দেশের সময়: বৃহস্পতিবার দিন ঘোষণা হয়েছে পঞ্চায়েত ভোটের। কিন্তু এরপর ২৪ ঘন্টা না পেরোতেই জল গড়াল আদালতে। কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। পঞ্চায়েত ভোট কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের আবেদন নিয়েই আদালতে যাচ্ছেন তিনি। তবে শুধু কংগ্রেস নয়, আদালতে যাচ্ছে বিজেপি ও সিপিএম।
সূত্রের খবর, প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের কাছে আজ শুক্রবারই বিষয়টি উল্লেখ করবে কংগ্রেস। একই ইস্যুতে এর আগে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও একটি মামলা করেছিলেন। পঞ্চায়েত ভোটে যাতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয় সেই বিষয়টি উল্লেখ ছিল মামলায়। পুনরায় সেটিই সামনে আনতে চলেছে বিরোধীরা।
তবে শুধু কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নয়, একই সঙ্গে মনোনয়ন পেশে যাতে কোনও সমস্যা না হয়, সমস্যা হলে তা যেন রাজ্য নির্বাচন কমিশন বা জেলা বিচারকের কাছে পেশ করার সুযোগ মেলে সেই আর্জিও করা হবে মামলায়। পাশাপাশি অনলাইনে মনোনয়নপত্র পেশ করা যায় সেই বিষয়টিকে তুলে ধরে প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করে মামলা দায়েরের অনুমতি চাইবেন অধীর এবং কংগ্রেসের আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী। এনিয়ে কৌস্তভ বলেন, “আমার সঙ্গে অধীর চৌধুরীর কথা হয়েছে। এর আগে এপ্রিল মাস নাগাদ রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে আমরা বাইশ দফা দাবি রেখেছিলাম। তার মধ্যে উল্লেখ ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করে যেন পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়।
শুধু তাই নয়, গ্রাম বাংলায় শাসকদল অত্যাচার করে অনেক সময় মনোনয়নপত্র পেশ করতে দেয় না। তাই আমরা বলেছিলাম যাতে অনলাইনে মনোনয়ন পেশ করতে দেওয়া হয়। কিন্তু নির্বাচন কমিশন এই সম্পর্কিত কোনও সিদ্ধান্ত না নিয়েই তারিখ ঘোষণা করে দিল। সেই কারণে আদালতে যেতে চলেছি আমরা।”
বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদার বলেন, “পুলিশের কাছে এতটা ক্ষমতাই নেই যে তারা প্রতিটা বুথকে সুরক্ষিত রাখতে পারবে। এই কারণে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের প্রয়োজন। আর মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময়সীমাও কম দেওয়া হয়েছে। আমরা কোর্টের দ্বারস্থ হব।”
উল্লেখ্য, ৮ জুলাই হবে পঞ্চায়েত ভোট। শুক্রবার থেকেই মনোনয়ন জমা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে। ১৫ জুন পর্যন্ত মনোনয়ন জমা নেওয়া হবে। আর মনোনয়ন তুলে নেওয়ার শেষ তারিখ হল ২০ জুন। একদফাতেই ভোটগ্রহণ হবে বলে জানানো হয়েছে। ১১ জুলাই প্রকাশ হবে ভোটের ফল।