দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ ফণী- আর সেই ঘূর্ণিঝড়ে ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ুর পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গেও ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে। আগাম আশঙ্কা থেকেই চার রাজ্যকে অর্থ বরাদ্দ করল কেন্দ্র।
আবহাওয়া দফতরের শেষ পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, প্রবল শক্তি সঞ্চয় করে চার রাজ্যে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় ফণী। মৌসম ভবনের আশঙ্কা ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টায় ১৮৫ কিলোমিটার থেকে ২০৫ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু ও পশ্চিমবঙ্গের বেশ কিছু এলাকা। এইসব রাজ্যের উপকূলবর্তি এলাকায় ইতিমধ্যেই সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
ভারত মহাসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ফণী মঙ্গলবার ছিল দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে পুরী উপকূল থেকে ৭০০ কিলোমিটার দূরে। আশঙ্কা, ৩ মে বিকেলের দিকে পুরীর দক্ষিণে, গোপালপুর ও চাঁদবালির মধ্যবর্তী উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে ফণী। এর পর ফণী উপকূল ঘেঁষে এগিয়ে যাবে বাংলার দিকে। শনিবার দিঘার কাছাকাছি অঞ্চল দিয়ে রাজ্যের ভিতরে ঢুকবে ঘূর্ণিঝড়। এর পরে পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, দক্ষিণ ও উত্তর ২৪ পরগনার উপর দিয়ে সোজা বাংলাদেশের দিকে যাবে বলে জানিয়েছে মৌসম ভবন।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, পুরী ছাড়াও ওড়িশার গঞ্জাম, কুরদা, ও জগতসিংহপুরে সমুদ্রে ঢেউয়ের উচ্চতা দেড় মিটার পর্যন্তও হতে পারে। এখন থেকেই মত্সজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই উপকূলবর্তি এলাকা খালি করে দিতে বলা হয়েছে। অন্ধ্রপ্রদেশ, ওডিশা, তামিলনাড়ু, পশ্চিমবঙ্গের জন্য কেন্দ্র ইতিমধ্যেই মোটা ১,০৮৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের প্রাপ্য প্রায় ২৩৫ কোটি টাকা।