ করছি’। আর আজই মৃতদের পরিবারের সদস্যদের জন্য ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করলেন।
যদিও এর আগে বিনা চিকিৎসায় মারা যাওয়ার অভিযোগ ওঠার পর পরই সেই দাবি খারিজ করে দিয়েছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তাঁরা বারবার বলেছেন, বিনা চিকিৎসায় মারা গেছেন এমন ঘটনা ঘটেনি। সবটাই অপপ্রচার।
সুপ্রিম কোর্ট জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে ফেরার বার্তা দিয়েছিল। মঙ্গলবার বিকেলের মধ্যে সেই নির্দেশ মানতে হত তাঁদের। কিন্তু তাঁরা তা মানেননি। ডাক্তাররা স্পষ্ট জানিয়েছিল, ‘শুধু জুনিয়র ডাক্তাররা কাজ না করলে যদি রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা ভেঙে পড়ে তাহলে তার দায় তাঁদের নয়, সরকারের’।
জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতির আবহেই আরজি করে এক যুবকের মৃত্যু ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। অভিযোগ উঠেছিল বিনা চিকিৎসায় মারা গেছেন ওই যুবক। যা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তাঁর এই বক্তব্যকে মিথ্যে বলে দাবি করে চিঠি দিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টর্স। জানিয়েছিল, অভিষেকের নিজের দাবির জন্য ক্ষমা চাইতে হবে তাঁকে।