সোমবার কোলকাতা স্টেশনে বাংলাদেশ ডেপুটি হাই কমিশনার ও পদস্থ আধিকারিকদের উপস্থিতিতে চালু হল বাংলাদেশ ভিসা তথ্য কেন্দ্র৷ ছবি তুলেছেন দেবাশিস রায়৷
দেশের সময়, কলকাতা: রেলপথ মন্ত্রক কলকাতা স্টেশনের পরিকাঠামো বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছে অনেক আগেই ৷ বন্ধন এক্সপ্রেসের একটি টার্মিনাল পয়েন্ট যা খুলনা পর্যন্ত চলে এবং মৈত্রী এক্সপ্রেস যা ঢাকায় পৌঁছায় – বাংলাদেশ থেকে আসা যাত্রীদের জন্য আরও ভাল পরিষেবা নিশ্চিত করার জন্য। মন্ত্রণালয় একটি ভিসা তথ্য কেন্দ্র এবং একটি বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় কেন্দ্রের পরিকল্পনা করেছে।
আজ সোমবার সকাল থেকে কলকাতা রেলওয়ে স্টেশনে বাংলাদেশ টিকিট রিজার্ভেশন কাউন্টারের পাশে, বেলগাছিয়া, কলকাতা – ৭০০০৩৭ এ-র প্রথম তলায় বাংলাদেশ ভিসা তথ্য কেন্দ্রের উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন H.E. আন্দালিব ইলিয়াস, বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনার, কলকাতা, শ্রী দীপক নিগম, বিভাগীয় রেল ব্যবস্থাপক, পূর্ব রেল – শিয়ালদহ এবং মিঃ রাজিন্দর রাই, সিএমডি, ডিইউডিজিটাল গ্লোবাল লিমিটেড সহ কলকাতায় বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনের অন্যান্য সদস্য এবং পূর্ব রেলের সদস্যরা ৷
ব্যবসা পর্যটনসহ নানা কারণে বাংলাদেশে যেতে ইচ্ছুক ভিসা আবেদনকারী ভারতীয় নাগরিকদের স্বাচ্ছন্দ ও সুবিধা বৃদ্ধি করায় এই নতুন কেন্দ্র তৈরির উদ্দেশ্য। কলকাতা স্টেশনে এই বাংলাদেশ ভিসা তথ্য কেন্দ্র পরিচালনা করবে ডিইউ ডিজিটাল নামের একটি প্রথম সারির ভিসা প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত সংস্থা, যারা ইতিমধ্যে কলকাতা এবং শিলিগুড়ির বাংলাদেশ ভিসা আবেদন কেন্দ্রগুলি পরিচালনা করছে। এদের বর্তমান কেন্দ্র দুটির ঠিকানা – কলকাতায়, প্রথম তল, প্লট নাম্বার ১৫ (ইনফিনিয়াম ডিজি স্পেস),সিপি ব্লক, সেক্টর ৫, সল্টলেক এবং শিলিগুড়িতে দোকান নং ৩০, ৩১, ইন্টারন্যাশনাল মার্কেট দ্বিতীয় তল, সেবক রোড, পানি ট্যাংকি মোড়ের কাছে।
ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরো মজবুত করতে এই বাংলাদেশ ভিসা তথ্য কেন্দ্র স্থাপন একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ,এর ফলে ভারতীয় নাগরিকদের কাছে বাংলাদেশের ভিসা পাওয়া আরও সহজ হবে এবং দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য এবং পর্যটনের আরো প্রসার ঘটবে।
কলকাতার এই বাংলাদেশ ভিসা তথ্য কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের ভিসা আবেদন জানানোর সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া এবং ভিসা সংক্রান্ত সর্বশেষ তথ্য পাওয়া যাবে। এরপরে আবেদনকারীরা সল্টলেক বা শিলিগুড়ির আবেদন কেন্দ্রে গিয়ে বাংলাদেশের ভিসার জন্য আবেদন জানাতে পারবেন। তাদের নিজেদের আবেদন পত্র জমা দেওয়ার জন্য আগাম কোন অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে হবে না।
এছাড়াও এই কেন্দ্র গুলিতে ভিসার আবেদনপত্র পূরণ, ছবি তোলা, পাসপোর্ট জমা নেওয়া এবং প্রদান সহ বহু সংখ্যক পরিষেবা পাওয়া যাচ্ছে। কতৃপক্ষ থেকে জানানো হয়, তারা আশাবাদী যে ,কলকাতায় নতুন বাংলাদেশ ভিসা তথ্য কেন্দ্র বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে পর্যটন এবং ব্যবসার প্রসারে এক অন্যতম অনুঘটক হিসেবে কাজ করবে ও ভারত – বাংলাদেশের মধ্যে যাতায়াত ব্যবস্থাকে আরো মজবুত করবে ৷ তারা আগামী দিনে ভারত থেকে আরও বেশি সংখ্যক দর্শনার্থীকে বাংলাদেশে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত।ডিইউ ডিজিটাল গ্লোবাল লিমিটেড সমগ্র বিশ্বের ১৪৩ টি দেশে ৩৫ টি নিজস্ব ভিসা আবেদন কেন্দ্র পরিচালনা এবং ৩৫৪৬ টি আবেদন কেন্দ্রে অংশীদারিত্বের মধ্য দিয়ে ছয়টি সরকারের সঙ্গে কাজ করছে। প্রশিক্ষিত কর্মী উন্নত এবং নিরাপদ প্রযুক্তি ও পরিকাঠামো ব্যবহার করে তারা মানুষকে সর্বোত্তম মানের পরিষেবা পৌঁছে দিতে অগ্রনী ভূমিকা গ্রহন করবে ৷