দেশের সময় রাজ্যের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহর বোলপুরের বাড়িতে প্রায় ১৪ ঘণ্টা তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল ইডি। সকাল ৯টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত চলে তল্লাশি অভিযান।
ইডি সূত্রের দাবি, তল্লাশি অভিযানে মন্ত্রীর বাড়ি থেকে নগদ প্রায় ৪১ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করেছেন তদন্তকারীরা। এত বিপুল পরিমাণ টাকা কী কারণে বাড়িতে রাখা হয়েছিল, তা খতিয়ে দেখছেন ইডি কর্তারা।
ইডি সূত্রের খবর, মন্ত্রী এব্যাপারে কোনও সদুত্তর না দেওয়ায় ওই বিপুল পরিমাণ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। মন্ত্রীর মোবাইল ফোনটিও বাজেয়াপ্ত করেছেন তদন্তকারীরা। তবে এ ব্যাপারে মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহের কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে রাজি হননি। তবে তাঁর দাবি, তদন্তে তিনি সবধরনের সহযোগিতা করেছেন।
নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত বলাগড়ের বহিষ্কৃত তৃণমূল যুবনেতা কুন্তল ঘোষের সূত্র ধরেই রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহের বাড়িতে অভিযান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার! এমনটাই খবর ইডি সূত্রে। নিয়োগ ‘দুর্নীতি’র তদন্তে নেমে কুন্তলের বাসস্থানে তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি।
সেই তল্লাশি অভিযানের সময় একটি রেজিস্টার খাতা তদন্তকারী আধিকারিকদের হাতে আসে। সেখানে ১০০ জন চাকরিপ্রার্থীর তালিকাও পাওয়া যায়। চন্দ্রনাথের মাধ্যমেই ওই ১০০ জন চাকরিপ্রার্থী কুন্তলের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন বলে মনে করছেন ইডি আধিকারিকেরা।
ইডি সূত্রে খবর, কুন্তল এবং চন্দ্রনাথের মধ্যে এক জন মিডলম্যান ছিলেন। তাঁকে জিজ্ঞাসা করেও চন্দ্রনাথের নাম উঠে এসেছে বলে খবর ইডি সূত্রে। সেই সূত্র ধরেই ইডি আধিকারিকেরা শুক্রবার সকালে রাজ্যের ক্ষুদ্র এবং কুটির শিল্প মন্ত্রী চন্দ্রনাথের বাড়িতে হানা দেন বলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর।
শুক্রবার সকাল ৯ টার খানিক আগে চন্দ্রনাথ সিংহর বোলপুরের নীচুপট্টির বাড়িতে যান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এজেন্সির আধিকারিকেরা। গোটা বাড়ি ঘিরে ফেলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। তবে তখন মন্ত্রী বোলপুরের বাড়িতে ছিলেন না। তিনি ছিলেন মুরারইয়ে। তাঁকে বোলপুরে ডেকে পাঠান ইডির গোয়েন্দারা। বেলা ২টা নাগাদ মুরারই থেকে বোলপুরে পৌঁছন মন্ত্রী। দিনভর চলে ম্যারাথন তল্লাশি অভিযান।