মার্চেই খেলা দেখাতে শুরু করেছে সূর্যিমামা। গরমে হাঁসফাঁস করছে বঙ্গবাসী। তীব্র দাবদাহে পুড়ছে গোটা বাংলা। বাদ যাচ্ছে না বনগাঁও। ভ্যাপসা গরমে নাজেহাল হতে হচ্ছে জেলাবাসীকে। দেখা নেই বৃষ্টির। এক পশলা বৃষ্টির জন্য চাতক পাখির মতো আকাশের দিকে চেয়ে আছেন নাগরিকরা। তীব্র গরম থেকে একটু স্বস্তি পেতে অনেকেই ঠাণ্ডা পানীয় পান করছেন।
আর গরম মানেই ঠান্ডা খাবারের প্রতি আশক্তি। বিশেষ করে আইসক্রিম বা কুলফি। গরমে এই সব খাবারের বিক্রি কয়েকগুণ বৃদ্ধি পায়। পাড়ায়-পাড়ায় ঘুরে বেড়ায় আইসক্রিমের গাড়ি। বাঙালি কিন্তু আইসক্রিমের পাশাপাশি কুলফি খেতেও ভীষণ পছন্দ করে। তবে সবসময় কুলফি কিনে খাওয়া সম্ভব হয় না। জানেন কি চাইলে বাড়িতেই বানিয়ে নিতে পারেন মালাই কুলফি? খুব সহজেই বানানো যায় এই পদ। এতে টাকাও বাঁচবে আর স্বাদও পাবেন দুর্দান্ত। আর দেরী না করে জেনে নিন বাড়িতে কীভাবে বানাবেন কুলফি। রইল সহজ রেসিপি।
জেনে নিন এই কুলফি বানাতে কী-কী উপকরণ লাগবে।
উপকরণ:
দুধ
কাঠবাদাম
কাজুবাদাম
এলাচ
গোলমরিচ
পোস্ত
মৌরি
জাফরান
গোলাপের পাঁপড়ি
জায়ফল
গোবিন্দভোগ চালের গুঁড়ো
চিনি
স্টেপ ১-
প্রথমে দুধ ভাল করে জ্বাল দিয়ে নিন। এ বার একে-একে কাজুবাদাম,এলাচ,গোলমরিচ,পোস্ত,মৌরি,জাফরান,গোলাপের পাঁপড়ি,জায়ফল ও গোবিন্দভোগ চাল নিয়ে একসঙ্গে গুঁড়ো করে নিন।
স্টেপ ২-
দুধ ঘন হয়ে এলে তাতে দিয়ে দিন এই মিশ্রণটি। স্বাদমতো চিনি দিন। এ বার ভাল করে নাড়তে থাকুন। এমনভাবে নাড়বেন যাতে দুধ গাঢ় হয়ে আসে। যতগুলি কুলপি বাঁনাতে চান ততগ্লাস দুধ নেবেন। সেই দুধ মিশ্রণে মিশিয়ে নাড়তে থাকুন। কিছুক্ষণ পরে তারপরই তিন টেবিল চামচ চালের গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। দুধ আর গাঢ় হয়ে এলে টেবিল চামচ ঠান্ডাইয়ের মিশ্রণ আর স্বাদ মত চিনি দিয়ে ভাল করে নাড়াচাড়া করুন।
স্টেপ ৩-
এরপর গ্যাস বন্ধ করে দিন। মিশ্রণটি ঠান্ডা হয়ে গেলে কুলফির পাত্র নিন। এবং তাতে ঢেলে গোলাপের পাঁপড়ি দিয়ে সাজিয়ে দিয়ে ডিপ ফ্রিজে রাখুন। চাইলে কাজুবাদাম ও পেস্তা কুচিও উপর থেকে ছড়িয়ে দিতেই পারেন। কুলফি জমতে পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টার মত সময় লাগে। এরপর ফ্রিজ থেকে বের করলে দেখবেন কুলফি জমে গিয়েছে। বাড়ির সকলেক সঙ্গে জমিয়ে খান মালাই কুলফি।