দেশের সময় ওয়েবডেস্ক: রবিবার সকালে বাংলাদেশের পদ্মা সেতু এক্সপ্রেসওয়েতে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনা ঘটল ৷ যাত্রীবাহী বাসটির আচমকাই চাকা ফেটে যায়। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পড়ে যায় খাদে। বাসে ৪০ জনের বেশি যাত্রী ছিলেন। জানা গেছে, ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।আহত কমপক্ষে ৩০ জন।
জানা গিয়েছে, বাসটি ঢাকা যাচ্ছিল। পদ্মা সেতুর সঙ্গে সংযোগকারী রাস্তায় দুর্ঘটনার মুখে পড়ে বাসটি। মদারিপুর জেলার কুতুবপুর এলাকাতেই খাদে পড়ে যায় বাসটি। ইতিমধ্যেই উদ্ধারকাজ শুরু করা হয়েছে। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, খুলনা থেকে ঢাকার দিকে আসছিল একটি যাত্রীবোঝাই বাস। এক্সপ্রেসওয়ের ওপর আচমকাই বিকট শব্দে বাসের ডানদিকের চাকা ফেটে যায়। শব্দ শুনে স্থানীয়রা ছুটে এসে দেখেন বাসটি রাস্তার পাশের রেলিং ভেঙে খাদে পড়ে গেছে।
স্থানীয়রাই প্রথমে উদ্ধারকাজ শুরু করেন। খবর দেওয়া হয় পুলিশ প্রশাসনকে। আসে উদ্ধারকারী দল। পুলিশ জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহতদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন ভোর চারটে নাগাদ খুলনার ফুলতলা থেকে ইমাদ পরিবহনের বাসটি ছাড়ে। সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ পদ্মা সেতুর সঙ্গে সংযোগকারী এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে যাচ্ছিল বাসটি। মাদারীপুরের শিবচরের কুতুবপুর এলাকায় আচমকাই বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারায়। সজোরে রেলিংয়ে ধাক্কা মারে। এরপরই বাসটি রেলিং ভেঙে পাল্টি খেতে খেতে পড়ে যায়।
কী কারণে এই দুর্ঘটনা? পুলিশ সূত্রে খবর, দূর্ঘটনার প্রকৃত কারণ এখনও জানা যায়নি। তবে যান্ত্রিক ত্রুটি, অতিরিক্ত গতি ও সামনের চাকা ফেটে গিয়েই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। হাইওয়ে পুলিশ তদন্ত কমিটি গঠন করে গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখছে।
কী কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে, তা জানার জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। একইসঙ্গে আহত ও নিহতদের জন্য ক্ষতিপূরণের ঘোষণাও করা হয়েছে। জানানো হয়েছে, নিহতদের পরিবারপিছু ২০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। আহতদের পরিবারপিছু ৫ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে আরও খবর, ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছে ১৬ জনের। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর আরও তিনজনের মৃত্যু খবর মিলেছে। তবে মৃতদের পরিচয় এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি।