দেশের সময়: আর্থিকভাবে স্বনির্ভর করতে কেন্দ্রীয় সরকারের বায়োটেক কিষান হাব প্রকল্প চালু হল এ রাজ্যে। আপাতত পাঁচটি জেলায় এই প্রকল্প শুরু হয়েছে। নদীয়া, মুর্শিদাবাদ, মালদহ, দক্ষিণ দিনাজপুর ও বীরভূমে প্রকল্পটি চলছে। এই প্রকল্পে বিনা পয়সাতেই মিলছে বনরাজা প্রজাতির মুরগি। পাওয়া যাচ্ছে বাংলার কালো ছাগল। এমনকী চাষের জন্য রুই, কাতলা ও মৃগেলের পোনা। কোথায় যোগাযোগ করতে হবে?
হ্যাঁ, আপনি যদি এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে চান, তাহলে আপনাকে রাজ্য প্রাণী ও মৎস্য বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগাযোগ করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি ডিরেক্টর ড. কেশব ধাড়া বলেছেন, আগামী তিন বছর ধরে এই প্রকল্পটি চলবে। পাঁচ হাজার মানুষকে এই প্রকল্পের সুবিধা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। যদি কেউ সুবিধা পেতে চান, তাহলে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। এই প্রকল্পের বেনিফিশিয়ারিরা শুধু যে বিনা পয়সায় মুরগি, মাছ ও ছাগল পাচ্ছেন তা নয়।
সেগুলি কীভাবে উন্নত প্রথায় পালন করতে হবে, তাদের খাবার কী, কোন সময় কী ভ্যাকসিন দিতে হবে, তার যাবতীয় ট্রেনিং মিলবে একেবারে নিখরচায়। বছরভর ওই প্রশিক্ষণ পাবেন বেনিফিশিয়ারা। কেশববাবু জানিয়েছেন, বনরাজা একটি উন্নত প্রজাতির মুরগি। এটি মাত্র আড়াই মাসের মধ্যে এক কেজি আটশো গ্রামের মতো ওজন হয়। তাছাড়া এরা বছরে ১৮০-২০০টি ডিম দেয়। ফলে মাংস ও ডিম, দু’টোর জন্যই এই মুরগি খুবই লাভজনক। যাঁরা এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে চাইছেন, তাঁদের আমরা বলছি, আপনি নিজের গাঁটের পয়সা দিয়ে কতগুলি মুরগি কিনতে পারবেন আমাদের কাছ থেকে। তিনি যে ক’টি মুরগি কিনতে পারবেন, ঠিক ততগুলি মুরগি তাঁকে বিনা পয়সায় দেওয়া হবে।
এর একটাই কারণ, আমরা যদি সবটাই বিনা পয়সায় দিই, তাহলে সেই ব্যক্তি বিষয়টির প্রতি মোটেই গুরুত্ব দেবেন না। কিন্তু তিনিও যদি কিছু পয়সা খরচ করেন, তাহলে তাঁর মনে হবে, বিষয়টির প্রতি মনোযোগ দিতে হবে। কেশববাবু জানিয়েছেন, বাংলার কালো ছাগলের তুলনা নেই। এর মাংস অত্যন্ত সুস্বাদু। বাজারে চাহিদাও প্রচুর। বেনিফিশিয়ারিদের আপাতত তিনটি করে ছাগলের বাচ্চা দেওয়া হচ্ছে। সঙ্গে যাঁদের পুকুর আছে, মাছ চাষ করতে পারবেন, তাঁদের রুই, কাতলা ও মৃগেলের পাঁচ হাজার চারাপোনা দেওয়া হচ্ছে।